গল্প পোস্ট ||| শেষ চিঠি পর্ব-০৮||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারো আমার ছোট গল্প "শেষ চিঠি পর্ব-০৮" হাজির হয়েছি।গত পর্বগুলোতে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে।আসলে কোন কাজ করলে সেই কাজের যদি প্রশংসা পাওয়া যায় তাহলে কাজ করার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে যায়। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পর্বে কি আছে তা দেখে নেওয়া যাক।
প্রিয়া ও আশেক দুজন দুজনকে দেখে চুপচাপ রয়ে গেল। আশিক অভিনয় করে প্রিয়াকে বলল কেমন আছেন আপনি।প্রিয়া কোন কথা না বলে উপরে চলে গেল। তখন তোমার কিছুই বুঝতে পারল না তোমার দৌড়ে গিয়ে পিয়াকে বলল কি হয়েছে তুমি আমার বন্ধুর সঙ্গে এমন বিহেভ করলে কেন। প্রিয়া কোন কথা না বলে চুপ করে রইল এবং বলল হঠাৎ করে আমার মাথাটা ঘুরছিল তাই উপরে চলে এলাম। প্রিয়া একদিন তমালের ফোন থেকে আশিকের ফোন নাম্বারটা তার ফোনে সেভ করে রাখল। হঠাৎ একদিন আশিককে ফোন দিলে আশিক বললো কে প্রিয়া তখন বলল কন্ঠ শুনেও কি আমাকে চিনতে পারছ না কি দরকার ছিল এমন অভিনয় করার।
আশিক বলল অভিনয় তো আমি করিনি তুমি তো দিব্যি বিয়ে করে ফেললা কিন্তু আমি তো আজও বিয়ে করিনি তোমার অপেক্ষায় রয়ে গেলাম। ভুল কি শুধুই আমার তুমি কোন যোগাযোগ করো নি। আমি অনেক চেষ্টা করেছি আজও তোমার অপেক্ষায় আছি কিন্তু তুমি কখনো আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারবে না কারণ আমার বন্ধু আমার এক অংশ । আমার এক পৃথিবী আমার মা আরেক পৃথিবী আমার বন্ধু আমি চাইনা আমার বন্ধুকে কষ্ট দিতে। দয়া করে তুমি কখনো আর আমাকে ফোন দিবে না ডিস্টার্ব করবে না আমার কষ্ট আমি সারা জীবন বুকে চেপে রইবো। প্রিয়া আর নিজেকে সহ্য করতে পারছিল না । এই অভিনয় করতে করতে প্রিয়া অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
জীবনে কতই না কষ্ট অত্যাচার ও সহ্য করেছি এই আশিকের জন্য একটা সময় মায়ের অত্যাচারে আমাকে বিয়ে করতে হয়েছে তমালকে। আমি তো আর ইচ্ছা করে বিয়ে ঠিক করিনি। জীবনের শেষ মুহূর্তে যখন তোমার দেখা পেয়ে গেলাম। আমি কি করে তোমাকে এখন ভুলবো ।প্রিয়া কেন জানি সব সময় নতুন বাসায় এসে চুপচাপ থাকে তার তার শশুর শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলার সংসারের প্রতি তার কোন খেয়াল নাই সব সময় অনীহা এবং বিরহ একটি ভাব। তারপরে প্রিয়ার মাকে প্রিয়ার শশুর শাশুড়ি ফোন দিল এবং বলল হয়তো আপনার মেয়ের আপনার জন্য কষ্ট লাগছে সব সময় মন খারাপ হয়ে থাকে ওকে কিছুদিনের জন্য পাঠিয়ে দিলাম আবার নিয়ে আসবো আমরা গিয়ে।
প্রায় ১৫ দিনের মত হয়ে যায় কিন্তু প্রিয়া কিছুতেই তার শ্বশুরবাড়িতে আসতে চায় না। প্রিয়া তার মাকে বলে মা আশিক কে খুঁজে পেয়েছি আমি আর তমালের সংসার করবো না। কেন জানি বাজ পড়ে গেল প্রিয়ার কথাটি শুনে। এখন আবার পুরাতন বিপদ নতুনভাবে সৃষ্টি হল।যেটা ভয় করেছিস সেটাই হয়ে গেল। প্রিয়ার মা কিছুতেই বুঝতে পারছে না কি করবে। প্রিয়ার বাবা এবং মা দুজনে মিলে প্রিয়াকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করছিল।
কিন্তু কিছুতেই যখন কাজ হচ্ছিল না তখন আশিকের সঙ্গে দেখা করে আশিককে অনেক অনুরোধ করলো। আশিক প্রিয়ার বাবাকে বলল আপনি চিন্তা করবেন না আমি কখনও প্রিয়ার ডাকে সারা দেবো না কারণ আমি আমার বন্ধুকে অনেক ভালোবাসি। প্রিয়া আবারো আশিককে ফোন করে বলে আশিকের সঙ্গে দেখা করবে কিন্তু আশিক কিছুতেই দেখা করে না। একদিন খুঁজতে খুঁজতে চলে গেল আশিকের বাসায়। সেখানে গিয়ে আশিকের মায়ের সঙ্গে অনেক কথা বলল এবং আশিকের সঙ্গে তারা দুজনেই বললো এবং বলল এরকম ক্ষতি বাবা তুমি করো না আমরা দুজন তমাল বাবাকে অনেক ভালোবাসি আমি চাইনা তার কোন ক্ষতি হোক।
রিয়া বলল আমি যদি আশিককে না পাই তাহলে হয়তো বা তমালের সংসার করা হবে না এবং আমি এই পৃথিবী থেকে চলে যাব। কিন্তু প্রিয়ার কোন কথা না শুনেই আশিক বলল তুমি চলে যাও বাসায়। একটি সময় প্রিয়া তার জীবনের শেষ চিঠি লিখে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যায় এবং তার স্বামীকে কোন কথা নিজের মুখে না বলে তার স্বামীকেও একটি চিঠি লিখে যায়। দুটো চিঠি একটি আশিকে দেওয়া হলো এবং আপরটি তামালকে দেওয়া হল। প্রিয়া, তার জীবন দিয়ে শেষ চিঠি লিখে চলে গেল ওপারে।
আজ যাচ্ছি অন্য কোনদিন আবারো হাজির হব নতুন কোন গল্প নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩