সার্কাস দ্বিতীয় পর্ব ❤️
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো সার্কাসে দ্বিতীয় পর্ব । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
অনেক বছর পর আমাদের এলাকায় সার্কাস এসেছে।সেই ছোট বেলায় দেখেছি আর তখন থেকে সার্কাস এলাকায় আসেনি। থানা শহরে একবার এসেছিলো আর হাতির বাচ্চা হয়েছিল সার্কাসে আর আমার কাকা আমাকে আর আমার ভাইকে সেই হাতির বাচ্চা দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল। কিচ্ছু মনে নেই শুধু মনে আছে মা হাতিটি বাচ্চা হাতিকে নিয়ে কলা গাছ খাচ্ছে। হাতিটির পায়ে সিকল পড়ানো।বাচ্চা হাতিটি মায়োর দুধ খাচ্ছে। সেই সার্কাসে দুটো হাতি এনে ছিলো একটি পুরুষ হাতি ও আর একটি মহিলা হাতি। মহিলা হাতিটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে।হাতির না কি বারো বছর পর বাচ্চা হয় মানে হাতির বাচ্চা মায়ের পেটে বারো বছর থাকে তারপর জন্ম দেয়।হাতির বাচ্চা টি দেখতে এতোটাই সুন্দর ছিলো যে কোলে নিতে মন চাইছিলো কিন্তুু মায়ের কাছে ছারা একদমই চরছিলো না খুবই দুষ্ট মিষ্টি কিউট হাতির বাচ্চা টি।
সার্কাসের ওখানে একটা বড়ো পুকুর ছিলো আর পুরুষ হাতিটি সেই পুকুরে স্নান করতে নেমে পাগলামো শুরু করছিলো।পুকুর পাড়ে উৎসুক জনতার ভীর। বাহুত কিছুতেই হাতিটিকে কন্টোল করতে পারছে না।হাতিটি জলে ডুবছে আর উঠছে সাথে মাহুতও হাতির পিঠে বসে ডুবছে আর উঠছে।হাতিটির মাথায় মাহুত একটি চাকু দিয়ে আঘাত করছে আর হাতিটি বিকট চিৎকার করছে সে কি ভয়ংকরী পরিস্থিতি। ছোট ছিলাম ভয়ে পেয়ে গেছিলাম অনেক।ছোট বলে কি ভয় পেয়েছি তা নয় এই তো সেদিন আমি শহরে যাচ্ছিলাম অটোতে বসে আর সার্কাসের হাতি নিয়ে রাস্তায় যানবাহন আটকিয়ে টাকা নিচ্ছিল আমি ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গিয়েছি।তারাতাড়ি বেগ থেকে টাকা বের করে নিয়েছি। মনে হচ্ছিল এই বুঝি আমার অটোটিকে হাতি তার সুরে পেচিয়ে আছাড় দেবে। ফেসবুকে ভিডিওতে দেখেছিলাম আর গত বছর ঢাকা মিরপুর চিরিয়াখানায় মাহুতের ছেলেকে সুরে পেচিয়ে পায়ের তলায় পিষে মারার ভিডিও দেখে আরো ভয়ে বেশি বেড়ে গেছে। আসলে পশুদের কে যতোই পোষমানা হোক না কেন তারা সুযোগ পেলেই আক্রমণ করে।
সার্কাস এসেছে মাইকিং করা হচ্ছে এলাকায়। মনটা আনন্দে নেচে উঠলো কারণ ছোটবেলায় সার্কাস দেখে ভালো লেগেছিলো ভাবলাম মেয়েকে দেখালে খুবই খুশি হবে।মহিলাদের জন্য বিকেলে শো।বিকেলে তিনটায় শুরু।বর ছুটিতে এসেছে জন্য সাহস আরো বেড়ে গেছে তাই যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে দল-বল সংগ্রহ করতে লাগলাম। ফোন করে আমার ছোট মা, কাকাতো বোন,ভাই ও ভাইয়ের বউকে যেতে বল্লাম।তারাও আসলে। প্রথমে টিকিট কাটা হলো ফাস্ট ক্লাস চেয়ার একশো টাকা টিকিট। গ্যালারি ৮০ টাকা।আমরা চেয়ারের টিকিট কাটলাম তিনটি বাকিরা এখনো আসেনি জন্য টিকিট কাটা হয়নি।
ভীতরে ঢুকে বসে পড়লাম। খেলা এখমো শুরু হয়নি কারণ অনেকে আসেনি এখনো প্রথমে গান পরিবেশন করলো সার্কাসের শিল্পিরা এবং সাথে যোকার ছিলো ও বন মানুষ ছিলো।বন মানুষ দেখে আমার মেয়ে মজা পাচ্ছিল কিন্তুু আমার জোকার বন মানুষ দেখে ভিতরকা ভেঙ্গে যাচ্ছিলো কারণ ভাবছিলাম জীবিকার তাকিদে মানুষ কতো কি না করে।সৃষ্টিকর্তার কি সৃষ্টি।
আসলে সৃষ্টি কর্তা চাইলে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন।চেয়ারে প্রথম শ্রেনী হলেও মোটেও মজা হচ্ছিল না দেখে। মন চাচ্ছিল গ্যালারিতে গিয়ে দেখতে কারণ গ্যালারি থেকে ক্লিয়ার দেখা যায়।ততক্ষণে বাকিরা চলে এসেছে আর আমি আগে থেকে ভেবে নিয়েছি বাকি টিকেট গুলো গ্যালারির কাটা হবে।আমি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে বর কে জানালাম দেখা যায় না চেয়ারে আর তখন বাকি টিকিট দুটো গ্যালারির কাটলো এবং আমরা সবাই গ্যালারিতে গিয়ে বসলাম শুধু বর চেয়ারে ছিলো।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
নিজের পাড়ায় সার্কাস বসলে তার থেকে বেশি আনন্দ আর কোন কিছুতে নেই। সার্কাস দেখলেই আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। বাবা মায়ের হাত ধরে স্কুলের ছুটির সময় কলকাতায় ছুটে যেতাম সার্কাসটা একবার উদ্দেশ্যে। আর সেখানে পশু পাখিদের খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতাম। বিশেষ করে বাঘের খেলা দেখে সব থেকে আনন্দ লাভ করতাম। এই সার্কাস বিষয়ক একটি চলচ্চিত্র আছে। সেই ছবিটির নাম দামু। পারলে ছবিটি ইউটিউব থেকে সার্চ করে দেখো। খুব ভালো লাগবে।
অনেক ছোটবেলায় একবার আমাদের এলাকায় মেলা বসেছিল সেখানে সার্কাস দেখেছিলাম। এরপর আর কখনো সার্কাস দেখা হয়নি। তবে আপনার সার্কাস দেখার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সার্কাস দেখার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।