ফুটবল উন্মাদনা -২

in আমার বাংলা ব্লগ22 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ২২ ই নভেম্বর ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000592543.jpg


ঘড়িতে সময় তখন সাতটা। বাংলাদেশ দলের সব খেলোয়ার মাঠে আসে। প্রথমবার হামজা, সামিত, জামাল ভূইয়াদের এভাবে দেখার ব‍্যাপার টাই ছিল অন‍্যরকম। কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ এবং ভারত দল ওয়ার্মআপ করতে নামে। বাংলাদেশ দলকে দেখে সবাই উচ্ছসিত হয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ ওয়ার্ম আপ করে আবার দুইদল উঠে যায়। এবার তারা প্রস্তুতি নেয় খেলতে নামার জন্য। ঐদিকে দর্শকদের অনেকের মধ্যে শুরু হয় সিট নিয়ে ঝামেলা। অনেকেই আছে যারা অন‍্যের সিটে এসে বসেছিল। এবার প্রকৃত সিটের দর্শক যখন আসে সে আর ছাড়তে চাই না। ঝামেলার শুরু। অনেকের মধ্যে তো মারামারি পযর্ন্ত লেগে গিয়েছিল। যাইহোক এরপর যথাসময়ে দুই দল মাঠে নামে। প্রথমেই দুই দলের জাতীয় সংগীত হয়। তারপর দুই দল তাদের পরিকল্পনা আরেকবার ঝালিয়ে নিয়ে নিজেদের পজিশন নিয়ে নেয়। শুরু হয় খেলা।


1000592543.jpg

1000592542.jpg

1000592546.jpg

1000592549.jpg

1000592559.jpg

1000592558.jpg

1000592554.jpg

1000592557.jpg


খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই পুরো গ‍্যালারি উচ্ছসিত হয়ে পড়ে। কখনও বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে আবার কখনও হামজা হামজা বলে সবাই চিৎকার করছিল। এ ছিল এক অন‍্যরকম উন্মাদনা। খেলার শুরু থেকেই বেশ জমজমাট অবস্থা ছিল। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছিল না। ম‍্যাচের ১১ মিনিটে একটা কাউন্টার অ‍্যাটাকে যায় বাংলাদেশ। রাকিব দারুণ ভাবে বল নিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর সুন্দর একটা মাইনাস করে। সেটা অনুসরণ করে ডানদিক থেকে এগিয়ে আসে মুরসালিন। এবং দারুণ এক ফিনিশিং দেয়। ম‍্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশ দল এগিয়ে যায়। এরপর ভারতীয় দল বেশ কিছু আক্রমণ করে। বিশেষ করে বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল মারমা একটা ভুল করে বসে। বল চলে যায় ভারতীয় খেলোয়ারের কাছে। এবং গোলবার তখন ফাঁকা। প্রতিপক্ষ গোলে শর্ট নেয়।


1000592559.jpg

1000592526.jpg

1000592517.jpg

1000592514.jpg

1000592554.jpg


তবে একেবারে শেষ মূহূর্তে হামজা চৌধুরী সেটা হেড দিয়ে ক্লিয়ার করে দেয়। নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেয় হামজা। এরপর ভারতীয় দল আরও বেশ কয়েকবার আক্রমণে যায়। তবে প্রতিবারই তারা আটকে গিয়েছে ঐ হামজা চৌধুরীর কাছে। মিতুল মারমা এই ম‍্যাচেও বেশ কিছু মিসটেক করে। ফলে তার কনফিডেন্স একেবারে লো হয়ে গিয়েছিল। যখনই তার কাছে বল যাচ্ছিল স্টেডিয়াম থেকে দর্শক গালাগালি করছিল এবং বলছিল বলটা ক্লিয়ার করতে হা হা। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। কিছুক্ষণ পরে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। ভারতীয় দল বেশ কিছু পরিবর্তন করে। অন‍্যদিকে বাংলাদেশ দলের দুইজন খেলোয়ার ইঞ্জুরির জন্য মাঠ ছাড়ে। এই ম‍্যাচে হামজা ছাড়াও বাংলাদেশের ডিফেন্ডার রা বেশ ভালো খেলেছিল। বিশেষ করে বলতে হয় সাদ উদ্দিনের কথা। সে দারুণ কিছু ক্লিয়ার দিয়েছিল। এবং ভারতের উইঙ্গার সানতে কে সেরকম কোন সুযোগ সে দেয়নি।

এভাবে খেলা এগিয়ে যেতে থাকে। সময় যত এগিয়ে যাচ্ছি যাচ্ছিল ভারতীয় দল গোলের জন্য ততই মরিয়া হয়ে যাচ্ছিল এবং একের পর এক আক্রমণ করছিল। কিন্তু বাংলাদেশ দল একের পর এক ক্লিয়ারেন্স দিয়ে যাচ্ছিল। এভাবেই এগিয়ে যায় খেলা। পরবর্তীতে বাংলাদেশ দলও কিছু আক্রমণ করেছিল কিন্তু গোল করতে পারেনি। অনেক অপেক্ষার পর ম‍্যাচ শেষের বাঁশি দেয় রেফারি। ম‍্যাচ শেষ হয় বাংলাদেশ দল ১-০ গোলে ম‍্যাচটা জিতে যায়। পুরো স্টেডিয়ামের সবাই উন্মাদনায় ফেটে পড়ে। অসাধারণ এক জয় ছিল এটা। মাঠের মধ্যে বাংলাদেশ দলের খেলোয়ার রা শুয়ে পড়ে। অসাধারণ একটা মূহূর্ত ছিল এটা। বিগত অনেকদিন ধরে জয়হীন ছিল বাংলাদেশ। এবং র‍্যাংকিং এ নিজেদের থেকে ৫০ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের সাথে জয় এটা ছিল অন‍্যরকম অনূভুতি। ম‍্যাচটা মাঠে বসে দারুণ উপভোগ করেছিলাম।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png