ফ্রেমে সংরক্ষিত করা কিছু ছবি ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি বেশ কিছুদিন আগে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টটির নাম ছিলো ওল্ড টাউন রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার। সেখানে কিছু ছবি ফ্রেমের মাঝে সংরক্ষিত করা ছিলো। রেস্টুরেন্টের এই ব্যাপারটি আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে। সেই ফ্রেমে রাখা ছবিগুলো নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি ছবিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
এই রেস্টুরেন্টটি ময়মনসিংহের অনেক নামকরা একটি রেস্টুরেন্ট। আমি এর আগে অনেক রেস্টুরেন্টে খেয়েছি কিন্তু এই রেস্টুরেন্টটি আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে। রেস্টুরেন্টেটিটে ঢুকতেই ফ্রেমে বাধাই করা কিছু অসম্ভব সুন্দর ছবি দেয়ালে আটকানো ছিলো। এই ব্যাপারটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। প্রথমেই যেই ছবিটি আমার চোখে পড়ে এটি দেখে বোঝা যাচ্ছিলো এটি ৯০ দশকের ঢাকার কোনো জায়গার। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছিলো দুইটি পালকি। ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
পরের ছবিটি ছিলো বেশ পুরোনো একটি মসজিদের। আমার কাছে পুরোনো মসজিদ গুলো অনেক ভালো লাগে। পুরোনো মসজিদগুলোর মধ্যে আলাদা একটি ভালো লাগার ব্যাপার আছে। এই মসজিদটি বেশ বড় ছিলো। মসজিদটি দেখতে ও বেশ সুন্দর ছিলো। ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
এরপরের ছবিটি ছিলো কিছু মানুষের কথোপকথন। কিছু মানুষ বসে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলো। ছবিটিতে আরো দেখা যাচ্ছে একজন লোক আরেকটি লোককে দুধের বোতল দিচ্ছে। এই ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে এটিও অনেক আগের ছবি।
এরপরের জায়গাটি একদম ভারতের আগ্রার তাজমহল এর মতো। জানিনা এটি কোথায় কিন্তু দেখতে হুবাহু তাজমহল এর মতোই। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি নদীর পাশ দিয়ে তাজমহল এর মতো এই ভবনটি। এর সামনে আরেকটি মিনার রয়েছে, এটি দেখতে বেশ পুরোনো লাগছে। সব মিলিয়ে এই ছবিটি আমার অনেক ভালো লেগেছে।
এর পরের ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি ইউরোপ এর কোনো দেশের। এই জায়গাটি কেউ চিনে থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন। জায়গাটি মনে হচ্ছে ইউরোপের কোনো দেশের সদর দপ্তর হবে। এই বিল্ডিংটি বেশ বড় জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। জায়গাটি অনেকটা ক্লক টাওয়ার এর মত। ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
এরপরের ছবি অর্থাৎ শেষ ছবিতে দেখা যায় কিছু মানুষ বসে আছে। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি ৭০-৮০ দশকের সময়ের একটি ছবি হবে। দেখে মনে হচ্ছে মানুষগুলো আগেকার সময় অনেক বিখ্যাত ছিল। ছবিটি অনেক পুরনো হওয়ায় মানুষগুলোকে চিনতে পারা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আপনারা যদি এদের মধ্যে কাউকে চিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
আজকের মত এখানেই। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।










ভাইয়া আমিও মাঝে মাঝে ৯০দশকের ছবি দেখলে খুব আগ্রহ নিয়ে দেখি। এসব ছবির মধ্যে অনেক ইতিহাস লুকিয়ে থাকে। অনেক কিছু জানার থাকে। আমি একবার ময়মনসিংহে গেছিলাম। বর্তমানে বিভাগ হয়ে ভালোই উন্নয়ন হচ্ছে। ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাই আপনি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে রেস্টুরেন্টের বেশ কিছু পুরনো ছবি দেওয়ালে টাঙানো ছিল সেসব ছবিগুলো আপনি ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে যেসব ফটোগ্রাফি গুলো খোঁজ নিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছে এবং মনে হচ্ছে এই ফটোগ্রাফির মধ্যে অনেক শিক্ষনীয় কিছু বিষয় রয়েছে। সব মিলিয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আজকাল কিন্তু খাবারের রেস্টুরেন্ট বলেন থাকার হোটেল বলেন সব জায়গায় খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়। এমন সুন্দর সুন্দর ফ্রেমে সংরক্ষিত ছবি গুলো আরো সৌন্দর্য বাড়ায় দেই। আপনার শেয়ার করা ফ্রেমের সংরক্ষিত করা ছবিগুলো খুবই সুন্দর ছিল। এর মাধ্যমে অতীতের কিংবা ঐতিহ্যের অনেক কিছু বুঝা যায়। যা স্মরণীয় থাকার জন্য ফটোগ্রাফি গুলো ফ্রেমের মধ্যে বন্দি করে রাখেন।
আপনি ঠিক বলেছেন স্মরণীয় থাকার জন্য ফটোগ্রাফি গুলো ফ্রেমের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান বক্তব্য এর মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।