লাইফ স্টাইল :- হুপ আর্ট পার্সেল দেওয়ার অনুভূতি।

in আমার বাংলা ব্লগ16 days ago

আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাচ্চাদের অসুস্থতা হবার প্রবণতা খুব বেশি এবং অসুস্থ হয়েছে অনেক। হুপ আর্ট পার্সেল দেওয়ার অনুভূতি। আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।


IMG_20241027_104513.jpg


আপনারা অনেকেই হয়তোবা জানেন আমার স্ত্রী হুপ আর্ট করে থাকে। আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি মাসের মধ্যে বেশ ভালো রকমই অর্ডার পাওয়া যায়। বেশ করে অর্ডারের মধ্যে এইতো কিছুদিন আগেই গাংনি গিয়েছিলাম কয়েকটা অর্ডার এবং এই অর্ডারের মধ্য দিয়ে আরও বেশ কিছু অর্ডার পাওয়ার আশায়। আপনারা অনেকে আড়ং এর সাথে বেশ পরিচিত বিশেষ করে ঢাকা বাসীরা। সেখানে একজন ম্যানেজারের সাথে কথা হয় এবং তিনি বেশ কিছু অর্ডার করেন। এবং পরবর্তীতেও তিনি আরো নেবেন এই আশ্বাস দেন। যাহোক তার এড্রেসে এগুলো দেয়ার জন্যই আজকে গান নিতে এসেছিলাম এবং সেগুলো পার্সেল করলাম। আসলে আমার স্ত্রী নিমতলায় ছিল এবং সেখান থেকে সে পার্সেল করত। আর আমি এই প্রথম আমাদের এলাকা থেকে পার্সেল করলাম।


IMG_20241027_103528.jpg

যে ব্যক্তি অর্ডার দিয়েছিল সে অর্ডারের মধ্যে এই হুপ আর্ট একটি। আসলে ছোট বাচ্চা থাকার কারণে অনেক সময় বেশি অর্ডার নেওয়া যায় না তারপরও এর মধ্যে থেকে যেগুলো আসে সেই কাজগুলো সে করে। আপনারা সবাই জানেন এসব কাজ করতে গেলে বেশ সময় সাপেক্ষ। আরে কাজগুলো যদি নিখুঁত না থাকে তাহলে কাস্টমার কখনো আকর্ষিত হবে না এবং এগুলো ক্রয় করতেও চাইবে না। তাই এগুলো করতে হলে বেশ কিছু সময় দিতে হয় এবং ধৈর্য সহকারী গুলো তৈরি করতে হয়। এগুলো তৈরি করতে যেসব পণ্য সামগ্রী গুলো লাগে সেগুলোর দাম বেশি নয় কিন্তু এর পরিশ্রমটা খুব বেশি। যেহেতু এগুলো হাত দিয়ে হাতে সেলাই করা হয় সে তো এগুলো সময় লাগে অনেক। তবে সময় লাগলেও এ কাজগুলো যারা জানে তাদের কাজ কিন্তু বেশ সহজ মনে করে তারা। আমার স্ত্রী যখন এই কাজগুলো করে তখন আমি দেখি এবং তাকে জিজ্ঞাসা করি তোমার কাছে কঠিন মনে হয় না সে সহজেই বলে যে না এগুলো আমার কাজ বেশি সহজ মনে হয়। আসলে কথায় আছে যে যে কাজ পারে সেই কাজ তার কাছে সহজে মনে হয় এটাই স্বাভাবিক। এখানে যে হুপ আর্ট আর্ট দেখছেন এটি বিক্রি করেছিলাম ২৫০০ টাকা দিয়ে। কাস্টমার তার নিজের পছন্দ অনুযায়ী অর্ডার দেয় এবং তার অর্ডার অনুযায়ী সেগুলো তৈরি করে দিতে হয়। তৈরি করার সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হয় সৌন্দর্যটাকে বৃদ্ধি করার জন্য আসলে সৌন্দর্য হলেই তো অনেক বেশি হবে তাই না। তবে সারাদিন এত সমস্যাগুলো অপেক্ষা করে এই কাজগুলো করাটা কিন্তু তার জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ে তারপরও সে করে।


IMG_20241027_104240.jpg

IMG_20241027_103340.jpg

এখানে যে আপনারা আর দেখতে পাচ্ছেন এই আর্ট কিন্তু বিক্রয়ের জন্যই কিন্তু তৈরি করা হয়েছিল না কিন্তু পরবর্তীতে এটা যখন তাকে দেখানো হয় সে খুব পছন্দ করে এবং পরবর্তীতে তাকে দেয়া হয় এটা। এটির দাম ছিল ১২০০ টাকা এবং নিচে যে হুপ আর্ট দেখছেন এটার দাম ছিল পনেরশো টাকা। আসলে নিজের হাতের কাজগুলো যদি নিজে করা যায় এবং স্বাভাবিকভাবে যদি এগুলো করতে থাকা যায় একটা সময় দেখা যায় এখান থেকে বেশ ভালো প্রফিট আসে এবং এটা দিয়ে কিন্তু নিজে স্বাভাবিক স্বচ্ছলতা আনা যায় সংসারে। অনেক সময় মেয়েদের নিজের হাত খরচের জন্য স্বামীর কাছে টাকা চাইতে হয় কিন্তু তাদেরকে কিন্তু এমনটা করা লাগেনা নিজের থেকে নিজেরা বেশি স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক এই কাজের মধ্যে জড়িত রয়েছে এবং তারা বেশ প্রফিট করছে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই কিন্তু স্বাভাবিক একটা কথা আমার স্ত্রীর কাছ থেকে আমি শুনেছি এই কাজ করে ঢাকায় একজন আপা নাকি ফ্লাট বাড়ি পর্যন্ত ক্রয় করেছে। আসলে এগুলোর দাম তার ডিমান্ডের উপর নির্ভর করে অর্থাৎ এগুলো দশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করে থাকে। আর হাতের কাজগুলো সবাই অনেক পছন্দ করে। আর এইসব জিনিস গুলো বেশি নিয়ে থাকে জন্মদিনে উপলক্ষে কিংবা বিবাহ বার্ষিক উপলক্ষে এ ধরনের কাজগুলোতে এই জিনিসগুলো বেশ বেশি বেশি চলে।


IMG_20241110_100115.jpg

এই তিনটা জিনিস কুরিয়া করতে আমার খরচ হয়েছিল ২৫০ টাকা। আসলে অনেকদিন কুরিয়া সার্ভিস করা হয়েছিল না তাই সম্পর্কে আমার বেশ খুব একটা ধারণাও ছিল না। কুরিয়ার সার্ভিস করে দেয়ার জন্য এগুলোকে বেশি যত্ন সহকারে দিতে হয় না হলে এর মধ্যে তো অনেক জিনিস থাকে নিচে পড়ে দেখা গেছে অনেক সময় জিনিস গুলো ভেঙে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করেছিলাম কার্টুনের মধ্যে দিয়ে বেশ শক্ত করে বেঁধে দিতে। যাহোক শেষ পর্যন্ত এই জিনিসগুলো সেখানে পাঠাতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। কারণ এটি ছিল আমার হাত দিয়ে প্রথম কোন কুরিয়ার সার্ভিস করে নিজেদের তৈরি হুপ আর্ট।


ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।


আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন https://w3w.co/soother.stutterers.discharged


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 16 days ago 

আগে জানতাম না। আজ জানলাম যে ভাবীর এত গুনের অধিকারী। বেশ ভালো লাগলো এমন কথা জেনে। আশা করি এমন করেই ভাবী অনেক দূর এগিয়ে যাবে। শুভ কামনা রইল ভাবীর জন্য।

 16 days ago 

এত বেশ সুন্দর একটি শিল্প। এই হপ আর্টের বিষয়ে জানা ছিল না। জেনে বেশ ভালো লাগলো। ভাবী বেশ সুন্দর করে আর্ট গুলি ডিজাইন করেছেন। সামনে দেখতে খুব ভালো লাগছে। আপনি সাজিয়ে সুন্দর করে সেগুলির পোস্ট দিলেন বলে ধন্যবাদ।

 16 days ago 

আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 16 days ago 

ভাবির তো অনেক দক্ষতা আছে এই কাজে। আমার এ ধরনের কাজগুলো অনেক ভালো লাগে। ভাবি হুপ আর্ট করে এটা আমার আগে জানা ছিল না। প্রত্যেকটা ভীষণ সুন্দর ছিল। এগুলো করা আসলেই সময়ের ব্যাপার। শুভকামনা রইল। আশা করি এই কাজের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

 16 days ago 

আসলে আপু সে মোটামুটি ভালই এই কাজগুলো পারে তবে ভালো লাগে তার চেষ্টা রয়েছে তার। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।