কখনো কখনো চুপ থাকাটাই সবচেয়ে বড় জবাব
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
কখনো কখনো চুপ থাকাটাই সবচেয়ে বড় জবাব, এই কথাটা আমি সত্যি খুব বিশ্বাস করি। সব সময় কথা বললেই যে সমস্যার সমাধান হয় বা কেউ বোঝে, সেটা না। অনেক সময় চুপ থাকাটাই হয় আসল প্রতিক্রিয়া। আমরা অনেকেই কিছু বলতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে ফেলি, অথচ একটু যদি চুপ করে থাকতাম, হয়তো অনেক কিছু ঠিক থাকত।
চুপ থাকা মানেই দুর্বলতা নয়। বরং অনেক সময় চুপ থাকা মানে নিজের ধৈর্য দেখানো, নিজের শক্তি ধরে রাখা। মানুষ যখন আবেগে থাকে, তখন অনেক কিছু বলে ফেলে যেগুলোর পরে হয়তো সে নিজেই আফসোস করে। আমি নিজেও এমন করেছি অনেকবার। কিন্তু এখন বুঝি, কিছু পরিস্থিতিতে চুপ থাকা মানে নিজেকে কন্ট্রোল করা, পরিস্থিতিকে একটু সময় দেওয়া।
চুপ থাকলে নিজেকেও বোঝা যায় ভালোভাবে। নিজের মনের ভেতরের কথাগুলো শুনে নেওয়ার একটা সুযোগ পাওয়া যায়। আর তাতে করে পরেরবার হয়তো আমরা আরও পরিণত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। আমি অনেক সময় এমন অবস্থায় থেকেছি, যেখানে খুব বলতে ইচ্ছে করেছে, কিন্তু বলিনি। তখন মনে হয়েছে, ঠিক করলাম তো? কিন্তু পরে বুঝেছি, হ্যাঁ, ঠিকই করেছি। কারণ কিছু জবাব শব্দে নয়, নীরবতায় বেশি অর্থবহ হয়।
সব সময় জবাব দিয়ে নিজের অবস্থান প্রমাণ করতে হয় না। কিছু কিছু সময়ে, চুপ থেকেও মানুষ বুঝিয়ে দেয় সে কতটা সচেতন, কতটা পরিণত। তাই আমি মনে করি, আমরা সবাই যদি চুপ থাকার শক্তিটা একটু একটু করে নিজেদের ভেতরে গড়ে তুলি, তাহলে অনেক ঝামেলা এমনিতেই এড়ানো যায়। সবার সব কথা বা আচরণের জবাব দিতে হয় না, কিছু জবাব চোখে-মুখে, আচরণে, আর অনেকটাই নীরবতায় হয়ে যায়।

