ইলেকট্রিসিটি বিড়ম্বনা!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইতিপূর্বে আমি এখানে থাকতাম আমার কোম্পানির কোয়ার্টারে। ঐটা ছিল ইন্ডাস্ট্রির মধ্যেই। ওখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ হতো আমাদের কোম্পানির পাওয়ার প্লান্ট থেকে। ফলাফল ঝড় বৃষ্টি তুফান যাইহোক কখনোই বিদ্যুৎ যেত না। দিন রাত ২৪ ঘন্টা সপ্তাহে সাতদিন ইলেকট্রিসিটি থাকতো। তখন বুঝতে পারিনি। কয়েক মাস হলো ওখানে আর নেই। বেশ কিছু টা দূরে অন্য একটা জায়গাই উঠেছি। যদিও ঐটাও কোম্পানির বিল্ডিং। ওখানেও আমাদের থাকার খরচ কোম্পানি বহন করে। তবে ওখানকার বিদ্যুৎ সরবরাহ আমাদের কোম্পানির না। ঐটা সাধারণ সরবরাহ। সম্ভবত ডেসকো অথবা পল্লিবিদ্যুৎ হবে। ইদানিং ইলেকট্রিসিটি টা অতিরিক্ত বিরক্তি করছে। যা বলে বোঝাবার মতো না। ইতিপূর্বে আমি এইরকম ভোগান্তিতে খুব কমই পড়েছি।
আমি থাকি চতুর্থ তলার একটা রুমে। সেখানে আমার সাথে আরেকজন ভাই থাকে। আমাদের রুমের অবস্থা টা এমন ওখানে বাইরের আলো বাতাস প্রবেশের কোন অবস্থা নেই। অর্থাৎ যদিও বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে দিনরাত সব সমান। এই বিড়ম্বনার প্রথম সম্মুখীন হয় ১০ তারিখে। ১০,১১,১২ টানা তিনদিন ছুটি। কোম্পানির সবাই গিয়েছে পিকনিকে। তবে আমি যায়নি কারণ আমার পরীক্ষা ছিল ১২ তারিখে। ঐজন্য আমি ঠিক করি ঐ দুইদিন প্রিপারেশন নেব ভালোভাবে। এরমধ্যে ১০ তারিখ বুধবার। পূর্ববর্তী কোন ঘোষণা দেয়নি কতৃপক্ষ। ঐদিন ইলেকট্রিসিটি গেছে সকাল সাড়ে আটটার সময়। আর সারাদিন দেখা নেই। সারাদিন একপ্রকার অসহায়ভাবে অন্ধকারে ছিলাম। ফোনের চার্জ দিয়ে আর কতোটুকু সময় বা চলা যায়। অন্যদিকে পানি শেষ হয়ে এসেছে।
ইলেকট্রিসিটি না আসলে তো পানিও তুলতে পারছে না। সারাদিন এক অসহনীয় বিড়ম্বনার মধ্যে দিয়ে কেটেছে। অবশেষে সেই ইলেকট্রিসিটি এসেছে রাত ৮ টার পরে। পরের দিন একেবারে সেই একই কাহিনী। সেই সকাল দশটার দিকে গিয়েছে এসেছে সেই রাতে। আমি রীতিমতো আমার সকল ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলি। একপ্রকার বেশ বাজেভাবে গালাগালি করতে ইচ্ছা হচ্ছিল। গতকালের কথা। সন্ধ্যায় আমি বাসায় ফিরেছি। বাসায় ফিরেই আমি আগে গোসল করে নেয়। গোসল করতে যাব ঠিক তখনই গেল বিদ্যুৎ। সেটা আসলো সেই রাত সাড়ে আটটাই। কী পরিমাণ অসহ্য লাগে চিন্তা করেন। আমি তখন বললাম এই অঞ্চলের মানুষ কিছু বলে না কেন। না হলে এইরকম লোডশেডিং তো কোন অজপাড়াতেও দেখি নাই।
একপর্যায়ে বলেই ফেলি আমার বালের এলাকা। না হলে এই পরিমাণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট বাংলাদেশের কোথাও মনে হয় না হয়। গ্রামের দিকে বিদ্যুৎ না থাকলে কোন সমস্যা হতো না। ওখানে চারিদিকে খোলামেলা আলো বাতাস প্রবেশ করে। কিন্তু ঢাকার অবস্থা সেটা না। একটা বিল্ডিংয়ের সাথে আরেকটা বিল্ডিং এমনভাবে লেগে গিয়েছে যে বাতাস তো পরের কথা আলোটাও ঠিকমতো আসে না। এইরকভ অসহনীয় ভোগান্তি এবং বিড়ম্বনার মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করছি। সত্যি কিছু বলার নেই। আমি আমার এলাকা তে কখনোই দেখিনি বিদ্যুৎ গিয়ে একঘন্টার বেশি থেকেছে। ঐটা গ্রামাঞ্চল হলেই লোডশেডিং খুব কম হতো অথবা একেবারে হতোই না বলা যায়। কিন্তু এই যে শহর যেখানে নিত্য লোডশেডিং লেগেই থাকে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)



Daily task
https://x.com/i/status/2000114534930157761
Daily task
https://x.com/i/status/2000114534930157761