বেঈমানীর শাস্তি
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের চারপাশে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে। যারা শাস্তিতে বিশ্বাস করে। আমি আসলে তার মধ্যে খুব একটা যে একজন তা বলতে পারছি না। তবে একেবারে একজন নয়, সেটাও বলতে পারছি না এবং সেটা কেনো বলতে পারছি না। সেটা আমার এই সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে আপনারা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারবেন। কারণ কিছু কিছু ব্যাপারে আসলে সত্যিই শাস্তি দেওয়া যায় না। চাইলেও হয়তো সেটা করা যায় না।তার কিছু কারণও রয়েছে। আসলে আমি কারণগুলো বললে তবেই বুঝতে পারবেন যে, আমি এই ধরনের কিংবা এই কথাটি কেনো বলছি।
আমরা শাস্তি কাদেরকে খুব সহজে দিতে পারি বলুন তো? যাদের সাথে আসলে আমাদের কোনো আত্মার সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ আমাদের যাদের সাথে কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক নেই। হয়তো বা কাজের সম্পর্ক রয়েছে এবং কাজের সম্পর্কে আসলে, কাজে ভুল করলে। কিংবা দোষ করলে কিংবা অপরাধ করলে অর্থাৎ কোনো অপরাধী যদি অপরাধ করে।তখন আমাদের শাস্তি দেওয়াটা খুব সহজ হয়ে যায়। কিন্তু একটা বিষয় একটু ভেবে দেখুন। তো যদি আমাদের খুব ভালোবাসার মানুষগুলো আমাদের সাথে বেইমানি করে। আমাদের সাথে আসলেই অনেক খারাপ ব্যবহার করে কিংবা খারাপ আচরণ করে। তাহলে কিন্তু আমরা সহজেই তাদেরকে শাস্তি দিতে পারি?
আমার কথা যদি শুনেন অথবা আমার কথা যদি জিজ্ঞেস করেন। তাহলে সত্যিই আমি পারবো না এবং পারি না। আসলে বেইমানীর শাস্তি দিতে পারি খুব ভালোভাবে। কিন্তু সেখানে যখন নিজের আপনজনেরা চলে আসে, খুব প্রিয়জনেরা চলে আসে। তখন তারা যখন বেইমানি করে। তখন আসলে শাস্তি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকে না। কারণ তখন মানসিক অবস্থায়র ই এতো বেশি বিপর্যয় হয়ে যায় যে, তখন আসলে সেই মানুষটি কিভাবে আমাকে কষ্ট দিলো কিংবা সে কিভাবে বেইমানি আমার সাথে করলো। সেটা ভাবতে ভাবতেই দিন চলে যায়। অর্থাৎ তাকে শাস্তি দেয়ার মতোন মানসিকতা আর আসে না। আর দুঃখের বিষয় হলো, আপনজনেরাই সবচেয়ে বেশি বেইমানি করে।
এটা একদম সত্যি কথা আপন মানুষগুলোই বেশিরভাগ সময় বেইমানি করে। আর সেই মানুষগুলোর আসল রূপ আমরা তখনই দেখতে পাই। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দারুন লিখেছেন আপনি।