শীতের সকালে হাটাহাটি।
আজ- ১১ই পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শীত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
অনেকদিন ধরে সকালবেলাটাকে উপভোগ করা হয় না। দেখা যায় শীতের সকালের টাইমটাতে ঘুমিয়ে কাটানো হয়। তবে আজ সকালের দিকে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠে বাহিরে কুয়াশা আচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে মনে হল একটু বাহিরে যায়, তাহলে শৈশবের সেই শিশিরে ভেজানো সেই কুয়চ্ছন্ন প্রকৃতিটা দেখতে পাবো।
যদিও বের হতে হতে খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। আসলে ঘুম থেকে উঠেই পাখি গুলোকে খাবার দিলাম এবং কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে কাটালাম সকাল হতে না হাতে যেন তাদের চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। অন্যান্য দিনগুলোতে খুব একটা সময় পায় না বলে পাখিগুলোকে আমি নিজে খাবার দিতে পারি না। আর আজ যেহেতু বড় বাসায় আছি তাই ভাবলাম পাখিগুলোকে খাবার দিয়ে তারপরে বের হয় ।
পাখিকে খাবার দেওয়ার পরে মূলত বের হয়েছিলাম বাহিরে আর তখন ঘড়িতে প্রায় সাড়ে ছয়টায় কিংবা সাতটা বাজে।
প্রথমত আজ ছুটির দিন দ্বিতীয়ত শীতের সকাল বলে রাস্তায় ঘাটে মানুষ যেন অনেকটা কম। তবে মানুষজন যে একেবারে নেই তা কিন্তু না হাতে গোনা কয়েকজন মানুষজন রাস্তায় ছিল। আর তার সাথে সবজির ভ্যান আসছিল ও বিভিন্ন ফেরিওয়ালরা ছিল। দোকানপাটে কিছু কিছু খোলা ছিল আর বেশিরভাগ দোকানপাটে বন্ধ ছিল।
এলাকায় কিছুক্ষণ হাঁটাঘোটার পর আসার জন্য কিছু সবজি নিয়ে। শীতকালের সবজি না খেলে যেন নয়। শীতকালে মজার মজার সবজি যেন অন্য কোন সিজনে পাওয়াই যায় না। আমার পছন্দের কিছু সবজি অর্থাৎ ফুলকপি, গাজর, কাঁচামরিচ, ধনিয়াপাতা, শাক ও আলু কিনে নিই। এরপর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বাসায় ফিরে আসি। আজকের এই শীতের সকালটা সত্যিই মনোরম ছিল। এখন থেকে ভাবছি মাঝে মাঝে ছুটির সময়গুলোতে এরকম শীতকালে সকালটা উপভোগ করতে বের হব। যদিও শীতের সকাল গ্রামের এক রূপ আর শহর অঞ্চলে অন্য রূপ। তবে গ্রামীণ সেই শীতের সকাল তাকে মাঝে মাঝে মনের মধ্যে কল্পনা করি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শীতের সকালে হাঁটাহাঁটি করতে খুবই ভালো লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি শীতের সকালে হাঁটাহাঁটি করতে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।