ভোগান্তি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গতকাল শুক্রবারের কথা। অন্যদের জন্য সাধারণ শুক্রবার হলেও আমার জন্য সেটা ছিল না। গতকাল আমার দুইটা পরীক্ষা ছিল। এইজন্য মোটামুটি পুরো সপ্তাহ ধরেই কিছু টা চাপে ছিলাম। তবে ঝামেলা টা শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাতে। বাংলাদেশের তরুণ একজন নেতা ওসমান হাদির কথায় বলছি। ঘটনা টা আমাদের সবারই জানা। সিঙ্গাপুর চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। হাদির মৃত্যু খরব আসার পরেই ঢাকায় বেশ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়ে। সঙ্গে বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলও তাদের মতো করে প্রতিবাদ করেছে। এর প্রভাব যে শুক্রবার পড়বে সেটা আগেই ধারণা করেছিলাম আমি। করণ শুক্রবার আমাকে বাইরে বের হতেই হবে এর বিকল্প নেই। কারণ আমার পরীক্ষা আছে। কিছুটা আতঙ্কিত ছিলাম অবশ্য। আমার প্রথম পরীক্ষা ছিল ১১ টার সময় দ্বিতীয় টা ২ টাই।
১১ টাই পরীক্ষা থাকলে আমি সাধারণত ৯ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু এই সপ্তাহে আর সেই অবস্থা ছিল না। সকালে ঘুম টাও দ্রুতই ভেঙে যায়। ঘড়িতে তখন সাতটা। তখন চিন্তা করলাম রাস্তার কী অবস্থা জানা নেই। যানবাহনের ঘাটতি থাকতে পারে। সুতরাং আজকে আগেই বের হয়। বাসা থেকে সাড়ে সাতটার দিকে বের হলাম। অনেক আগে বলতে পারেন। অন্যদিকে যেখানে চার পাঁচটা খালি বাস দাঁড়িয়ে থাকত গতকাল সেখানে একটা বাসও আমি দেখিনি। সেটা দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম। কোন বাস নেই? কী এক্টা অবস্থা। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিন্তু কোন লাভ হলো না। তখন প্রায় সকাল ৮ টা। একপ্রকার বাধ্য হয়েই একটা রিক্সা নিলাম গুলিস্তান যাওয়ার জন্য। আশাকরি ওখানে গিয়ে একটা বাস ঠিকই পেয়ে যাব।
প্রত্যাশা করেছিলাম রিক্সাওয়ালা ভাড়া বেশি নেবে। কিন্তু সে বেশি ভাড়া নেয়নি। অন্য সময় যেটা নেয় সেটাই নিয়েছে সে। তবে বাসে গেলে যেখানে আমার লাগত ১০ টাকা বাস না থাকার রিক্সায় গিয়ে লেগেছে ৫০ টাকা যা অনেক বেশি। যাইহোক গুলিস্তান থেকে আমাকে যেতে হলে তেজগাঁও। এবার বাস ছাড়া উপায় নেই। যথারীতি ওখানে গিয়ে দেখি মোটামুটি বাস আছে। তবে বাসে জায়গা নেই। অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বাস। অন্যদিন যেখানে মোটামুটি বাসে জায়গা পাওয়া যেত কিন্তু আজ সেই উপায় নেই। প্রথম কয়েকটা বাসের অবস্থা একেবারে খারাপ ছিল। কোনমতেই জায়গা ছিল না। উঠার চেষ্টাও করিনি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে একটা বাস আসে সেটা কিছুটা ফাঁকা ছিল তবে সিট না মাঝে দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা টা আর কী। কিন্তু বাসটা আসতেই অনেকে দৌড়ে চলে আসলো।
আমার আবার অন্যদের সাথে পাড়াপাড়ি করে বাসে উঠতে একেবারেই পারি না। ফলাফল অন্যরা উঠে গেলে উঠলাম। বাসে প্রচণ্ড ভীড় হয়ে গেল। অবস্থা এমন একজনের জায়গাই দুইজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকাটাও কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঐভাবে কোনরকম ধাক্কা গুতা খেতে খেতে গেলাম। কিছুই করার ছিল না। পরীক্ষা রাস্তায় বাস নেই যাওয়া তো লাগবেই। অবশেষ্র পৌছে যায়। যদিও আমি সময়ের অনেক আগেই পৌছে গিয়েছিলাম। কিন্তু এর জন্য অবশ্য কেমন ভোগান্তিতে আমাকে পড়তে হয়েছে সেটা তো বললামই। তবে আমার শঙ্কা ছিল ফেরার সময় কী হবে এটা নিয়ে। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই সেরকম কিছু হয়নি। ফেরার সময় যথারীতি রাস্তা একেবারে ক্লিয়ার ছিল। যদিও বাসে কিছুটা ভীড় ছিল কিন্তু সকালের থেকে সেটা কম ছিল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)



Daily task
https://x.com/i/status/2002289129615188451
https://x.com/i/status/2002289492095611031