এই বছর টিনটিন বাবুর বার্থডে তে গিয়ে
বন্ধুরা,
| তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। দুইদিন আগেই অসুস্থতা থেকে একটু সুস্থ হয়ে উঠলাম আবার দেখছি শরীরটা খারাপ খারাপ করছে তাই ভালো আছি এটা বলব না তোমাদের। |
|---|
গত মাসের ২৬ তারিখ আমাদের টিনটিন বাবুর বার্থডে ছিল এটা আমরা সবাই জানি। আমাদের টিনটিন বাবুকে চিনবে না এরকম কোন লোক আমাদের কমিউনিটিতে নেই কারণ আমাদের টিনটিন বাবু হল আমাদের সবার প্রিয়, আমাদের কমিউনিটির ফাউন্ডার, বড় দাদার ছেলে। প্রত্যেক বছরই আমি টিনটিন বাবুর বার্থডেতে গিয়ে থাকি। প্রত্যেক বছরই দাদারা খুব বড় করে এই বার্থডে সেলিব্রেশন করে । আর কেনই বা করবে না, দাদার একমাত্র ছেলে বলে কথা ।
তবে অন্যান্য বছরে তুলনায় এই বছর একটু আলাদা ধরনের আয়োজন করা হয়েছিল টিনটিন বাবুর বার্থডেতে। এর আগে যতবার আমি টিনটিন বাবুর বার্থডেতে গেছি কোন বারই ম্যাজিশিয়ান আনা হয়নি তবে এবার ম্যাজিশিয়ান ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল পুরো অনুষ্ঠানটাকে আরো চমৎকার করার জন্য। অন্যান্য বছর আমি সন্ধ্যা সাতটার আগেই চলে যাই টিনটিন বাবুর বার্থডে অনুষ্ঠানে যোগদান করতে। তবে এই বছর যেতে যেতে আমার একটু লেট হয়ে গেছিল। আমার যেতে যেতে মোটামুটি সাড়ে আটটার মতো বেজে গেছিল ।
তবে যখন গেছিলাম গিয়ে দেখে অনুষ্ঠান পর্বে এখনো শুরু হয়নি । আমি যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কেক কাটার অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রত্যেকবারের মতো এবারও স্পেশাল ধরনের কেক অর্ডার করে আনা হয়েছিল টিনটিন বাবুর বার্থডেতে। যাই হোক কেক কাটার পর্ব শেষ হলে ম্যাজিক পর্ব শুরু হয়। এই ম্যাজিক পর্ব সত্যিই ইন্টারেস্টিং হয়েছিল। এই ম্যাজিক পর্বে সবাই আমরা অংশগ্রহণ করেছিলাম। ছোট দাদা, বড় দাদা,বড় বৌদি তাছাড়া অনুষ্ঠানে যতজন এসেছিল তার মধ্যে থেকে অনেকজন ,এমনকি আমিও এই ম্যাজিক পর্বে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমাদের টিনটিন বাবুও বাদ যায়নি, সেও কয়েকবার ম্যাজিক শো তে অংশগ্রহণ করেছিল ম্যাজিশিয়ানের সাথে ।
তবে প্রথমে একটু ভয় পাচ্ছিল আমাদের টিনটিন বাবু। কিছু সময় পরে যদিও তার ভয় কেটে গেছিল। ম্যাজিশিয়ান প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ধরনের ম্যাজিক উপস্থাপন করেছিল সেই দিনটিতে। এগুলো ক্যামেরা বন্দি করতে বেশ ভালই লাগছিল আমার। এই ম্যাজিক শো চলাকালীন সময়ে আমি চেষ্টা করছিলাম ম্যাজিকের কোন ত্রুটি ধরা যায় কিনা কিন্তু ম্যাজিশিয়ান সত্যিই অনেক ভালো ছিল ,আমি ম্যাজিকের কোন ত্রুটি ধরতে পারিনি সেই দিন।
বেশ ইন্টারেস্টিং ম্যাজিক উপস্থাপন করেছিল ভাড়া করে আনা এই ম্যাজিশিয়ানটি। সাইকোলজিক্যাল অনেক ম্যাজিকও দেখিয়েছিল সেইদিন তিনি। আমি ম্যাজিক পর্বে কার্ডের একটি ম্যাজিকে অংশগ্রহণ করেছিলাম । যাইহোক ম্যাজিক পর্ব শেষ হলে আমাদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য উপরে যেতে বলা হয়। এবার দাদারা খাওয়া-দাওয়া জন্য বুফে সিস্টেম করেছিল। সেই সাথে খাওয়া দাওয়া বিশাল আয়োজন করেছিল। উপরে গিয়ে আমরা সবাই যে যার মত করে খাবারগুলো এনজয় করি। এরপর রাত সাড়ে দশটার দিকে বাড়িতে চলে আসি। এই ভাবেই কাটে টিনটিন বাবুর বার্থডে গিয়ে আমার দিনটা।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।








ম্যাজিশিয়ান আনার ব্যাপারটা বেশ ভালো ছিলো। সবাই নিশ্চয়ই উপভোগ করেছে৷ পুরো অনুষ্ঠান বেশ ঝাঁক ঝমক হয়েছে তা বুজাই যাচ্ছে।
হ্যাঁ আপু ম্যাজিশিয়ান আনার ব্যাপারটা সবাই বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছিল।