বাধা ও পরীক্ষা।।
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
মূলত একারণেই দীর্ঘ চল্লিশ বছর তাঁকে সম্মান করার পর এবং সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত বলে মানার পরও তারা তাঁর শিক্ষা গ্রহণ করেনি। উপরন্তু তাঁর শত্রু হয়ে উঠে। তিনি যতই তাদের সত্যের প্রতি ডাকতেন, ততই তাদের শত্রুতার মাত্রা বৃদ্ধি পেত। তাদের কেউ-কেউ ঈমানদারদের কষ্ট দিতো, মারধর করতো, জ্বলন্ত কয়লার উপর শুইয়ে রাখতো, গলায় দড়ি লাগিয়ে টানা-হেঁচড়া করতো, পাথর নিক্ষেপ করতো। কিন্তু হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জন্য দু'আ করতেন। কারো থেকে প্রতিশোধ নেয়ার কথা ভাবতেন না। সারা রাত (মহান মালিক প্রভু আল্লাহর সমীপে তাদের হেদায়েতের জন্য দু'আ করতেন।
একবার তিনি মক্কাবাসীর প্রতি নিরাশ হয়ে তায়েফ চলে গেলেন। সেখানকার লোকেরা এই মহান মানুষটিকে অপমান করার কোনো পন্থা-ই বাদ রাখেনি। তারা তাঁর পেছনে দুষ্ট ছেলেদের লেলিয়ে দিল। তারা তাঁকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে, গালমন্দ করে ও পাথর ছুড়ে রক্তাক্ত করে তুলল। পাথরের আঘাতে তাঁর পা থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে লাগল। যন্ত্রণায় কাতর হয়ে কোথাও বসতে চাইলে দুষ্ট ছেলেরা তাঁকে তাড়া করত। তিনি শহরের বাইরে একটা জায়গায় এসে বসে পড়লেন।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@tanvirahammad |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
কিন্তু এই চরম ও কঠিন মুহূর্তেও তিনি তাদের জন্য বদদুআ করেন নি; বরং মালিকের কাছে এই বলে প্রার্থনা করেছেন, হে আমার মালিক, এরা বোঝে না; এদের তুমি বুঝ দাও। আল্লাহর প্রেরিত পবিত্র ওহীর বার্তা পৌঁছানোর জন্য তাঁর প্রিয় মক্কা নগর তাঁকে ছাড়তে হলো। তিনি মক্কা ছেড়ে মদীনায় চলে গেলেন। মক্কাবাসী সেখানেও বারবার আক্রমণ করেছে। তারা মক্কা থেকে বেশ কবার যুদ্ধ করার জন্য মদীনায় গেছে।