নিজের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নেওয়া মানে কী আত্মসমর্পণ!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের প্রতিটি মানুষের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এবং এই সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়েই যদি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে সেটাই হবে সঠিক পথ। কারণ, আমরা সবসময় ভাবি যে সীমাবদ্ধতা নেওয়া যাবে না। কারণ, আমরা সীমাবদ্ধতাকে খারাপ হিসেবে দেখি। অর্থাৎ, আমার কোনো একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে, কিন্তু সেটা আমি কোনোভাবেই মানতে নারাজ।
আর তাই ভাবলাম, আজকে এই বিষয়টি নিয়েই আপনাদের সাথে একটু লেখালেখি করা যাক। কারণ, আসলে আমাদের সকলের মধ্যেই কিন্তু কোনো না কোনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এবং আমাদের সকলের মধ্যেই এমন অনেক বড় বড় সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেগুলোকে আমরা আমাদের জীবনের সর্বোচ্চ বাধা হিসেবে ধরে নিতে পারি।
কিন্তু সীমাবদ্ধতা মানেই কিন্তু আত্মসমর্পণ করা নয়। অর্থাৎ, একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখবেন প্রতিটি মানুষ ভেদে, তাদের অবস্থান ও পরিস্থিতি ভেদে সীমাবদ্ধতাও কিন্তু আলাদা। ধরুন, আমি কোনো একটা বিষয় পড়াশোনায় পারছি না, কিংবা আমার মেধা হয়তো একটু কম এটা আমার সীমাবদ্ধতা। কিন্তু আমার মেধা কম বলে যদি আমি পড়াশোনা একেবারেই ছেড়ে দিই, সবকিছু হারিয়ে ফেলি, তখন সেটা হয়ে যায় আত্মসমর্পণ করা। আর কখনোই আসলে এভাবে আত্মসমর্পণ করা যাবে না।
কারণ, আমাদের সকলেরই সীমাবদ্ধতা থাকবে, এবং সেই সীমাবদ্ধতা থাকাটাই খুব স্বাভাবিক। আর এই সীমাবদ্ধতাকে কিভাবে নিজের শক্তি বানানো যায়, এই সীমাবদ্ধতাকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে জীবনের পথে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।সেটা যদি আমরা রপ্ত করতে পারি, তবে সেটাই হলো আসল বিজয়।
কারণ, যেহেতু আমাদের জীবন কখনোই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, এবং সৃষ্টিকর্তা আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ রূপে পাঠাননি, সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকবে প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে। যেমন, আমরা অনেক সময় অনেকের দিকে তাকিয়ে ভাবি, “তার এটা রয়েছে, আমার নেই” ব্যাপারটি আসলে ভুল। কারণ, তার এমন কিছু হয়তো নেই, যেটা আমার আছে, এবং অনেক ভালো আছে। অর্থাৎ, সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়।

