সাচ,বাতাসার ফটোগ্রাফিও ভিডিওগ্রাফি❤️

in আমার বাংলা ব্লগlast month

#হ্যালো

আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।

আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।

IMG_20250216_185940.jpg

আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাচ,বাতাসার ফটোগ্রাফি। আমাদের এলাকায় গ্রামীণ কোন মেলা বসলেই সব থেকে আকর্ষণীয় হলো এই সাচ বাতাসা।সাচে ফেলে এই চিনি বা গুড়ের খাবার গুলো তৈরি হয় জন্য এগুলোকে আমাদের এলাকায় সাচ,বাতাসা বলে থাকে।
কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় এক মেলা বসেছিলো আর সেই মেলায় গিয়ে এবং ভরতখালী কালিবাড়িতে গিয়ে এই সাচ,বাতাসার ফটোগ্রাফি করেছিলাম আর সেগুলোই আজ আপনাদেরকে সাথে ভাগ করে নেবো।

প্রথম ফটোগ্রাফি

প্রথমে আমি সাচ বাতাসার দোকানে গিয়ে দেখতে পেলাম নানান রকমের সাচ,বাতাসার সমাহার।এই যে দেখতে পারছেন এগুলো হলো সাচ চিনির সাচ।এগুলো সাচে বানানো হাতি,ঘোড়া, গরু,ছাগল, পুতুল, ইত্যাদি।পুতুলের মধ্যে বর কনে থাকে।ছোটবেলায় আমার বাবা বার্ণির মেলায় গিয়ে এগুলো কিনে আনতেন। এগুলো বাড়িতে আনার সাথে সাথে আমিও ভাই খুব খুশি হয়ে যেতাম এবং পশুপাখির সাচ গুলো দিয়ে খেলার ছলে খেতাম।কে কোনটা নেবো তা নিয়ে শুরু হতো প্রতিযোগিতা। চিনির সাচ তাই ফুরফুরে সাদা দেখতে অনেক সুন্দর। খেতেও দারুণ।

IMG_20250216_192125.jpg

IMG_20250216_185801.jpg

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

এখন গুড়ের সাচ বাতাসার ফটোগ্রাফি করেছি।গুড়ের তৈরি পশু,পাখি গুলো দেখতে দারুণ লাগে। আমার কাছে চিনির থেকে গুড়ের সাচ বাতাসা খেতে বেশি ভালো লাগে।এই চিনি ও গুড়ের সাচ বাতাসা গুলো ভীষণ চমৎকার দেখতে।এগুলো মেলা থেকে আনতো অনেক গুলো করে আর আমার দিদু এগুলো সংরক্ষণ করে রাখতো।কখনো কখনো চিনি না থাকলে এই চিনির তৈরি হাতি ঘোড়া দিয়ে চা বানিয়ে খেতেন।
দেখুন গুড়ের সাচ বাতাসা গুলো কিন্তুু দারুণ লাগছে দেখতে।

IMG_20250216_185940.jpg

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

এগুলোর নাম কদমা।কদমের মতো করেই তৈরি করেছে। দেখতে কদমের মতো লাগছে।খেতে খুবই সুস্বাদু। দেখতে হার্ড মনে হলেও খেতে একদমই নরম।মুখে দিলে একদমই মিলে যায়। কদমার মিষ্টি একটা অন্যরকম।চিনি ও অন্যকোন উপাদান দিয়ে হয়তো তৈরি তাই চিনির মিষ্টি টায় আলাদা একটা স্বাদ যুক্ত আছে।

IMG_20250216_200029.jpg

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

এখন যেগুলো দেখতে পারছেন এগুলোর নাম খাগড়াই।দেখতে খৈয়ের মতো ছোট ছোট।খুব সুন্দর তবে খেতে কদমার মতোই। দেখতে সাদা জন্য বেশি আকর্ষণীয় লাগে দেখতে।খুবই সুস্বাদু এই খাবার টি।

IMG_20250216_185816.jpg

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

এখন যা দেখতে পারছেন এগুলো চিনির সন্দেশ। দেখলেই যে কারো লোভ লেগে যাবে এই সন্দেশ কিন্তুু খেতে মেটেও ভালো নয় কারণ এগুলো চিনির তৈরি। শক্ত ও চিনি চিনি এই সন্দেশ গুলো খেতে তাই খেতে ভালো নয়।দুধের তৈরি সন্দেশ খেতে ভালো লাগে বেশি।যাই হোক দেখতে খুবই আকর্ষণীয় সন্দেশ গুলো।চার কোনা,গোল ছোট বড়ো দারুণ দারুণ সব সন্দেশ সাজিয়ে রেখেছে।

IMG_20250216_191515.jpg

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

এবার যে গুলো সন্দেশের মতো দেখতে পারছেন সেগুলো হলো বাতাসা।বাতাসার ওয়েট একদমই কম জন্য এর নাম বাতাসা।আমরা বাতাস কিনে থাকি কারণ পূজায় বাতাসা লাগে।বাতাসা কিনে পূজার ঘরে সংরক্ষণ করে রাখি সারাবছর। এই চিনির বাতাসার মতো গুড়েরও বাতাসা পাওয়া যায় এবং খেতে খুবই সুস্বাদু। এই মেলায় লক্ষ্য করিনি গুরের বাতাসা তাই ফটোগ্রাফি করা হয়ে ওঠেনি।

IMG_20250216_201033.jpg

লিংক
এই ছিলে আমার চমৎকার সুন্দর সুন্দর সব সাচ বাতাসার ফটোগ্রাফি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীফটোগ্রাফি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20250215_190545.png

IMG_20250215_190537.png

Sort:  
 last month 

কত রকমের হাতি ঘোড়া সেপের বাতাসা! এগুলো দেখেই যেন খিদে বেড়ে যায় এবং জিভে জল আসে। আমি বাংলাদেশে গিয়ে মেলায় এগুলো চোখের সামনে থেকে দেখেছিলাম। আমাদের দেশে এত রকমের সেপ পাওয়া যায় না। মূলত গোল বাতাসা ও রংবেরঙের মঠ পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের বাতাসা তৈরীর একটি ঐতিহ্য আছে তা আমি সেখানে গিয়েই দেখেছিলাম। তোমার পোস্টে আবার এই ছবিগুলি দেখে খুব ভালো লাগলো।

 last month 

আপনি কাছে থেকে মেলায় এসে দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

 last month 

সাচ,বাতাসা এসব অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। এদিকে মেলায় ও এগুলা খুব একটা দেখা যায় না। আপনি মেলা থেকে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। খইয়ের মত এবং কদমের মতো দেখতে এগুলো খুব ছোটবেলায় খেয়েছিলাম। যাইহোক, ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

 last month 

সাচ,বাতাসার ফটোগ্রাফিও ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি এবং ভিডিওগ্ৰাফিটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আমি যদিও তেমন একটা মিষ্টি জিনিস খেতে পছন্দ করি না, তবে সাচ, বাতাসা খেতে ভালোই লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last month 

ঠিক বলেছেন বাতাসা খেতে ভালোই লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

 last month 

PhotoCollage_1739722221791.jpg

 last month 

কদমাটা আমাদের গ্রামে এখনো পাওয়া যায় তবে এই ধরনের নানান আকৃতির বাতাসা খুব ছোটবেলায় দেখতাম মেলায় আসতো। এখন আর সেসব নেই। একেবারেই দেখা যায় না। তাই তোমার পোস্টে এই সাচ বাতাসার ছবিগুলো দেখে বড় ভালো লাগলো।

 last month 

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last month 

দিদি আপনি অনেক সুন্দর করে বাতাসার ছবি তুলেছেন। ছোট বেলায় মেলায় গেলে বিশেষ করে ধর্মীয় কোন মেলায় গেলা এই হাতি ঘোড়া আকারের বাতাসা গুলো খাওয়া হতো।ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।

 last month 

হ্যাঁ দাদা ঠিক বলেছেন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই বাতাসা গুলো পসওয়া যায়।

 last month 

আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। মেলায় এই সাচ বাতাসা কত যে কিনতাম।চিনির বাতাসা খেয়েছি আপু কিন্তু গুরের বাতাসা কখনো খাওয়া হয়নি। আর সন্দেশগুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে।অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

ছোট বেলার মেলায় গেলে আমারও প্রধান আকর্ষণ ছিলো এই সাচ বাতাসা।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

 last month 

ছোটবেলায় বাবার সাথে যখন মেলায় যেতাম তখন বায়না ধরতাম এই হাতি ঘোড়ার সাচ গুলো খাওয়ার জন্য। অনেকদিন পর আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সাচ, বাতাসার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।