কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া
সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
একদিক থেকে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা যেমন দিন দিন দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রয়োজন হচ্ছে। আসলে মানুষের এই অতিরিক্ত প্রয়োজনের জিনিস তৈরির জন্য অতিরিক্ত কল কারখানা প্রতিবছর আমাদের এই পৃথিবীতে গড়ে উঠছে। আসলে আমাদের পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা রয়েছে। এইসব কলকারখানা তৈরির জন্য একদিক থেকে যেমন অতিরিক্ত জমির প্রয়োজন হচ্ছে তেমনি এইসব কলকারখানা বেশিরভাগ নদীর পাশে গড়ে উঠছে। নদীর পাশে গড়ে ওঠার প্রধান কারণ হলো এই নদীর মাধ্যমে যাতায়াত অনেক বেশি সহজলভ্য হয়। এছাড়াও নদীপথে যাতায়াত করে অনেক কম সময়ে অনেক বেশি পণ্য বহন করা যায়।
আসলে এইসব কলকারখানা এইসব নদীর পাশে গড়ে ওঠার জন্য নদীর পাশে অনেক বেশি জমির প্রয়োজন হচ্ছে। তাই অনেক বেশি গাছপালা কাটার ফলে একদিক থেকে যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি অন্য দিক থেকে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। আসলে এইসব কলকারখানা থেকে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ সব সময় বের হতে থাকে। এছাড়াও এইসব দূষিত পদার্থ সমুদ্রের অথবা নদীর জলে মিশে গিয়ে নদীর জল দিন দিন দূষিত হচ্ছে। আর এই নদীর জল দূষিত হওয়ার ফলে প্রতিবছর নদীতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী এবং মাছের মৃত্যু হচ্ছে।
আসলে আমরা বাস্তুসংস্থান সম্পর্কে আমাদের সকলের কিছু না কিছু ধারণা রয়েছে। আর এই নদীর জল নষ্ট হওয়ার ফলে পৃথিবীতে বাস্তুসংস্থানের ব্যাঘাত হচ্ছে। আসলে এইসব নদী-নালা, খাল, বিলের পাশে যেসব কলকারখানা গড়ে ওঠে সেসব কলকারখানা থেকে যেমন দূষিত পদার্থ নদীর জলে মেশে তেমনি কলকারখানার যেসব যেসব ধোঁয়া পরিবেশে মিশে যাচ্ছে তার ফলেও পরিবেশের বায়ু অনেক বেশি দূষিত হচ্ছে। আসলে আমাদের পৃথিবীতে মানুষের মাঝে এত কোন কঠিন কঠিন রোগ আগে কখনো ছিল না। আসলে এখনো দেখা যায় যে পৃথিবীতে শতকরা ১০০ ভাগ লোকের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ লোক শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভোগে।
আসলে এই শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হবার প্রধান কারণ হচ্ছে এই কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুতে মিশে যাচ্ছে এবং বায়ু থেকে সেই দূষিত ধোঁয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। আর এর ফলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রতিবছর বহু লোক মারা যাচ্ছে। তাইতো আমাদের এখন নেই সচেতন হতে হবে যাতে করে এইসব কলকারখানা থেকে দূষিত পদার্থ নদীর জলে এবং দূষিত ধোঁয়া বায়ুতে যাতে মিশে না যায়। আসলে এখন অনেক ধরনের নতুন যন্ত্রপাতি তৈরি হয়েছে যার ব্যবহারের ফলে এইসব দূষিত পদার্থের দূষণের মাত্রা প্রায় শূন্যতে নিয়ে আসা যায়। আসলে এসব যন্ত্রপাতির দাম একটু বেশি হওয়ার জন্য এসব কল কারখানার অসাধু মালিকেরা এইসব জিনিসপত্র ব্যবহার করেনা। তাই যাতে করে পরিবেশ এবং নদীর জল দূষিত না হয় এজন্য দেশের আইনকে অনেক বেশি কঠোর হতে হবে এইসব অসাধু কলকারখানার মালিকদের জন্য।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আসলে সত্যি বলতে আমরা যতই এর বিপক্ষে কথা বলি না কেন এটা কোন কাজে আসবে না যখন আমাদের দেশের সরকার এর বিপক্ষে একটা পদক্ষেপ নিবে তখন সেটা কার্যকর হবে।