সিন্ডিকেট!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সিন্ডিকেট জিনিসটা যে শুধু আমাদের বাংলাদেশে রয়েছে অথবা বানিজ্যিক ক্ষেএে রয়েছে বিষয়টা এমন না। বলতে গেলে এটা এখন সর্বএ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের বড় বড় ফুটবল সংস্থা গুলোও যেন এর বাইরে আর না। হয় এটাকে বলতে হয় সিন্ডিকেট না হলে এটাকে বলতে হবে রাফিনহার দূর্ভাগ্য। ২০২৪-২৫ সিজেনে সবচাইতে পটেনশিয়াল ছিল রাফিনহা দিয়াজ। যদিও আমি বার্সেলোনা সাপোর্ট করি না। কিন্তু রাফিনহার জন্য আজ কথা বলাই লাগছে। রাফিনহা পুরো সিজেন জুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বার্সেলোনার হয়ে ডমেস্টিক ট্রেবল জিতেছে। কিন্তু ব্যক্তিগত অর্জনের ক্ষেএে দেখতে গেলে তার অর্জন একেবারে শূণ্য।
রাফিনহাকে নিয়ে প্রথম লিখেছিলাম যখন ব্যাল ডি অর দেওয়া হয় তখন। অসাধারণ পারফরম্যান্স করেও সে ব্যাল ডিঅর লিস্টে ছিল পঞ্চম। যেটা কেউই মেনে নিতে পারেনি। এদিকে গতকাল ফিফা বর্ষসেরা একাদশ এবং বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম ঘোষণা করেছে। আপনি অবাক হবেন জেনে রাফিনহা ফিফার বর্ষসেরা একাদশে জায়গা পাইনি। শুধু তাই না ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়ারের লিস্টে সেরা তিনেও সে ছিল না। সেরা তিন ছিল ওসমান দেম্বেলে, লামিন ইয়ামাল এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে। আপনি জানলে অবাক হবেন এই বছরে এই তিনজনের চেয়েও রাফিনহার গোল অ্যাসিস্ট পারফরম্যান্স সবকিছুই ভালো। রাফিনহা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ৬৪ ম্যাচে করেছেন ৩৮ গোল এবং ২৪ অ্যাসিস্ট। অর্থাৎ ৬৪ ম্যাচে সরাসরি ৬২ গোলে অবদান। কিন্তু তারপরও তার অর্জন একেবারে শূণ্য।
চ্যাম্পিয়ন লীগে ভালো করার জন্য দেম্বেলে ব্যালন ডিঅর জিতেছে মেনে নিলাম। কিন্তু লামিনের অথবা এমবাপ্পের পারফরম্যান্স কখনোই রাফিনহার থেকে ভালো ছিল না। রাফিনহা তাদের উপরে জায়গা ডিজার্ব করে। গতকালকে ফিফার অনুষ্ঠানের আগে নেইমার রাফিনহা কে নিয়ে টুইট করে। সে টুইটে এমনটা লেখে "আমি জানি এটা তো প্রাপ্য। তোমার পাওয়া উচিত। কিন্তু তুমি পাবে না। ওরা তোমায় দেবে না"। গতকাল অনুষ্ঠানের পরে রাফিনহার বউ লেখে " রাফিনহা হয়তো ফুটবল খেলে না। সে বাস্কেটবল খেলে। এইজন্যই সে ফুটবলে কোন পুরষ্কার পেলো না। " এইরকম বাজে সিধান্ত আমি কখনও দেখিনি। সত্যি কিছু বলার নেই। এটা পুরোপুরি মেনে নেওয়ার মতো না। একটা সিজেন এতো ভালো পারফরম্যান্স ৬২ গোলে অ্যাসিস্ট, চ্যাম্পিয়ন লীগে বায়ার্নের বিপক্ষে হ্যাট্রিক এক সিজেনে রিয়ালের বিপক্ষে পাঁচ গোল। কিন্তু তারপরও এই ফলাফল।
আপনাদের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে আসলে এমন হওয়ার কারণ কী। এমন হওয়ার কারণ মিডিয়া হাইপ। ফিফা বর্তমানে এই পুরষ্কার গুলো দেয় পুরোপুরি মিডিয়া হাইফের উপর। আমার এখন মনে হচ্ছে ফিফা হয়তো পুরো সিজেনের ফুটবল টাই ঠিক মতো অনুসরণ করে না। না হলে এমনটা হতো না। মিডিয়া হাইপ অথবা লোক দেখানো না হলে ট্রাম্প কীভাবে ফিফা শান্তি পুরষ্কার পাই বলেন হা হা। এটা হাস্যকর ছিল ঐদিন। এখানে পরিষ্কার সিন্ডিকেট প্রকাশ পাচ্ছে। আর যদি সেটা না থাকে তাহলে যোগ্য ব্যক্তির হাতে পুরষ্কার না যাওয়ার কোন কারণ দেখি না। দেম্বেলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে গত সিজেনে সেটা আমি জানি। কিন্তু রাফিনহা টপ টু অথবা থ্রীতে থাকার যোগ্য। কিন্তু সে ফিফা সেরা একদশেই জায়গা পাইনি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)



Daily task
https://x.com/i/status/2001200751901860316
https://x.com/i/status/2001200944554389870