ছন্দপতন!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গতকাল বাংলাদেশ ভারত ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম। ম্যাচটা দেখে বাসায় ফিরেছিলাম তখন রাত এগারোটা। সেই গল্প পরে কোনদিন করা যাবে। গতকাল রাতেই ছিল ব্রাজিলের ম্যাচ। ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল আফ্রিকান দল তিউনেশিয়া। ফিফা র্যাংকিং এ ৪৩ নাম্বার দল এই তিউনেশিয়া। গত ম্যাচে সেনেগালকে হারিয়ে বেশ ভালো ছন্দে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু এই ম্যাচে যেন তার ছন্দপতন হয়েছে। ইঞ্জুরির জন্য এই ম্যাচে ছিল না ডিফেন্ডার গ্যাবরিয়েল ম্যাগালেস। অন্যদিকে গোলকিপার এডারসন এর পরিবর্তে ছিল কেপা। ব্রাজিল ৪-২-৩-১ ফর্মশনে মাঠে নামে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ তিউনেশিয়ার ফর্মেশন ছিল ৫-৩-২। তারা হাই ডিফেন্সিভ ফর্মেশনে খেলছিল।
বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টার সময় খেলা শুরু হয়। প্রথমে শুরুতে বেশ এলোমেলো খেলছিল ব্রাজিল। সেরকম বল রাখতে পারছিল না। এবং তিউনেশিয়া একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। ফলাফল তারা বেশ কিছু আক্রমণ করে। ম্যাচের ২৩ মিনিটের সময় ব্রাজিলের ডিফেন্ডার দের ভুলে একটা গোল করে ফেলে তিউনেশিয়া। ০-১ গোলে এগিয়ে যায় তিউনেশিয়া। এরপর ব্রাজিল খেলায় ফিরতে থাকে। গুছিয়ে খেলে আক্রমণে যেতে থাকে। কিন্তু তিউনেশিয়ার হাই ডিফেন্সিভ ফর্মেশনের কাছে খুব একটা সুবিধা করতে মোটেই পারছিল না। রদ্রিগো বেশ কিছু শর্ট নেয় দূর থেকে। কোন সেগুলো খেলোয়ার এর গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৪৪ মিনিটের দিকে তিউনেশিয়ার একজন খেলোয়ারের হ্যান্ডবল হয় ডিবক্সের মধ্যে।
রেফারি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি চেক করে নিশ্চিত হয়ে পেনাল্টি দেয় ব্রাজিল কে। কিছুটা চমকে দিয়ে পেনাল্টি নিতে আসে ১৮ বছর বয়সী তরুণ এস্তেভাও উইলিয়ান। দারুণ এক পেনাল্টি থেকে গোল করে এবং ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে। খেলা শেষ হয় প্রথমার্ধের। দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরু থেকেই ব্রাজিল গুছিয়ে খেলতে থাকে এবং আক্রমণ বিল্ডআপ করতে থাকে। একের পর আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। হয় প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক না হলে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার সেগুলো প্রতিহত করে। ফলাফল ব্রাজিল কোন গোলের দেখা পাইনি। ম্যাচের ৭৮ মিনিটের সময় একটা পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। এবার সেই পেনাল্টি নিতে আসে লুকাস পাকুয়েতা। কিন্তু সে সেটা বাইরে দিয়ে মারে। ফলাফল ব্রাজিল গোলের দেখা পাইনি।
ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে এস্তেভাও দারুণ ভাবে বলটা নিয়ে ডিবক্সের ভেতরে চলে যায় এবং শর্ট নেয়। কিন্তু সেটা গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচে আর কোন দল গোল পাইনি। ১-১ গোলের সমতায় খেলা শেষ হয়। এই ম্যাচে ব্রাজিলের খেলার ছন্দপতন হয়েছে বলা যায়। গত ম্যাচের মতো খেলতে পারেনি। তিউনেশিয়ার হাই ডিফেন্স ব্রেক করতে ব্যর্থ বলা যায়। তবে এস্তেভাও উইলিয়ান এর খেলা দেখে আমি বেশ উচ্ছসিত। ছেলেটা দারুণ খেলেছে। ব্রাজিলের হয় শেষ ৬ ম্যাচে সে ৫ গোল করেছে। যেটা এককথায় অসাধারণ একটা বিষয়। ব্রাজিলকে আরও কিছু বেশ কিছু জায়গাই উন্নতি করতে হবে। না হলে এবারেও বিশ্বকাপে ভালো কিছু হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখি না একেবারেই।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।














.png)



Daily task
https://x.com/Emon423/status/1991058304525828536?t=QqDDWho8Pidz4M6CSbZBPg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1991058734752411704?t=_hhzpZKwDjzv6EisZpHFeA&s=19