"কাচ্চি ভাইয়ের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৬ ই মার্চ, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেকদিন ধরেই মেসের সবাই মিলে একসাথে বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছা করছিল। যদিও আমাদের মাঝে মাঝে মধ্যেই মোরগ পোলাও আর এমনি বিরিয়ানি খেয়ে থাকি। তারপরেও সবাই মিলে একসাথে বাইরে খুব কম খাওয়া হয়। কয়েকদিন আগে মেসের বন্ধু আর বড় ভাইদের সাথে ধানমন্ডির কাচ্চি ভাইয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। কাচ্চি ভাইয়ের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
হঠাৎ করে এই সন্ধ্যার দিকে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে, আজকে বাইরে থেকে বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খাব। তারপর আমি আমার বন্ধু রাহুল আর রাজু মিলে আমাদের মেসের পাপ্পু ভাইয়ের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম আশেপাশের কোন রেস্টুরেন্ট থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেলে ভালো হবে। তারপর ভাই বলল যে, তোমরা নিজেরাই সিলেক্ট কর কোনটা ভালো হবে। তারপর আমরা তিন বন্ধু মিলে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট সিলেক্ট করলাম। গত বছর অবশ্য এই কাচ্চি ভাই থেকেই অনলাইনে অর্ডার করে বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলাম অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
তারপরে অবশ্য এই এক বছরে অনেক জায়গাতে বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছি তবে কাচ্চি ভাইয়ের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানির মত টেস্ট কোথাও পায়নি। গত বছর অবশ্য অনলাইনে অর্ডার করে আমরা তিন বন্ধু মিলেই কাচ্চি ভাইয়ের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলাম। তারপর আমরা সন্ধ্যার পরে মোহাম্মদপুর থেকে দুটি রিকশা নিয়ে চারজন কাচ্চি ভাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মোহাম্মদপুর থেকে ধানমন্ডি দূরত্ব অল্প থাকায় এবং জ্যাম খুব কম থাকায় খুব তাড়াতাড়ি আমরা ধানমন্ডির কাচ্চি ভাইয়ে পৌঁছে গেলাম।
কাচ্চি ভাইয়ের সামনে গিয়ে সবাই মিলে প্রথমেই একটা সেলফি তুলে নিলাম। সত্যি বলতে সবাই মিলে একসাথে এভাবে বাইরে বের হলে অনেক বেশি মজা লাগে। তবে ঢাকা শহরে যানজটের কারণে এভাবে খুবই কম বের হই। মানে প্রয়োজনীয় দরকার ব্যতীত কেউই বাইরে বের হতে চায় না ঢাকা শহরে। এবারে আমার অনুরোধের জন্য অবশ্য সবার কাচ্চি ভাইয়ে আসা। কারণ বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি আমার ভীষণ পছন্দের।
যাই হোক আমরা কাচ্চি ভাইয়ের ভেতরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিজেদের টেবিলে বসলাম। তারপর ওয়েটার ম্যান এসে আমাদেরকে খাবারের মেনুটা দিয়ে গেল। এই মেনুতে অনেক রকমের খাবার রয়েছে তবে আমরা আগে থেকেই সিলেক্ট করে রেখেছিলাম যে, আমরা বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খাবো তাই খাবারের মেনু খুব একটা খুঁজতে হয়নি। তবে বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানির কোন প্যাকেজটি নেব এটা নিয়ে বেশ দ্বিধায় ছিলাম। তারপর সবাই মিলে ২:৩ বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি প্যাকেজটি সিলেক্ট করে ওয়েটারম্যানকে ডেকে অর্ডার দিলাম।
আমাদের অর্ডার করা এই বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানির প্যাকেজটির মূল্য ছিল ৮৯০ টাকা। তারপর নিজেরা বসে কিছু সময় গল্পগুজব করতে থাকলাম। কাচ্চি ভাইয়ের কোন কোল্ড ড্রিংকস না থাকাতে অবশ্য আমি বাইরে গিয়ে কোলড্রিংস কিনে এনেছিলাম। কারণ এ ধরনের খাবারের সাথে কোলড্রিঙ্কস খেতে ভীষণ পছন্দ করি আমি। আমাদের অর্ডারের খাবারটি ১০-১৫ মিনিট পরে এই ওয়েটার ম্যান এসে টেবিলে দিয়ে যায়। তারপর বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খাবার আমরা নিজেদের প্লেটে উঠিয়ে নিয়ে খেতে থাকি।
বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানির এতটাই সুন্দর হয়েছিল যে, আমরা আরও একটি সিঙ্গেল প্যাকেজের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার করি। আমাদের প্রথম প্যাকেজের খাবার শেষ না হতেই দ্বিতীয় প্যাকেজের খাবার দিয়ে যায় টেবিলে। তারপর আবার আমরা দ্বিতীয় প্যাকেজের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া শুরু করি। আহ্ খাবারের টেস্টই আলাদা। যদিও গতবারের তুলনায় এবারে কাচ্চি বিরিয়ানির পরিমাণটা কমিয়ে দিয়েছে তারপরেও খাবারের টেস্ট এককথায় দুর্দান্ত।
সবাই মিলে বেশ ভালোই মজা করে কাচ্চি ভাইয়ের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খেলাম। আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে নগদে পেমেন্ট করে বাইরে চলে আসলাম। তারপর বাইরে আসার পরে কিছু সময় হাটাহাটি করে আবার রিক্সা নিয়ে মোহাম্মদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সত্যি বলতে সবাই মিলে এভাবে একসাথে কাচ্চি ভাইয়ের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে বেশ দারুন লেগেছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১০ ই মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ায় মজাই আলাদা। আপনি বেশ ভালো করে বিরিয়ানি খেয়েছেন।তবে এটা সত্যি বলেছেন ভাইয়া ঢাকা শহরে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে যেতে চায় না। আপনার বিরিয়ানি খাওয়া দেখে লোভ লেগে গেল। তবে কাচ্চি ভাইয়ের কোল্ড ড্রিংকস না থাকায় আপনি বাইরে থেকে এনেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঢাকা শহরের মতো দূষিত শহর বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। হ্যাঁ আপু কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কোল্ড ড্রিঙ্কস না থাকায় আমি বাইরে থেকে কোলড্রিংস কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। বন্ধুরা মিলে একত্রিত হয়ে এরকম সুস্বাদু কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মজাই আলাদা। পাশাপাশি বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নামটিও বেশ চমৎকার। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আসলেই ভাই কাচ্চি বিরিয়ানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নামটা বেশ দারুন। এখানে দুইবার কাচ্চি বিরিয়ানি খেলাম সত্যিই অনেক ভালো কাচ্চি বিরিয়ানি তৈরি করে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে বাসায় থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কাচ্চি বিরিয়ানী খেতে আমার তো অনেক ভালো লাগে।আমার সাথেও খাবারের সাথে কোল্ড ড্রিংকস খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাদের পরিবেশন আমার ভীষণ ভালো লাগছিল। এতটাই দারুন লাগছিল দেখে মন বলছে এখনই চলে যা কাচ্চি খেতে। অনেক সুন্দর ছিল আপনার বর্ণনা।
আমিও বাইরে যে কোন খাবারের সাথে কোল্ড ড্রিংস খেতে ভীষণ পছন্দ করি। কাচ্চি ভাইয়ের বাসমতি কাছে সত্যিই দারুণ। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আজকে আমাদের মাঝে আপনি একটি অসাধারণ পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে কাচ্চি বিরিয়ানিতে যে ধরনের চাল ব্যবহার করা হয় তাকে বাসমতি চাল বলে। আপনি আপনার পোস্টের টাইটেলে বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি না বলে যদি বাসমতি চালের কাচ্চি বিরিয়ানি বলতেন তাহলে সেটি অনেকটা শুদ্ধ হতো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম দাদা ঠিকই বলেছেন। আসলে দাদা মেনুতে বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি লেখা ছিল তাই আমি ওভাবেই লিখে দিয়েছি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
বেশ আনন্দঘন একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে। কয়েকজন একত্রিত হয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে।
হ্যাঁ ভাই সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
সেদিন অনেক বেশি মজা করেছিলাম আবার খাওয়ার তবে টেস্টি ছিল। এভাবে সবাই মিলে খেতে গেলে বেশ ভালই লাগে। আর কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চির টেস্ট অসম্ভব সুন্দর ছিল। আবার একদিন গিয়ে খেতে হবে কি বলো বন্ধু?
অবশ্যই বন্ধু যদি তেমন সুযোগ আসে আবারও কাচ্চি ভাইয়ে সবাই মিলে গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাব। সেদিনের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানি টেস্টটা সত্যি দারুন ছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই, খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিক তবে তার পরিবর্তে যদি টেস্ট অব্যাহত রাখে তাহলে কোন সমস্যা নেই। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ গিয়ে আমিও কিন্তু কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গেছিলাম । তবে ভাই অনলাইনে অর্ডার করার থেকে রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার মজা কিন্তু আরো বেশি। যাইহোক, আপনাদের কাছে যে এই খাবার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল, এটা জেনে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ দাদা অনলাইনে অর্ডার করে খাওয়ার থেকে রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার ভেতরে আলাদা একটি মজা আছে। কাচ্চি ভাইয়ের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানিটা সত্যিই দারুণ। বাংলাদেশে এসে আপনিও কাচ্ছি ভাইয়ে খেয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
অনলাইন এর মাধ্যমে খাবার অর্ডার করলে সেটা বাড়ি আসতে আসতে অনেকটা ঠান্ডা হয়ে যায়, সেই জন্য আর বেশি ভালো লাগেনা খেতে। তবে রেস্টুরেন্টে বসে গরম গরম বিরিয়ানি বা অন্য যে কোন খাবার খেতে বেশ মজাই লাগে।