ম্যানুপুলেশন!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আজকে কি লিখব কিছু বুঝতে পারছি না। সত্যি বলতে কিছু বলার নাই। গতরাতে যে ঘটনা ঘটেছে ক্রিপ্টো মার্কেটে এতে করে ঠিক থাকা যায় না বললেই চলে। ক্রিপ্টো মার্কেট সবসময়ই ঝুকিপূর্ণ। তবে গতরাতে যে ডাউনটা দিয়েছে সেটা ছিল স্মরণকালের সবচাইতে বড় ডাউন। যেখানে বিটকয়েন একেবারে ১২০,০০০ থেকে ১,০২,০০০ এ নেমে আসে। এবং অন্য কয়েনগুলোর কথা কিছু বলার নাই। যেগুলো ১০০% এর আশপাশে ডাউন দিয়েছে। ছোট বড় সকল ট্রেডার বেশ বড় ধরনের একটা ফান্ড লস করেছে। শেষ এমন ডাউন দিয়েছিল ২০২২ সালে FTX এক্সচেঞ্জ এর কাহিনীর সময়। তবে এবারের ডাউন তার চেয়েও বড়। এই সময়ে ক্রিপ্টো মার্কেট থেকে প্রায় ১৯ বিলিয়ন লিকুইডেশন হয়েছে। যা একদিনের লিকুইডেশন হিসেবে সর্বোচ্চ। এর আগে একদিনে এতোটা লিকুইডেশন হয় নাই।
করোনা এবং FTX ঘটনার সময় যে ক্রাশ হয়েছিল সেখানে ১.৫ বিলিয়ন এর কাছাকাছি লিকুইডেশন হয়েছিল। কিন্তু আজ তার থেকে অনেক অনেক বেশি। গতরাতে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ট্রেডার মার্কেট থেকে লিকুইডেশন খেয়েছে। সত্যি বলতে এমন ডাউন দিলে কোন স্ট্যাটাজিই কাজ করে না। তখন কিছু করার থাকে না চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া। অনেক সময় এক্সচেঞ্জ টাও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এটা মোটামুটি বড় ধরনের একটা ম্যানুপুলেশন বলা যেতে পারে। এখন কথা হচ্ছে এতো বড় ডাউন কেন দিল? এই কথাটা সবার মাথায় প্রথমেই আসছে? ঠিক কেন এতো বড় ডাউন। প্রথম এবং একমাএ কারণ যদি বলি তাহলে সেটা আমেরিকার মাথামোটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই ব্যক্তি আসার পরে ক্রিপ্টো মার্কেটের লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে অনেক গুণ বেশি।
ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা শুরু করেছে। যেটা মোটেই কোন ভালো ফলাফল বয়ে আনেনি ইতিপূর্বে। গতরাতে চীনের উপর ট্রাম্প ১০০% শুল্ক বা ট্যারিফ জারির ঘোষণা দিলেই মার্কেট বেশ বড় ধরনের ডাউন দেয়। শুধুমাত্র ক্রিপ্টো মার্কেট না। আমেরিকার স্টক মার্কেট থেকে প্রায় ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার বের হয়েছে গতরাতে। ফলে সেটাও বেশ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। এটা ছিল একটা কারণ যেজন্য মার্কেট টা ডাউন দিয়েছে। পরবর্তীতে আরেকটা বিষয় রয়েছে ঐসময় নাকী বেশ কিছু টা সময় ব্যাইন্যান্স এক্সচেঞ্জ কাজ করছিল না। অর্থাৎ ল্যাক করছিল। এইজন্যই ক্রাসের মাএাটা আরও বেড়ে যায়। ব্যাইন্যান্স হলো সবচাইতে বড় এক্সচেঞ্জ। ক্রিপ্টো মার্কেটের ৭০% লিকুইডিটি তাদের কাছে আছে বললেও ভুল হবে না। প্রতিদিন যা ট্রেড হয় তার ৭০% হয়ে থাকে বাইন্যান্সে।
এইজন্যই যখন ব্যাইন্যান্স এক্সচেঞ্জক্সচেঞ্জ ল্যাক করা শুরু করেছে তখন এই ক্রাশ টা আরও বড় হয়ে যায়। মার্কেট হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই আবার রিকভার করবে। বিটকয়েন আবার এক লক্ষ ২০ হাজার ডলার অতিক্রম করবে। সবকিছুই স্বাভাবিক হবে। পরবর্তীতে আবার এমন ম্যানুপুলেশন হবে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। কারণ এখন এই পুরো মার্কেট সিনারিও নির্ভর করছে একজন পাগল ব্যক্তির পাগলামির উপর। যে কীনা এখন রয়েছে
আমেরিকার সর্বোচ্চ আসনে। যদি ট্রাম্প এমন ভাবে এগিয়ে যায় এমনভাবে শুল্ক আরোপ করতেই থাকে তাহলে বিশ্বের বাণিজ্য অবস্থা আরও খারাপ হবে। এবং এর সবচাইতে বড় প্রভাব পড়বে ক্রিপ্টো মার্কেট এবং স্টক মার্কেটে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)



Daily task
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
পাগলের পাগলামির প্রভাব সবার উপরেই পড়েছে ভাই। ক্রিপ্টো মার্কেটে একেবারে ধ্বস নেমেছে। কি যে হবে সেটাই চিন্তার বিষয়।