বন্ধুর প্রয়োজনীয়তা
আশা করি আপনারা সবাই ভালোই আছেন
আজকের গল্পটি পরে আপনাদের ভালো লাগবে আশাবাদী।

চলুন তাহলে শুরু করি
রবিন ছিল খুব একা একটি ছেলে। সে তার নিজের জগতে ডুবে থাকত। সবার সাথে মিশতে চাইত না, কারণ সে ভাবত, একা থাকলেই বুঝি শান্তি। কিন্তু যখনই তার জীবনে কোনো সমস্যা আসত—সে পরীক্ষায় খারাপ ফল করত, বা মন খারাপের কোনো ঘটনা ঘটত—তখন সে নিজেকে একেবারেই অসহায় মনে করত। তার দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার মতো কেউ ছিল না, তাকে সাহস যোগানোর মতো কোনো হাতও ছিল না।
একদিন একটি আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় রবিনকে তার স্কুলের হয়ে মঞ্চে যেতে হল। সে ভয়ে কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল এখনই জ্ঞান হারাবে। ঠিক সেই সময় তার পাশে এসে দাঁড়াল ক্লাসের সবচেয়ে চঞ্চল ছেলেটি, সায়ান।
সায়ান রবিনকে জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে বলল, "ভয় পাস না। হারলে হারবি, জিতলে জিতবি। আমি ঠিক তোর পেছনেই আছি। মনে রাখিস, আমরা সবাই তোর বন্ধু। শুধু একবার শ্বাস নে আর তোর সেরাটা দে।"
সেই মুহূর্তে সায়ানের উষ্ণতা আর ভরসার কথা রবিনের মনে সাহস জুগিয়েছিল। সে মঞ্চে গেল এবং খুব ভালো পারফর্ম করল। প্রতিযোগিতা শেষে রবিন যখন সায়ানকে ধন্যবাদ জানাল, তখন সায়ান শুধু হাসল।
সেই দিন থেকে রবিনের জীবন পাল্টে গেল। সে বুঝতে পারল, বন্ধু মানে শুধু মজা করা নয়। বন্ধু হলো সেই আশ্রয়, যেখানে মনের সব কথা বলা যায়। বন্ধু হলো সেই শক্তি, যা কঠিন সময়ে লড়াই করার প্রেরণা দেয়। তারা জীবনের ছোট-বড় সব আনন্দ ভাগ করে নেয়, আর দুঃখের ভার হালকা করে দেয়।
বন্ধুত্ব আসলে জীবনের পথে আলোর মতো, যা একা চলার ভয় দূর করে এবং চলার পথে সাহস ও আনন্দ দুটোই যোগায়। এই কারণেই জীবনে বন্ধু-বান্ধবের প্রয়োজনীয়তা এত বেশি।