পাছে লোকে কিছু বলে!
30-03-2024
১৬ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কামিনী রায়ের সেই বিখ্যাত কবিতা আপনাদের মনে আছে!
" সংশয়ে সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে! " আমাদের অনেকটা সময় চলে যায় এ পাছে লোকে কিছু বলে শুনতে শুনতে। কিন্তু আমরা বোকাই থেকে যায়। কে কি বললো এটার পিছনে পরে থাকি। একটা কাজ শুরু করবো কি করবো না এটা নিয়েই আমরা দ্বিধায় পড়ে যায়। কাজটি যথাসময়ে শুরু করতে পারি না। আসলে এই দ্বিধায় পড়ে যাওয়ার জন্যই আমরা জীবনে অনেকটা পিছিয়ে থাকি। যে কি না এসবে পাত্তা দেয় না তার দেখবেন জীবনটা একেবারে সহজ। সে যেভাবে জীবন যাপন করছে তাতেই সে সুখ খুজেঁ পায়। কে কি বললো এসব দেখার প্রয়োজন তার কাছে নেই। সে শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে।
আপনি ভালো হলে দেখবেন আপনার কিছু সমালোচক থাকবেই। সেটা হতে পারে আপনার প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব। আপনার অগোচরে তারা আপনাকে নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা করে। আপনি যে ভালো কাজ করছেন সেটা অনেকের কাছে ভালো লাগবে না। আপনার সমালোচক চাই আপনি তাদের কথায় কান দেন এবং ভালো কাজ থেকে দূরে সরে আসেন। আর এই ভুলটাই আমরা সবচেয়ে বেশি করি। মজার ব্যাপার হলো আমি নিজেও এ ভুলটা করেছি। তার ফল পরে পেয়েছি। আসলে আমি আগে লোকলজ্জার ভয়ে নিজের ধানের জমিতে ধান কাটতে যেতাম না, বাবার সাথে কখনো সাইকেলে চড়তাম না! কি এক অদ্ভূত রকমের চিন্তাভাবনা ছিল আমার মনে। এটা কয়েক বছরের আগের কথায় বলছি আমি। মনে ক্লাস সেভেন কিংবা এইটে থাকাকালীন সময়ের কথা।
আমি ভাবতাম যে জমিতে ধান কাটলে কেউ যদি কিছু বলে আমাকে। তখন কি করবো! বাবার সাথে সাইকেলে চড়ে বাজারে গেলে ফ্রেন্ডরা যদি দেখে ফেলে তখন! প্রাইভেটে তারপর যদি আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। ধানের জমিতে ধান কাটতেছি সেটা যদি কেউ দেখে আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে তখন! এই চিন্তাগুলো তখন আমার মাথায় খুব ঘুরপাক খেতো! আর এগুলো যে একদমই ঠিক ছিল না এটা আমি বুঝতে পেরেছি। দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছি। এখন আর মাথায় এসব ঘুরপাকখায় না! কে কি বললো না বললো! কাজ তো কাজ-ই। সেটা হোক ছোট অথবা বড়। সবথেকে বড় বিষয় নিজের জমিতে কাজ করছি অন্য কোথাও তো নয়। আর সবচেয়ে গর্বের বিষয় নিজের বাবার সাথে কাজ করছি। এখানে লোকলজ্জার কি আছে। সবচেয়ে বড় পরিচয় সে আমার বাবা,আর এটাই যথেষ্ট।
আমার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কথাগুলো বলছি আসলে। একটা বয়সে এসে বুঝতে পারবেন যে, আপনার ধারণাগুলো সব ভুল ছিল। কে কি বলবে এসবের চিন্তা না করে বরং আমরা যে কাজে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, যে কাজগুলো একান্তই আমার, যেগুলো করলে আমার সামনের জীবন ভালো হবে সেগুলোই করা উচিত।দিনশেষে তারা আপনার সমালোচনা করেই যাবে। আপনি জীবনে সাফল্য অর্জন করলেও দেখবেন তাদের গা জ্বলা শুরু করবে। কারণ তারা কখনোই আপনার ভালো হোক সেটা চাই না। উল্টো আপনার খারাপ হোক সেটাই চাই। আর আপনার দিনগুলো যদি খারাপভাবে অতিবাহিত হয় তাহলে আপনার সমালোচকরাও দেখবেন বেশ খুশি থাকে।
আমি বলবো জীবনটা যেহেতু আপনার এজন্য সবকিছু আপনাকেই করতে হবে। কেউ আপনাকে এসে খাইয়ে দিয়ে যাবে না। আপনি একদিন না খেয়ে থাকলেও কেউ এসে বলবে না আপনি খাইছেন কি না। দুনিয়াটা বড্ড কঠিন। আমার বাস্তব জীবন থেকে কথাগুলো বলছি। আরেকটা বিষয় কি সমালোচক হতেও কিন্তু যোগ্যতা লাগে। আপনার যোগ্যতা আছে বলেই কিছু লোক আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করে। এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। বরং বিষয়টাকে পজিটিভলি ভেবে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
twitter share
সমাজে এমন কিছু লোকজন আছে যারা কারো ভালো সহ্য করতে পারে না আবার কারো বিপদের দিনে কথা শোনাতেও ছাড়েনা। এসব লোকদের কথায় কান না দেওয়াই ভালো। এরা সব সময় পেছন থেকে টেনে ধরার চেষ্টা করে। তাই আমাদের উচিত তাদের কথায় কান না দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু, সমাজের এমন মানুষদের থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত।
সত্যি কথা বলতে একটা সময় আমি নিজেও এই চক্ষুলজ্জায় ভুগতাম কোন কাজ করতে গেলে। যে আমি এই কাজ করছি ওরা দেখলে কী বলবে আমাকে। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম আমি যদি এটা ভাবি লোকে রা কী বলবে তাইলে সত্যিই তো লোকেরা কী বলবে হা হা। জিন্দা থাকলে নিন্দা হবেই। সেজন্য কে কী বলল সেটা না দেখে নিজের মতো কাজ করে যাওয়ায় ভালো।
জিন্দা থাকলে নিন্দা হবেই এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাই। কে কি ভাববে এসব ভেবে লাভ নেই
আসলে আমাদের সকলের সমাজে এরকম কিছু মানুষ রয়েছে যারা সব সময় অন্যের পিছু লেগে থাকে৷ তারা কারো ভালো সহ্য করতে পারে না৷ সব সময় তারা যখন কেউ ভালো কাজ করলে তখন সে সহ্য করতে পারে না এবং বিভিন্ন কথা বলে। একইসাথে বিপদের দিনেও তারা কোন মতেই তাদেরকে কথা শোনানো ছাড়া চুপ থাকেনা৷ আসলে যদি কেউ সামনের দিকে এগোতে চায় তাহলে তারা তাদেরকে পিছন থেকে টেনে ধরে এবং কোনভাবেই তাকে এগোতে দেয় না৷ যাই হোক এরকম মানুষ এর কথায় আমাদের কান দেওয়া কোনমতে উচিত নয়৷ আমাদের মত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
একদম ঠিক বলেছেন আপনি। এমন মানুষদের থেকে আমাদের দশহাত দূরে থাকা উচিত।
পাছে লোকে কিছু বলে আসলেই ঠিক ভাইয়া।সমালোচক দের কাজ সমালোচনা করা তাই বলে কি জিবন থেকে হাসি,আনন্দ, কাজ কর্মবাদ দিতে হবে।আপনার যা যা মনে হতো এবং সংশয় হতো যে সব কাজে সেম অবস্থা সবার ক্ষেত্রই হতো।কারণ এসব ভাবনার একটা বয়স থাকে আর সে বয়সেই মনে হয় এসব। কিন্তুু এই বিষয় গুলো অনেকেই খুব তারাতারি বুঝতে পারে যে ভুল হচ্ছে আবার কেউ দেরিতে বুঝতে পারে।ঠিক বলেছেন ভাইয়া কাজ তো কাজেই তা ছোট হোক বা বড়ো হোক।ধন্যবাদ সুন্দর কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমিও মনে হয় তাড়াতাড়ি বুঝতে পেরেছি। তবে এসবে পাত্তা না দেয়ায় ভালো আপু।
পাছে লোকে কিছু বলবেই তা নিয়ে বসে থেকে লাভ নেই।নিজের যা কিছু ভালো লাগা কাজ আছে তা করা উচিত।কোন কাজই ছোট নয়।নিজের কাজ গুলো নিজে করার মাঝে আনন্দ ও পাওয়া যায়।
একদম আপু! কে কি বলবো এসবে কর্ণপাত করে লাভ নেই।
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে কখনোই অন্যের কথায় কান দেওয়া যাবে না। কারণ কিছু মানুষের কাজ ই হচ্ছে সমালোচনা করা। আবার কিছু মানুষ আছে কাউকে ভালো কাজ করতে দেখলে সমালোচনা শুরু করে। যাতে করে ভালো কাজটা কন্টিনিউ না করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাহলে তারা ভীষণ খুশি হয়। কিন্তু যারা বুদ্ধিমান, তারা সবসময় নিজের কাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। লোকজন কি বললো, সেদিকে তারা খেয়াল করে না। আর তারাই একসময় সফলতা অর্জন করে। যাইহোক আপনি দেরিতে হলেও নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। কাজ ছোট হলেও গর্বের। আর হারাম উপার্জনের চেয়ে হালাল উপার্জনে বরকত সবসময় বেশি থাকে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।