আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

জন্মদিনে কাটানোর মূহুর্ত

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। সত্যি বলতে বাচ্চাদের এখন আর জন্মদিনের কথা বলা লাগে না। তারা নিজেরাই মনে রাখে।যদিও জন্মদিন করার তেমন কোন ইচ্ছে ছিল না।তবে মেয়ের জন্য জন্ম দিন কিছুটা হলেও পালন করতে হয় আরকি।যাইহোক কয়েক দিন আগে আমার বড় মেয়ের জন্মদিন ছিল। হঠাৎ করেই কিছুটা আয়োজন করা হলো।তবে তার আশেপাশের বন্ধু বান্ধব নিয়ে একটু ছোট আয়োজন করা হয়েছিল।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আসলে তারা এদিকে গোসল করে রেডি হচ্ছিল। আর অন্য দিকে আমি রান্না করতে ব্যস্ত ছিলাম।আমাদের বাড়িতে তিনজন বাচ্চা আছে। তারা আগে রেডি হয়ে বের হয়ে গেল বান্ধবীদের নিয়ে আসার জন্য আসলে তারা অনেক খুশি হয়েছিল।যাইহোক তারা এদিকে ঘুরতে থাকল আর অন্য দিকে আমি রান্না করতে লাগলাম। তাদের কাছে মনে হচ্ছিল ঈদের দিন। তারা এতোটাই খুশি বলার মতো নয়। তারপর বারবার আমার কাছে গিয়ে জিঙ্গাস করছে কখন কেক কাটবো। তখন আমি বললাম একটা তোমরা এখন কাটো। আর একটা পরে কাটবে।আসলো বাচ্চাদের বলতে দেরি করতে দেরি নয়। আসলে এটা কোক পড়াশোনা।

তাদের অন্য দিকে কোন নজর ছিল না। তাদের নজর ছিল সব সময় কেকের দিকে। কখন তারা কেক কাটবে। বাচ্চারা কেক নিয়ে একাই কাটার জন্য বসে গিয়েছিল। অথচ আমি রান্না শেষ করতে পারি নি।আমার মনে হয় সকল বাচ্চাদের কেক হলে আর কিছু লাগে না।

তারপর তারা কয়েক জন মিলে কেক কেটে ফেলল।যদিও আমরা তখন রান্না শেষ করতে পারিনি।যাইহোক একটা তাদের মতো করে কেটেছে। আর একটা আমরা পরে কেটেছি।আসলে ব্যস্ততার জন্য তেমন বাইরে তেমন ফটোগ্রাফি করা হয়নি।যাইহোক আগে কেক কেটেছে তারপর কিছু খাওয়া দাওয়া করেছিল। সেটা নিয়ে হয়তো অন্য দিন পোস্ট লিখবো। বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।

প্রয়োজনীয়	উপকরণ
ফটোগ্রাফার	@parul19
ডিভাইস	redmi note 12
লোকেসন	ফরিদ পুর

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।