বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যাওয়ার গল্প
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যাওয়ার সেই দিনটা শুরু হয়েছিল ভোরের আলো ফোটার আগেই। গ্রামের পাশের খালটাতে আজ ভালো মাছ উঠবে,এই আশাতেই আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে বড়শি, জাল আর টিফিন নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম। সারাদিনের ক্লান্তি, হাসি-ঠাট্টা আর মাছ ধরার উত্তেজনা শেষে যখন সূর্যটা পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ল, তখন আমরা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিলাম। ঠিক সেই ফেরার পথটাই হয়ে উঠল আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্তের গল্প।
খালের পাড় ছেড়ে কাঁচা রাস্তায় পা দিতেই মনে হলো, আজকের দিনটা যেন একটু অন্যরকম। কারও হাতে ধরা ঝুড়িতে রুই, কাতলা আর ছোট ছোট পুঁটি মাছ, কারও কাঁধে জাল। আমরা হাঁটছি আর দিনের ঘটনাগুলো নিয়ে কথা বলছি। কে কখন বড় মাছটা তুলেছিল, কার বড়শি ছিঁড়ে গিয়েছিল—এসব নিয়েই হাসাহাসি। হঠাৎ একজন বন্ধুর পা পিছলে কাদায় পড়ে যেতেই সবাই হেসে লুটোপুটি। সেই হাসিতে যেন ক্লান্তির লেশমাত্র রইল না।ফেরার পথে প্রকৃতিও যেন আমাদের আনন্দে সঙ্গ দিচ্ছিল। ধানক্ষেতের ওপর দিয়ে বয়ে আসা হালকা বাতাস, পাখিদের ঘরে ফেরার ডাক, দূরে গ্রামের মসজিদ থেকে ভেসে আসা মাগরিবের আজান,সব মিলিয়ে এক শান্ত, তৃপ্তির অনুভূতি। আকাশে লালচে রঙ ছড়িয়ে পড়েছে, সূর্যের শেষ আলো আমাদের ছায়াগুলোকে লম্বা করে তুলেছে। সেই ছায়াগুলোর দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল, বন্ধুত্বের পথটাও এমনই দীর্ঘ হোক।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা থেমে গেলাম রাস্তার ধারে এক চায়ের দোকানে। দোকানদার কাকু আমাদের দেখে হেসে বললেন,,আজ বুঝি ভালো মাছ পেয়েছো? চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আবার শুরু হলো গল্প। চায়ের ধোঁয়ার সাথে মিশে গেল আমাদের দিনের আনন্দ, পরিশ্রমের গন্ধ। কেউ কেউ বলল, আজকের মাছ ভাগ করে বাড়িতে রান্না করবে, আবার কেউ বলল, মায়ের হাতের ঝোলের স্বাদটাই আলাদা হবে।
বাড়ির কাছাকাছি আসতেই মনটা একটু ভারী হয়ে উঠল। বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়টা শেষের পথে। কিন্তু সেই ভারের মধ্যেও ছিল এক ধরনের সুখ। কারণ জানতাম, এমন দিন আবার আসবে। বিদায়ের আগে আমরা ঠিক করলাম, পরের শুক্রবার আবার মাছ ধরতে যাবো। একে অপরের কাঁধে হাত রেখে হাসতে হাসতে যে যার বাড়ির পথে হাঁটা দিলাম।সেই বাড়ি ফেরার পথটা আজও মনে পড়লে মনটা ভরে যায়। মাছ ধরার আনন্দের চেয়েও বড় ছিল বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেওয়া মুহূর্তগুলো। ক্লান্ত শরীর, হাসিতে ভরা মন আর বন্ধুত্বের উষ্ণতা,এই সবকিছু মিলিয়েই আমাদের ফেরার পথটা হয়ে উঠেছিল এক স্মরণীয় আনন্দময় গল্প।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
| ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
|---|---|
| ধরণ | রাইটিং ✨ |
| মডেল | এম-৩১ |
| ক্যাপচার | @alif111 |
| অবস্থান | সিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼
সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻





