শব্দহীন নিস্তরঙ্গ

in #banglalast year

শব্দহীন নিস্তরঙ্গ সময়ে কথার বুদবুদ……মন্দ কি?

কলকাতা ছেয়ে ফেলা একটা বিজ্ঞাপন ‘গলানো সোনা ১০০ টাকা’ হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল কয়েক বছর আগে। একইভাবে ২০২২ সালে জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ‘লাইন মারুন’ লেখা বিজ্ঞাপন হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। ‘লাইন মারতে শিখুন!’ বিজ্ঞাপনে ঢেকে গিয়েছিল হুগলী জেলার ব্যান্ডেল, শ্রীরামপুর, বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম শহরও। সব জায়গাতেই বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছে রাতের অন্ধকারে। হোর্ডিংয়ে লেখা হয়েছে ‘লাইন মারুন’, ‘নিখরচায় লাইন মারুন’, ‘লাইন মারতে শিখুন’ বা ‘লাইনে ঢুকুন দাদা’ এমন সব শব্দ।

যারাই বিজ্ঞাপনগুলো দেখেছেন বা বিজ্ঞাপনগুলো সম্পর্কে জেনেছেন তাদের মধ্যে রীতিমত বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন এমন বিজ্ঞাপনে নিম্ন রুচির মানুষরা উৎসাহিত হন, সমাজটা উচ্ছন্নে যাবে এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রশ্রয় পেতে থাকলে । এমন কথাও অনেকেই বলেছেন- চমক তৈরি করার তাগিদে এমন শব্দ ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না । কারুর কারুর মতে- শুধুমাত্র রোজগারের জন্যে কুরুচিকর ফ্লেক্স, ফেস্টুন, হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দেওয়া যায় না। হোর্ডিংয়ে কৃষ্টি, সংস্কৃতির সাথে মেলে না এমন শব্দ থাকছে কিনা সেটাও সুনিশ্চিত থাকা উচিত এমন দাবীও অনেকেই করেছেন। এরা সমাজের হজম শক্তির দিকে নজর রাখার পক্ষে। যদিও ‘লাইন মারতে শিখুন’ জাতীয় হোর্ডিং দেখে ভিড় করে ‘খ্যাক খ্যাক’ করে হাসছে এমন মানুষের সংখ্যাই সব জায়গাতেই বেশি এটাও বাস্তব সত্য ।

সমাজের ঠিকাদারদের কোন্‌ মুখটা আসল, আর কোন্‌টা মুখোশ – বোঝা কঠিন । আড়ালে আকথা কুকথার ঝড় চললেও, প্রায় সব সময়েই প্রকাশ্য সমাজে স্থিতাবস্থার অভিনয় চলে। তাই বিজ্ঞাপনের শব্দ চয়নে এপাশ-ওপাশ হলেও সংস্কৃতি অপসংস্কৃতির সেই চিরন্তন বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে । ‘লাইন’ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ব্লগার ও লেখক

Posted using SteemPro Mobile