শীতের সন্ধ্যায় চায়ের কাপের উষ্ণতা।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৩ শে ডিসেম্বর, সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
ক্রিটিভিটির পাশাপাশি ভালোলাগা মন্দ লাগা বিভিন্ন মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আমি মূলত ফটোগ্রাফি করতে বেশি পছন্দ করি। তাই বেশিরভাগ সময় ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করা হয়। তবে আজ এসেছি একটু ঘোরাঘুরি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। শীতের সন্ধ্যায় কিংবা সকালে অথবা বিকেলে সব সময় যেন ঘোরাঘুরি করার জন্য পারফেক্ট। শীতের সময় ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে ঘুরতে না গেলে যেন ভালই লাগেনা। বাইরেতো কোথাও যেতে পারি না তবে কুষ্টিয়ার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় মাঝে মাঝে ঘুরতে চলে যায়। তেমনি ঘুরতে যাওয়ার একটি মুহূর্ত শেয়ার করব।
গিয়েছিলাম শীতের সন্ধ্যায় চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে। শীতের সন্ধ্যায় ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়ার সাথে গরম গরম চা বেশ জমে ওঠে। আর যদি থাকে সাথে রংবেরঙের আলোকসজ্জা এবং প্রকৃতির ছোঁয়া তাহলে যেন ভালোলাগা আরো বেড়ে যায়। আমার মত যারা প্রকৃতি প্রেমী তারা সর্বদাই এরকম পরিবেশ ভীষণ পছন্দ করে।
বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎ করে গিয়েছিলাম চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে। যাওয়ার উদ্দেশ্য চা খাওয়া যদিও ছিল না। হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। এমনিতেই আনমনে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ করে ইচ্ছে হলো শীতের সন্ধ্যায় চায়ের চুমুক দেওয়ার। তাইতো চলে গেলাম প্রকৃতির মাঝে এক সুন্দর জায়গা বটমুল ক্যাফেতে। দিনের বেলায় গেলে প্রকৃতিটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করা যেতে বটে কিন্তু এই শীতের ছোঁয়া পাওয়া যেত না।

সেখানে যেতেই দেখতে পাওয়া যায় বিরাট এক বটগাছ। এই বট গাছের জন্যই হয়তো নামটি বটমুল ক্যাফে দেওয়া হয়েছে।সেই গাছে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জা। তার সাথে একটি মাচাও রয়েছে এবং একটি দোলনা। এই আলোক সজ্জা সহ সাজানো জায়গাটুকু ক্যাফে কে আলাদা রকম সুন্দর করে তুলেছে। প্রথমেই বট গাছে নিচ দিয়ে চলে গেলাম ক্যাফের মধ্যে। সেখানে রয়েছে আরও বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জা। সেখানে রংবেরঙের মানুষেরও ভিড় ছিল। সকলে এসেছে শীতের সন্ধ্যার তৃপ্তি চায়ে মিটিয়ে দিতে।

সেখানে প্রবেশ করে ছোট ছোট বেশ কিছু ঘর দেখতে পেলাম। সেখানে কিছু টেবিল চেয়ার দেয়া হয়েছে। আর চারপাশে রয়েছে প্রকৃতির ছোঁয়া। খোলা মাঠের মধ্যে ক্যাফেটা বেশ ভালো। দিনের বেলা গেলে এই সুন্দর প্রকৃতিকে আরো তৃপ্তিদায়ক ভাবে উপভোগ করা যেতে পারে। আগে ঘর গুলোর মধ্যে বসলাম এবং নিজেদের জন্য চা অর্ডার করলাম। অনেকদিন আগে হওয়ায় চায়ের পিকটা খুঁজে পাচ্ছি না। হয়তো ডিলিট করে দিয়েছি। অবশ্যই সেটা ছিল আমাদের কুষ্টিয়ার বিখ্যাত মালাইচা। যদিও ততটা চায়ের মধ্যে তৃপ্তিদায়ক শান্তি মেলেনি তবে প্রকৃতিটা পুষিয়ে দিয়েছে।

সেখানে খুব অল্প সময় কাটিয়েছিলাম। খুব দ্রুতই সেখান থেকে বের হয়ে এসেছিলাম। তবে চারপাশের আলোকসজ্জা খুবই মনোমুগ্ধ করেছে। চায়ের চুমুকে প্রকৃতির ছোঁয়ায় এবং এই কৃত্রিম আলোকসজ্জায় মন ভুলানোর মতো দৃশ্য উপভোগ করেছিলাম। এভাবে একটি সুন্দর সন্ধ্যার সমাপ্তি ঘটেছিলো
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14









