অনুভূতিমূলক পোস্ট ||| শীতের সৌন্দর্য কারো আনন্দের কারো বা কষ্টের ||| original writing by @saymaakter
আসসালামু আলাইকুম। প্রত্যাশা করছি এই প্রচন্ড ঠান্ডায় সবার পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

source
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি অনুভূতিমূলক পোস্ট "শীতের সৌন্দর্য কারো আনন্দের কারো বা কষ্টের"।
তবে আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে মনে হয় চার দিকটায় কুয়াশায় ঢেকে আছে। কোথায় কি আছে ঠিকমত দেখাও যাচ্ছেনা। আজ সারাটা দিন এতটা ঠান্ডা পড়েছে। সারাটা দিন কুয়াশায় কেটে গেল। এমন ঠান্ডা পড়েছে মনে হয় কাজ করতে গেলেও হাত পা বরফ হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় কাজ করাও যেন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।সেই মুহূর্তে কোন কিছু মনে হচ্ছিল না নিজের কাজগুলো খুব দ্রুত করার চেষ্টা করছিলাম।
যখন সব কাজ গুছিয়ে নিয়ে একটু রেস্টে নিলাম তখন মনে হচ্ছিল আমরা এরকম ফ্ল্যাট বাসায় থেকেও যদি এই অবস্থা ফিল করি। তাহলে যারা রাস্তায় বসবাস করছে যাদের নেই কোন বাড়ি ঘর সামান্য মাথা গুজানোর জন্য একটু ঠাঁই টুকু নেই তারা কিভাবে কি অবস্থায় আছে।যে পরিমাণ বাতাস একটু বাইরে গেলেই মনে হয় নাকে বাতাস ঢোকে নাক দিয়ে জল বেরোচ্ছে।তারপরও বাসায় এসে আমাদের নিজেদের কত যত্ন নিতে হয়।কিন্তু যারা ওই রাস্তায় পথচারী শিশু গুলো অযত্নে অবহেলায় সারাটা দিন কাটিয়ে দিচ্ছে তারা কিভাবে আছে অনেক প্রশ্ন যদিও মনের মধ্যে ঘুরপাক খায় কিন্তু কিছুই করার নেই।
কারণ আমার সেই সুযোগ নেই। সুযোগ নেই বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি আমার সেরকম আর্থিক অবস্থা নেই। তবে সৃষ্টিকর্তা যতটুকু দিয়েছে সেটাই শুকরিয়া আদায় করি। হয়তো তাদের পাশে থেকে একটু সহযোগিতা করতে পারি। এর বেশি হয়তো আমরা পারিনা। দুদিন থেকেই এমন অবস্থা। আসলে শীতের এই সময়টা সবথেকে কষ্ট কাদের আমার মনে হয় পথচারী শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষদের। একেক মানুষের কষ্ট একেক রকম। পথচারীর শিশুদের কষ্ট একরকম আর বৃদ্ধ বা বয়স্ক ব্যক্তিদের কষ্ট আরেকরকম। যারা পথে থাকে সৃষ্টিকর্তা তাদের অন্যরকম একটি শক্তি দিয়ে থাকে। তাদের মনের জোরও থাকে অনেক তাদের থেমে গেলে চলবে না।
প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে তাদের টিকে থাকতে হয়। হয়তো দুমুঠো খাবার খেয়ে না খেয়ে তাদের দিনরাত পাড়ি দিতে হয়। এরপরেও তারা থামেনা তারা ঠিকই প্রতিটি দিন লড়াই করছে। যুদ্ধ সংগ্রামের মাঝেও টিকে থাকছে। এমন কুয়াশা ঘন আবহাওয়া মনে হয় চার দিকটা অন্ধকার। দিনের বেলা বের হলেই হার কাঁপুনি ঠান্ডা আর রাতে তো আকাশ থেকে মনে হয় টুপটাপ করে বৃষ্টির পানি পড়ছে। এটা প্রকৃতির সৌন্দর্য কিন্তু সবার চোখে নয়। কেউ হয়তোবা এই কুয়াশা ঘন আবহাওয়ার সৌন্দর্যটা অন্যভাবে উপভোগ করছে। কত আয়োজন আয়েশ করে রাত জেগে সৌন্দর্য উপভোগ করে। আবার পথচারী শিশু গুলো কিছু বস্তা ও পুরাতন কাপড় জড়িয়ে কুয়াশা যেন না ঢুকে সেজন্য চার দিকটা কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে ঘর বানিয়ে সেই ঘরের ভেতর থাকে।এইতো জীবন আর এটাই বাস্তব।
আমার পরিচয়
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩



