জন্মদিন..
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি।
জন্মদিন যে কোন মানুষের জন্যই স্পেশাল একটা দিন। সবার কথা জানি না, তবে আমার নিজের জন্মদিনে সারাটা দিন খুব ভালো কাটে। নিজেকে স্পেশাল স্পেশাল লাগে 😅। যদিও আহামরি সেলিব্রেশন বা অনেক মানুষের উইশ আমাকে বেশ বিব্রতই করে। আমাকে ভাবায় যে আসলেই আমি এমন ভালোবাসার যোগ্য কি না।
হুট করে জন্মদিন নিয়ে এত কথা বলছি কারণ গতকাল, ২৩ সেপ্টেম্বর ছিলো আমার জন্মদিন। আর এবারের জন্মদিনটা আমার জন্য ভীষণ মন ভালো করা একটা জন্মদিন ছিলো। তাই আপনাদের সাথে কিছু আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করতে হাজির হলাম। আসলে এবারের জন্মদিন টা গত দুইবারের জন্মদিনের চেয়ে অনেক স্পেশাল কারণ এবারে সাথে আমার বাবা-মা ছিলো। গত দুইবারের জন্মদিনে বাবা-মা আমার কাছে ছিলো না। তাই সারাদিনই তাদের খুব মনে পড়েছে। এবারে বাবা-মা একদিন আগেই চলে এসেছে আমার বাসায়। এবারে আবার খুব বিশেষ একটা তিথিতে জন্মদিনটা পড়েছে। কাল ছিলো রাধাঅষ্টমী তিথি। আমি বাবা আর মা আমরা তিন জনই উপোস ছিলাম। উপোসের আগের দিন যেহেতু নিরামিষ খেতে হয় তাই কোন কেক কাটা হয় নি। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে, বাবা-মাকে প্রণাম করি। মা অনেকক্ষণ বুকে জড়িয়ে ধরে মন ভরে আশির্বাদ করে দেয়। এরপর মাকে আর দাদাকে নিয়ে বের হই তাতীবাজারের উদ্দেশ্যে। উদ্দেশ্য - মন্দিরে পুজো দিবো আর আরেকটা বিশেষ উদ্দেশ্য ছিলো যা পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করবো...
ওদিকে যেহেতু অফিসও আছে, তাই অফিসে বসকে জানিয়ে রাখি যে আজকে অফিসে যেতে একটু দেরি হবে। মন্দিরে আমার নামে মা পুজো দেয়, ধুপ-মোমবাতি জ্বালিয়ে মঙ্গল কামনা করে। মন্দিরে পুজো শেষে আরেকটা কাজ শেষ করি। করে আমি অফিসে চলে যাই আর দাদা আর মা বাসায় ফিরে আসে।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
ওদিকে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেই পায়েসের ঘ্রাণ পাই। মা পায়েস রান্না করছে আমার জন্য। জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছরই মা পায়েস রান্না করে।আসলে গত দুই বছর এটাও ভীষণ মিস করেছি। তাই এবারে দেখেই মন কী পরিমাণ খুশী হয়ে গিয়েছিলো, বুঝাতে পারবো না। মা আবার সন্ধ্যায় পায়েস খাইয়ে দিয়ে আশির্বাদ করলো। এভাবেই আমার স্পেশাল জন্মদিন টা কাটালাম।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।








শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। কিন্তু কি হলো দিদি, আমি তো আপনার বাসার কাছাকাছিই অফিস করি। আমায় তো একটু বলতে পারতেন। তাহলে এই সুযোগে আন্টির হাতে খাবারও খাওয়া যেত আর আপনার গিফ গুলোও দেখা যেত। চাইলে আপনি একটি পোস্টও করতে পারতেন সেই বিষয় নিয়ে। হি হি হি। বেশ ভালো অনুভূতি প্রকাশ করেছেন দিদি।
তাহলে গিফট নিয়ে আগামীকাল চলে আসেন আপু। আমার আবার জন্মদিন মাসব্যাপী ও পালন করতে সমস্যা নাই... 😇😇।
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা দিদি।জন্মদিনটা আসলে আমাদের কাছে বিশেষ একটি দিন সেটা পালন করা হোক বা না হোক। তবে এবারের জন্মদিনে বাবা মাকে কাছে পেয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।এই দিনে বাবা-মা কাছে না থাকলে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। সবার সঙ্গে বেশ উপভোগ করেছেন জন্মদিনটা যদিও নিরামিষ ছিল। যাইহোক সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপুন আপনার শুভকামনার জন্য। আসলেই সবার সাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি এবারে।
প্রথমেই জানাই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এবারের জন্মদিনটা বাবা মার সঙ্গে কাটালেন জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। এমন স্পেশাল দিনে বাবা মা কাছে থাকলে দিনটা আরও স্পেশাল হয়ে ওঠে । সৃষ্টিকর্তা আপনার সকল মনের আশা পূরণ করুক, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার এত সুন্দর শুভকামনার জন্য। 😍 ভালোবাসা নিবেন। আসলেই স্পেশাল দিনগুলোয় কাছের মানুষগুলো থাকলেই দিনটা স্পেশাল হয়ে যায়, আলাদা করে স্পেশাল কিছু করা লাগে না।