চক্রব্যূহ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
চক্রব্যূহ নামটা আপনারা নাও শুনতে পারেন। আমি শুনেছি তবে সেটা একটা বইয়ের বৌদলতে। চক্রব্যূহ হলো কোন যুদ্ধে সেনাদের যুদ্ধক্ষেএে বিশেষ কোন কৌশল অবলম্বন করানো। অর্থাৎ যখনই প্রতিপক্ষ সেই চক্রব্যূহে প্রবেশ করবে প্রতিপক্ষ ধ্বংস হতে শুরু করবে। এবং এই চক্রব্যূহ ভাঙার ক্ষমতা সবার থাকতো না। এটা ছিল একটা বিশেষ যুদ্ধকৌশল যেটা শুধুমাত্র মহারথী যোদ্ধাগণ জানত। মহাভারত বইটা আমি পড়েছি। ঐ যুদ্ধে কৌরবদের পক্ষে তিনজন শক্তিশালী যোদ্ধা ছিল যারা চক্রব্যূহ তৈরি করতে এবং ভাঙতে পারতো। কিন্তু অন্যদিকে পান্ডবদের পক্ষে ছিল মাএ দুজন এক অর্জুন এবং অন্যজন ছিল পাঞ্চাল রাজা দ্রুপদ। আরেকজন ছিল অভিমুন্য যে চক্রব্যূহে ডুকতে পারলেও বের হতে পারতো না। ভাবতে পারেন আজ হঠাৎ আমি এই যুদ্ধকৌশল নিয়ে কেন পড়লাম।
না আজ যুদ্ধকৌশল নিয়ে কিছু লিখব না। ঐ বিষয়ে আমার জানাশোনা খুব বেশি নেই। তবে আরেকটা যুদ্ধক্ষেএ আছে যেটা সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারণা আছে সেটা হলো ফুটবল মাঠ। সেই ফুটবল মাঠে এক একজন কোচ যেন সেনাপতির দায়িত্ব পালন করে। যারা নিজের দলের জন্য চক্রব্যূহ তৈরি করে। এবং প্রতিপক্ষের চক্রব্যূহ ভাঙার জন্য পরিকল্পনা করে। এইজন্যই প্রথমে ঐরকম কিছু নিয়ে আলোচনা করে নিলাম। আধুনিক ফুটবলে কোচের ট্যাকিক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এইজন্য বেশ কিছু কোচ রয়েছে যারা বেশ জনপ্রিয় নিজেদের মাস্টারমাইন্ড পরিকল্পনা বা নতুন কৌশলের জন্য। এইজন্য আমি প্রথমেই বলব আধুনিক ফুটবলের জনক খ্যাত স্যার জোহান ক্রুইফের নাম। তিনি ফুটবলের একটা নতুন কৌশল নিয়ে এসেছিলেন।তার সেই কোচিং ফিলোসোফি ব্যবহার অনেকেই করছে এখন।
স্প্যানিস কোচ পেপ গার্দিওয়ালা বার্সেলোনার দায়িত্ব নেওয়ার পরে ফুটবল বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দেয় টিকিটাকা ফুটবলের সাথে। যেটা ফুটবল বিশ্ব আগে কখনও দেখেনি। বেশ কয়েক বছর বার্সেলোনা সেই ফুটবল দিয়ে ইউরোপ শাসন করে। কিন্তু গার্দিওয়ালার সেই কৌশল টিকে থাকেনি। দ্যা স্পেশাল ওয়ান হোসে মোরিনিও রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে আসেন। এবং ঐ টিকিটাকা ফুটবল কৌশলকে তার কৌশল দিয়ে একেবারে নাজেহাল করে ছাড়েন। ঠিক যেন চক্রব্যূহ ভেঙে ফেলার মতো। শেষ হয় গার্দিওয়ালার বার্সেলোনা অধ্যায়। ইতালিয়ান মাস্টারমাইন্ড ডন কার্লো আনচেলওি। যার কোন নির্দিষ্ট ট্যাকটিক্স নেই বললেই চলে অন্তত নিন্দুকেরা সেটাই বলে। আনচেলওি ধরাবাঁধা কোচিং করান না। তার মাস্টারমাইন্ড প্ল্যান সবসময় ম্যাচে ফলাফল বের করে নিয়ে আসে।
যার ফলাফল সবচাইতে বেশি চ্যাম্পিয়ন লীগ বিজয়ী কোচ সে। এখন চলছে জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক এর হাইলাইন মেইনটেইন। এই কৌশলে তারা দল যেমন গোল করছে পাশাপাশি প্রতিপক্ষ কে ফেলছে অফসাইড ট্রাপে। এছাড়া আরেক স্প্যানিস কোচ লুইস এনরিকের পিএসজি খেলছে হাইপ্রেসিং ফুটবল।যেটা দিয়ে গত সিজেনে সে সবাইকে হারিয়েছে। এখন এই দুই কৌশল সবচাইতে বেশি কার্যকর। আর এদের কৌশল খুব দ্রুতই কেউ না কেউ ভেঙে ফেলবে। আমি বরাবরই একজন ফুটবল কোচকে ফিলোসফার এর সাথে তুলনা করা। প্রত্যেক কোচের একটা ফিলোসোফি থাকে। আর সেটা দিয়েই তারা ফুটবল টাকে পরিচয় করিয়ে দেয় একেবারে নতুন কিছুর সঙ্গে। এভাবেই চলছে আসছে। একজন চক্রব্যূহ যখন অপ্রতিরোধ্য হয়ে যায় তখনই সেই চক্রব্যূহ ভাঙার জন্য নতুন কারো আগমন হয়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)


