মাহে রমজান এর খুশির সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
দীর্ঘ একটি বছর পর মাহে রমজান আমাদের মাঝে এসেছে। যার কারণে আমরা অনেক আনন্দিত। এই পবিত্র মাসে আমাদের অনেক পরিকল্পনা থাকে। যার কারণে এই মাসকে কেন্দ্র করে নতুন একটা পথ চলা যেন আমাদের মাঝে শুরু হয়। প্রত্যেকটা গ্রাম প্রত্যেকটা মহল্লায় এবং শহরের মধ্যে এই রমজান মাসে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ধনী গরিবের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকলেই একসাথে এই মাসে ইবাদতে মগ্ন থাকে। বিশেষ করে এই মাসে সকল মানুষই সততার সাথে এবং অন্যের বিপদে এগিয়ে আসার চেষ্টা করে। তাইতো মাহে রমজান মাস নিয়ে আমরা প্রতিবছরই একটি করে পরিকল্পনা করে থাকি। এবারও আমার বন্ধুদের সাথে নিয়ে ছোট্ট একটি পরিকল্পনা করেছিলাম। সবার মাঝে খুশির মুহূর্ত তৈরি করার জন্য আমরা কিছু পরিকল্পনা করে ছিলাম।আর সেই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেই শেয়ার করতে আসলাম।
আমি মূলত শহরেই বসবাস করি। তাই গ্রামে খুব একটা বেশি আসা হয় না। তবে ছুটি পেলে আমি গ্রামে চলে আসি। গ্রামের এই প্রকৃতির মায়া যেন আমাকে টানে। আমি গ্রাম বাংলার মানুষ। তাই তো গ্রামের গরীব দুঃখী মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায়। আসলে আমি ছাত্র মানুষ, আমার যতটুকু সম্ভব আমি মানুষের সেবা করতে পছন্দ করি। তাইতো আমার বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম। গ্রামে যারা গরীব দুঃখী রয়েছে তাদেরকে কিছুটা সাহায্য করবো। আর এই সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক আগে থেকেই একটি পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। সেখানে আমরা কিছু অর্থ প্রতি মাসেই জোগাড় করতাম। সেই অর্থ দিয়ে মাহে রমজান মাস আসলেই কিংবা ঈদ আসলেই আমরা গরিবদের একটু আনন্দ দেওয়ার জন্য সাহায্য করে থাকি। এবারও তাই পরিকল্পনা করলাম মাহে রমজান মাস প্রথম দিনে কিছু খেজুর এবং ইফতারের সামগ্রী যেন আমরা গরিবদের মাঝে দান করবো।
আমাদের সমাজে একটা প্রচলিত রয়েছে, আমরা গরীব-দুঃখীদের সাহায্য করলেই ফটোগ্রাফি করে থাকি। আর এই ফটোগ্রাফি গুলোই আমরা ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাঝে পোস্ট করে থাকি। এই বিষয়টি আমাদের কাছে অনেক খারাপ লাগে। মানুষকে আমরা সাহায্য করলাম, সেটা সবার মাঝে আমরা কেন তাদের ছবি প্রকাশ করব। গোপনে দান করার মধ্যেও অনেক আনন্দ রয়েছে। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা একটি ফটোগ্রাফিও করবো না। আমরা একবারে নিঃস্ব গরীব দের সাহায্য করবো। যাদের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য চেষ্টা করব। তাইতো মাহে রমজান মাসের আমরা কিছু দ্রব্য কিনে নিয়ে এসেছিলাম। এইসব গরিব দুঃখীদের জন্য দান করার জন্য। যারা নিঃস্ব গরিব তাদেরকেই আমরা বেঁছে বেঁছে সাহায্য করবো।আর এই সাহায্যের মধ্যে অনেক ভালোলাগা এবং ভালোবাসা যেন বৃদ্ধি পায়।
আজকে মাহে রমজানের প্রথম দিন পার হয়ে গেল। এই প্রথম দিন ইফতারের মুহূর্ত গুলো অনেক আনন্দের ছিল। বিশেষ করে অনেক গরীব দুঃখী মানুষদের সাথে নিয়ে আমরা এই ইফতারের আয়োজন করতে পারি। আমরা প্রত্যেকটা মানুষ নিজেদের অবস্থান থেকে আশেপাশের মানুষদের মুখে হাসি ফোঁটানোর চেষ্টা করবো।আসলে যার যতটুকু সাধ্য রয়েছে ততটুকির মধ্যেই আমরা একে অপরের পাশে থাকবো। তাহলেই আমাদের মাঝে শান্তি এবং আরো সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। তাইতো মানুষের সেবায় আমরা প্রত্যেকেই বিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
এই মাহে রমজান মাস আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই আনন্দ হাসি নিয়ে আসুক, সেই আশাতেই যেন আমরা এই পরিকল্পনা করেছি। আমার মত আপনারাও যদি আপনাদের নিজেদের সাধ্যমতো গ্রামের গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফোঁটানোর ছোট্ট একটি পরিকল্পনা করি।তাহলে তারা অনেক আনন্দিত হবে এবং তাদের একটু হলেও মনে শান্তি আসবে। এই ভালোবাসা সবার মাঝে যেন ছড়িয়ে পড়ে এই দোয়া করি। পবিত্র এই মাসে আমরা ছোট ছোট কাজগুলোই করার চেষ্টা করব। যাতে সবার মাঝে ভালোবাসার বন্ধনটা আরো শক্তিশালী হয়।✨।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রাইটিং ✨ |
মডেল | এম-৩১ |
ক্যাপচার | @alif111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ। |
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1896266052168016177?t=6GOEP2z7oNPqKpstXHrixw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া এখন ইদানিং দেখা যায় গরিব দুঃখীদের কেউ সাহায্য করলে ও সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে এগুলো আসলে অনেক খারাপ লাগে। আপনার লেখাগুলা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
রমজান মাস আমাদের সবার জন্য সুন্দর শিক্ষা এবং সুশৃঙ্খলা নিয়ে আসে। এতে সবার মাঝে সুন্দর বন্ধন সৃষ্টি হয় এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা যায়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মাহে রমজানের সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।