হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid420 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

source

যোগ্যতা অবহেলিত, অযোগ্যরা সমাদৃত—এই বাস্তবতা আজকের সমাজের এক তিক্ত সত্য। আগে মানুষকে তার দক্ষতা, মেধা ও পরিশ্রমের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হতো। কিন্তু এখন যেন যুগ পাল্টেছে; আজ মানুষের মূল্য নির্ধারণ হয় চাটুকারিতা, প্রভাব, অর্থ বা সম্পর্কের জোরে। যে সত্যিকারভাবে পরিশ্রম করে, নিজের যোগ্যতা দিয়ে কিছু গড়ে তুলতে চায়, তাকে অনেক সময় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বরং যে মানুষটা সামান্য কিছু দেখিয়ে বড় বড় কথা বলতে পারে বা অন্যদের খুশি রাখতে জানে, তাকেই সমাজে “সফল” বলে গণ্য করা হয়।

এই অবস্থা কেবল চাকরি বা সামাজিক জীবনে নয়, শিক্ষা, রাজনীতি, এমনকি সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও স্পষ্ট। একজন মেধাবী ছাত্র প্রতিনিয়ত নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চললেও, তাকে সুযোগ দেওয়া হয় না; কারণ সে হয়তো কারও তোষামোদ করতে পারে না। অন্যদিকে, অযোগ্য কিন্তু প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান সহজেই সুযোগ পেয়ে যায়। ফলস্বরূপ, সমাজে প্রকৃত যোগ্যদের আগ্রহ কমে যায়, তারা হতাশ হয়ে পড়ে। এটি শুধু ব্যক্তির ক্ষতি নয়, গোটা সমাজের অগ্রগতিরও বাধা।

যোগ্যতা অবহেলিত হলে একটি জাতির মেরুদণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ তখন প্রতিভা বিকাশের পরিবর্তে তৈরি হয় ভণ্ডামির সংস্কৃতি। মানুষ তখন কাজ শেখার চেয়ে শেখে কাকে খুশি রাখতে হবে, কার সামনে কীভাবে কথা বলতে হবে। এই অযোগ্যদের দাপটে যোগ্যরা পিছিয়ে যায়, আর সমাজে সৃষ্টি হয় অন্যায় প্রতিযোগিতা। যে সমাজে মেধার সম্মান নেই, সেই সমাজ কখনো প্রকৃত উন্নতি করতে পারে না।

তবু আশা হারানো ঠিক নয়। ইতিহাস সাক্ষী—একদিন যোগ্যতাই নিজের জায়গা আদায় করে নেয়। অযোগ্যরা হয়তো কিছুদিন আলোয় থাকে, কিন্তু তাদের সেই অবস্থান স্থায়ী নয়। যোগ্য মানুষ সব সময়ই ধৈর্য ধরে কাজ করে, কারণ সে জানে, তার মুল্য একদিন নিজেই প্রমাণিত হবে। সমাজ যদি আবার যোগ্যতার মূল্য দিতে শেখে, তবে অন্যায়, তোষামোদ আর অবমূল্যায়নের দিন শেষ হবে। তখনই সৃষ্টি হবে এমন এক সমাজ, যেখানে সাফল্য আসবে মেধা, পরিশ্রম ও সততার উপর ভিত্তি করে—না যে অযোগ্যতার প্রভাবে।