মেট্রোরেল এ ভ্রমণ..

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি।আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ সারাদিন ধরেই ভাবছিলাম পোস্ট করবো, পোস্ট করবো! কিন্তু কি বিষয়ে পোস্ট করবো, সেটাই মাথায় আসছিলো না। তখন ভাবলাম ছবির গ্যালারি তে চলে যাই। গ্যালারিতে গিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণের কিছু ছবি দেখে মনে হলো আজ এ নিয়েই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷

IMG20241009160356.jpg


ঢাকায় মেট্রো রেল চালু হয়েছে দেখতে দেখতে বেশ অনেকটা সময়ই হয়ে গিয়েছে। তবে যদিই আমি ঢাকা শহরেই থাকি, তারপরও অক্টোবর মাসের আগ পর্যন্ত আমার আর মেট্রোতে চড়া হয়ে উঠে নি!! আমার অফিস যাতায়াতের পথে মেট্রো পরলে হয়তো রোজই মেট্রোতে করে চলাচল করা হতো। তবে আমার অফিসের পথ ছিলো অন্য রুটে। আবার কখনো অন্য কোন প্রয়োজনেও আমার আর মেট্রো রেলে চড়া হয়ে উঠে নি।মেট্রো রেল এর পথচলার শুরুর দিকে অনেকে তো এমনি এমনি শুধুমাত্র মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্যই কোথাও থেকে ঘুরে আসতো! আমাদের সেটাও হয় নি! যাই হোক, আমার অবশ্য এ নিয়ে আফসোস ও হয় নি তেমন একটা কখনো! অন্যদের অভিজ্ঞতা পড়তাম, ভালোই লাগতো। ও পর্যন্তই ছিলাম যে একই শহরে চলাচল যেহেতু করা হয়, কখনো না কখনো তো প্রয়োজন হবেই; তখন প্রয়োজন এই ব্যবহার করা হবে!

IMG20241009171429.jpg


IMG20241009161836.jpg



সেই প্রয়োজন এলো অক্টোবর মাসে এসে! আমি দুই ননদকে সাথে নিয়ে ঘুরতে যাবো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তো প্রথমে ভেবেছিলাম সিএনজি করেই চলে যাবো সরাসরি মোহাম্মদপুর থেকে। কিন্তু তখন বৃষ্টি হওয়ায় আগেভাগে গুগল ম্যাপে দেখলাম রাস্তার অবস্থা বেশ নাজেহাল!! তো সিদ্ধান্ত নেই যে কোনরকমভাবে ফার্মগেট পর্যন্ত গিয়ে মেট্রোরেল এ করে বাকিটুকু চলে যাবো। এতে সাথে থাকা ছোট ননদও বেশ খুশি। ও মূলত রংপুরে থেকে ঢাকায় এসেছিলো একটা কাজে। তাই ওর ও কখনো মেট্রোরেল এ চড়া হয় নি। আমার মতো সেও ভীষণ এক্সাইটেড ছিলো। ফার্মগেট এ গিয়ে দেখি টিকিট লাইনে বেশ ভীড়। তারউপর সবগুলো কাউন্টার ঠিকঠাক কাজও করছিলো না। আমরা তিন জন তিন লাইনে দাঁড়িয়ে যাই৷ যে আগে সুযোগ পাবে সেই ৩ জনের টিকিট করে নিবো। ২০ মিনিট পর আমিই আগে পেয়ে যাই টিকিট । এরপর উপরে উঠে আবারও লাইনে দাঁড়াই। ৫ মিনিট অপেক্ষা করতেই মেট্রো চলে আসে!

IMG20241009171442.jpg


আমরা মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট কামরার ভেতরে উঠি এবং যথেষ্ট ভীড় ছিল সেই কামড়ায়, ছবিতে বোঝাই যাচ্ছে। তবে যেহেতু আমরা ফার্মগেট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গিয়েছি, খুব বেশিক্ষণ সময় লাগে নি। তাই তেমন অসুবিধাও হয় নি!বসার সুযোগ যেহেতু হয় নি,তাই সীট নিয়ে তো কোনো মতামত জানাতে পারছি না। তবে জার্নিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। প্রতিটি স্টেশনের আগে বেশ ভালো করে বাংলায় এবং ইংতেজিতে ব্রিফিং দেয় কোন স্টেশন এ থামতে যাচ্ছে, পরবর্তী স্টেশন কোনটা হবে ইত্যাদি। এবং সতর্কতার বিষয়গুলিও বেশ ভালো ভাবে এনাউন্সমেন্ট করতে থাকে। তবে ওই যে আমার কাছে মনে হয়েছে যাতায়াতের সময় বেঁচেছে ঠিকই, তবে টিকিটের লাইনে ঠিকই একটা বিশাল সময় লেগে যাচ্ছে! টিকিটের লাইনে সময়টা কমিয়ে আনতে পারলে আরও উপকৃত হবে সবাই। অবশ্য তার পরে জানা গেছে যে টিকিট এর সংকটের কারণেই অনেক টিকিট কেন্দ্র কাজ করছিলো না। যা ইতিমধ্যে সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা। রিসেন্ট কেউ মেট্রোরেল এ যাতায়াত করলে আপডেট টা দিবেন কাইন্ডলি--।

আজ আর আমি কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

PUSS.png

2ADPRBseKViTiLXUVCVcyKFFWwAQqRwPpNQSzHtUi2RNRAqmtaYXVePNznvthWTiKKFEk4EbRfwux6CuwsJ5AdzuSvjS6fzMA5fAA4Y1CW...qejroL7Ny1fgjD8vjRSRCARb7j8ome286FSutyVqFH96mi8ANj6PyFMjnWZcArE6PJDNk8DXMW8gVmYMokCaY4CX44YupoyUxF6CSnmBhY5cK3FBL7XWc4rv6.webp

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে আমার কাছে ও অনেক বেশি ভালো লাগে। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হ ওয়ার পর আমাদের জন্য অনেক টা সুবিধা হয়েছে। আমরা এখন অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি। আপনি দেখছি মেট্রোরেল ভ্রমণের কাহিনী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো।

 last year 

আসলেই মেট্রোরেল চালু হওয়াতে অনেকেরই অনেক সুবিধা হয়েছে৷ এবং সময় ও সেভ হচ্ছে।

 last year 

বর্তমানে ঢাকা শহরে যে রাস্তার পরিস্থিতি তাতে মেট্রোরেল এ ভ্রমণ করলে অনেকটাই সময় বাঁচানো যায় তাই ফার্মগেট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছিলেন। যেহেতু আপনার ননদরা ও রংপুর থেকে এসেছিল তাই তাদেরকে নিয়ে মেট্রোরেলের ভ্রমণটা বেশ ভালোই ছিল তবে মহিলাদের কামরাতেও প্রচন্ড ভিড় ছিল মনে হচ্ছে।

 last year 

হ্যা। আসলেই বেশ ভীড় ছিলো মহিলাদের কামরাতেও! বিশেষ করে নামার সময়ে বেশ ধাক্কা লাগছিলো।

 last year 

ঢাকার ফার্মগেট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রো রেলের ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। টিকিটের লাইনে প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর টিকিট পেলেন এবং মেট্রোরেলে ভ্রমণ করলেন। সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা পড়ে আমার বেশ ভালই লাগলো। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

আমি গিয়েছিলাম গত মাসে। তখনই টিকিটের সমস্যা চলছিল। তবে নতুন টিকিট এসেছে এবং ঐ সমস্যা দূর হয়ে হয়েছে বলে শুনেছি। মেট্রো টা ঘোরার জন্য বেশ দারুণ মনে হয় আমার কাছে। বেশ অন‍্যরকম একটা ব‍্যাপার স‍্যাপার হা হা।

 last year 

আসলেই বাস জার্নির চেয়ে তো বেশ ভালো অভিজ্ঞতা। ভাবসাব ই আলাদা!

 last year 

মেট্রোরেলে আমিও ওঠে কখনো সিট পাইনা। কারা যে সিট পায় তাই ভাবছি 😆।
যাইহোক আপনারা তিনজন নতুন একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছেন। ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট দেখে। ঢাকা শহরে যাতায়াতের জন্য সত্যিই মেট্রোরেল অনেক প্রয়োজনীয়। আপনাদের কাটানো মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো।

 last year 

মেট্রো রেল চালু হওয়াতে আসলেই অনেকেই অনেক স্বস্তি পেয়েছেন। বিশেষত মেয়েদের আলাদা কামরার ব্যবস্থা করায় মেয়েদের জার্নির ভোগান্তি অনেক কমে গিয়েছে বলে আমি মনে করি।

 last year 

মেট্রোরেল অনেক সময় বাঁচায়। আমি অনেকের লেখায় পড়েছি ঢাকায় অসম্ভব জ্যাম হয়, সেক্ষেত্রে অফিসযাত্রী ও ডেইলিপ্যাসেঞ্জার দের জন্য মেট্রো খুবই সুবিধাজনক যানবাহন৷ আপনি যে ভিড় ফেস করেছেন সেটা হয়তো কিছুদিন পর সিস্টেম ধাতস্থ হয়ে গেলে কমে যাবে। কারণ ডিমান্ড অনুযায়ী সাপ্লাই ও আসবে আশা করি। বা যারা নিয়মিত যাত্রার করে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে৷ আপনার তবে প্রথমদিন হিসেবে বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে বলা চলে৷

 last year 

হ্যা দিদিভাই। আমার প্রথম মেট্রোরেল এ ভ্রমণে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর তাছাড়া যারা রেগুলার যাত্রী, তাদের জন্য আলাদা কার্ডের ব্যবস্থা আছে৷

 last year 

ঠিক তাই মেট্রোরেল সময় বাঁচিয়েছে ঠিকই কিন্তু টিকেট কাটতে যে সময় যায় তা খুব একটা কম না। এখনতো দেখছি ৫লক্ষ টিকেট এর মধ্যে ২ লক্ষ টিকেটই মানুষ নিয়ে গেছে। ফলে এখন টিকেট পেতে আরও বেশি সময় লাগছে। কবে যে আমরা সভ্য হবো তাই ভাবি। আমাদের সংগ্রহশালায় টিকেটও বাদ যায় না। তবে বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার মেট্রোরেল জার্নিতে।

 last year 

আসলে অনেক মানুষ বোধ হয় জানতোই না যে সেই টিকিট ফেরত দিতে হবে। আরো বেশি অবাক লাগে যে টিকিট ফেরত না দিলে মানুষ গুলো বের হয়েছে কিভাবে! কারণ একজন একজন করে টিকিট জমা দিয়েই তো বের হতে হয়!! কি ম্যাজিক কে জানে!

 last year 

ঢাকা মেট্রো যথেষ্ট ভালো একটি পরিষেবা প্রদান করে। আমি ঢাকা গিয়ে এই মেট্রো চেপেছি। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও গেছিলাম। আপনার মেট্রো রেলের যাননি পোস্টটি পড়েও ভালো লাগলো। নস্টালজিক হলাম। আমাদের দেশে বিভিন্ন শহরে মেট্রো আছে। আমি সেই সব মেট্রো চড়েও দেখেছি। ঢাকা মেট্রো সেসব দিক দিয়ে কম নয়।

 last year 

আরে বাহ! আপনিও তো তাহলে আমার আগে এদেশের মেট্রোতে চড়েছেন 😃। আসলেই সেবার দিক থেকে সন্তুষ্ট সেটা মানতে হবে৷ তবে আরোও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ রয়েছে উন্নত করার।

 last year 

রিসেন্ট কেউ মেট্রোরেল এ যাতায়াত করলে আপডেট টা দিবেন কাইন্ডলি--।

আমি গত পরশুদিন অর্থাৎ সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মিরপুর ১১ মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়েছিলাম একটু জরুরী কাজে এবং ঘন্টা খানেক পরে আবার মিরপুর ১১ মেট্রোরেল স্টেশন থেকে বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনে নেমেছিলাম। তো যাওয়া আসার পথে দুইবারই লম্বা সিরিয়াল ধরে টিকেট কিনতে হয়েছিল। এই জিনিসটা খুবই বিরক্তিকর। যাইহোক মেট্রোরেল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ওহো! এই লম্বা লাইনের দাঁড়ানোর বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে আরোও অনেক বেশি টাইম সেভ হতো যাত্রীদের। তবে কিছুক্ষণ পর পর ই যেহেতু মেট্রো আসতে থাকে তাই টিকিট কাটার পর আর বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয় না।

 last year 

বিকল্প ব্যবস্থা এমআরটি পাস কিনলেই হয়। তারপর শুধু রিচার্জ করলেই হবে। যারা রেগুলার যাতায়াত করে,তারা এমআরটি পাস নিয়ে নেয়। আমার মাঝেমধ্যে মেট্রোরেলে চড়তে হয় বলে এমআরটি পাস নেওয়া হয়নি। মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়ে ফর্ম পূরণ করে এমআরটি পাস নিতে হয়। ফর্ম পূরণ করতে একটু সময় লাগে।