ধুলায় ধূসর বাসাইল-টাঙ্গাইল সড়ক !
বাসাইল-টাঙ্গাইল সড়কে ধুলার কারণে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাসাইল উপজেলার কলেজের সামনে থেকে থেকে ভাতড়াকুরা পর্যন্ত সড়কটি সংস্করণ কাজ চলায় পুরো সড়কেই ধুলাময় হয়ে গেছে। ধুলার কারণে সড়টিতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।
এছাড়া প্রতিনিয়তই সড়কে যানবাহন জ্যামসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সকলকে। সড়কের আশপাশের ঘর-বাড়ি, দোকান আর গাছপালাও এখন ধুলায় ছেয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে চলাচলের সময় ধুলায় কিছুই দেখা যায় না এমনকি নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় চালক ও যাত্রীদের।
তাছাড়া সড়ক সংলগ্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাস করা ও মসজিদে নামাজ আদায় করা কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের পাশে বসবাসকারীরা জানান, এ সমস্যা আজকের নয়। এক মাস ধরেই এ অবস্থা চলছে। সড়কের উন্নয়নের কাজ শুরু করা হলেও তা অনিয়মতান্ত্রিভাবে চলছে। ফলে সড়কের পাশে থাকা দোকানি ও বাড়ির মানুষদের অবস্থা খুবই খারাপ। এছাড়া সড়কের পাশের বেশির ভাগ পরিবারের সদস্যরা শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সড়কের কয়েকটি স্থানে নাম মাত্র পানি দিয়ে ভিজিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য ধুলা নিবারণ করলেও সেটা কোনো কাজে আসছে না।বাসাইল থেকে ছেড়ে আসা সি.এন.জি চালক সুমন, পিকআপ ভ্যানের চালক ফারুক মিয়া, জানান, সামনে থাকা যানবাহন চলে গেলে পেছনের যানবাহনের চালক ধীর গতিতে যান চালিয়ে থাকেন। এতে সময় বেশি লাগছে। তাছাড়া ধুলার কারণে সামনে প্রায় ২৫/৩০ গজ কিছু দেখা যায় না । এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পথচারী ও যাত্রীরা জানান, এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা এখন চরম দুর্ভোগের ব্যাপার। অসুস্থ কোনো মানুষ এ সড়কে চলাচল করলে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে। সড়ক দিয়ে বড় ধরনের কোনো যানবাহন গেলে ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায় চারদিক। তাছাড়া যানবাহন চলার সময় ছোট-বড় গাড়িতে ঝাঁকুনিতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দিলিপ নামের এক যাত্রী জানান, তিনি দাতের চিকিৎসা করাতে বুধবার সকালে টাঙ্গাইলে যান। সড়কে ধুলার কারণে সি.এন.জি ভেতর থাকা সবাই অস্বস্তি বোধ করেন।
বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শেফালি খাতুন বলেন, ধুলাবালির কারণে সাধরণত ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। এছাড়া এলার্জিজনিত ঠান্ডা, কাশি, চোখের সমস্যাও হতে পারে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে মাস্ক ও সানগøাস ব্যবহার করা জরুরি। তাছাড়া বাসায় ফিরে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নথখুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধুলার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও সড়ক দিয়ে চলাচলরত মানুষের নানা প্রকার সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যপারে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা জানিয়েছেন রাস্তায় চলাচলের সুভিধার্থে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
টাঙ্গাইলটাইমস