বাংলার মানুষের কাছে চিরচেনা এই গাছটি "রেইন ট্রি" হিসেবে এক নামেই পরিচিত।
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
কড়ই গাছ হচ্ছে বাংলাদেশের চেনা পরিচিত একটি গাছ। পথের ধারে ছায়াতরু হিসেবে লাগানো হয় এই গাছটিকে। এটি যেমন শোভা বৃদ্ধি করে তেমনি ছায়াও প্রদান করে। এই গাছটি প্রায় অনেক জায়গা জুড়ে ডালপালা শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধি পায়। প্রচন্ড গরমে রোদের তাপে মানুষ বিশ্রাম নেয়ার জন্য এই কাজগুলো নিয়েছে এসে আশ্রয় নেয়। গ্রামাঞ্চলে এই কাজগুলো অনেক বেশি দেখা যায়, শহরেও কম দেখা যায় না। প্রতিটি রাস্তার মোড়ে অথবা পথের আশেপাশে এই গাছগুলোকে দেখা যায়। যেন কোনো পথিক অধিক গরমে বিশ্রাম নেয়ার জন্য গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। এই গাছটি যেমন মানুষকে ছায়া প্রদান করে থাকে ঠিক তেমনি এর কিছু গুনাগুন রয়েছে যেগুলো আমাদের প্রত্যেকের জন্য উপকারী। একজিমা ও হাঁপানি হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে এই গাছটির ব্যবহার করা হয়। বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ের হাত থেকে বাঁচতে এর ছাল উপকারী। চোখ ওঠার সমস্যা নিয়ে শিরিশের বীজ কাজলের মতো চোখে ঘষে দিলে তা ঠিক হয়ে যায়।
For work I use:
ডিভাইস |
Canon 90D |
ফটোগ্রাফার |
@sayedabdullah |
লোকেশন |
Chandpur, Bangladesh |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
এমন আরো নানান ধরনের গুনাগুন রয়েছে যেগুলো আমাদের সমাজের অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। তবে এই কাজটি আমাদের পৃথিবীতে বহু বছর আগে থেকে রয়েছে। প্রাচীনকালে মানুষরা এই গাছ থেকে ওষুধের জন্য অনেক কিছু তৈরি করতো। ব্রিটিশ শাসন আমলে বড় বড় শহরের সড়কের ধারে এই কাজগুলোকে রোপন করে তার রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো। চৈত্র মাসের শেষের দিকে এই কড়ই গাছে এক ধরনের গোলাপী অথবা সাদা রকমের ফুল ফুটে, যা দেখতে খুবই চমৎকার লাগে। এই ফুলের সাথেই এক ধরনের ছোট বীজ থাকে যেগুলো আমি চোখে সমস্যার কথা বললাম সেই বীজগুলো চোখের নিচে কাজলের মতো ঘষে দিলে তার সমাধান হয়ে যায়।