নিজের অনুভূতিগুলোকে সম্মান করা দরকার
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের নিজের অনুভূতিগুলোকে সব সময় সম্মান করা উচিত, কারণ আমরা যদি আমাদের নিজের অনুভূতিগুলোকেই সম্মান না করতে পারি কিংবা আমরা যদি আমাদের নিজেদের অনুভূতিগুলোকে অসম্মান করি, তাহলে অন্য কেউ কখনোই সম্মান করবে না। এটা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না এবং শুধুমাত্র বুঝতে পারি না তা নয়, এটা আমরা অনেক সময় বুঝতে চাইও না। কারণ একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের সামনে যদি কোন সমস্যা আসে কিংবা কোন কিছুর চয়েস করতে বলা হয় এবং সেই অপশনের মধ্যে যদি আমার নিজের এবং অন্য কারো ব্যাপার থাকে, তাহলে আমরা সবসময় ভদ্রতার খাতিরে অন্যের সমস্যাটি আগেই দেখি।
কিন্তু সব সময় এমন করা উচিত নয়। অবশ্যই অন্যকে সম্মান করা উচিত, অন্যের সমস্যার মূল্য দেওয়া উচিত এবং অন্যের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। কিন্তু সবসময় নিজের অনুভূতিকে ছোট করে, নিজের অনুভূতিকে লুকিয়ে রেখে, নিজের অনুভূতিকে কম গুরুত্ব দিয়ে অন্যের অনুভূতিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়াটা কাজের কথা নয়। কারণ আমি আজকে আমার অনুভূতিকে ছোট করছি, আমি আজকে আমার অনুভূতিকে অসম্মান করছি কিংবা কম গুরুত্ব দিচ্ছি, মানেই হলো অন্যরাও আমার অনুভূতিকে কম গুরুত্ব দেবে।
তাই সবসময় আমার নিজের মতামত যদি যৌক্তিক হয় কিংবা আমার নিজের মতামত যদি গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে অবশ্যই সেই মতামতকে আমাদের আগে সম্মান দেওয়া উচিত, আগে প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত। কারণ এটা আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে, আমরা যদি আমাদের নিজেদের কথাকেই গুরুত্ব দিতে না পারি, তাহলে আমরা আসলে অন্যের কথাটি কি করে গুরুত্ব দিব! আর আমাদের মধ্যে যদি সে কনফিডেন্স লেভেলটাই না থাকে, তাহলে আমি অন্যের সামনে কি করে রুখে দাঁড়াবো, সেটা কিন্তু কখনোই সম্ভব নয়। তাই সবসময় নিজের কথাকে, নিজের ব্যাপারগুলোকে সম্মান করতে হবে।

