ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৮ শে নভেম্বর, শুক্রবার,২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি এবং হাসি খুশির মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে আমার বেশ ভালো লাগে। আপনারা সবাই জানেন আমি ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। তাই সময় পেলে নিজের মনকে প্রশান্ত করতে ধরতে বেরিয়ে পড়ি। আজ শেয়ার করব দুই ভাইবোন মিলে ঘোরাঘুরির একটি মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলো তাহলে আমার পোস্ট পড়ে আসা যাক।
ঘোরাঘুরি করতে আমি অনেক পছন্দ করি। সেজন্য সময় পেলেই একটু ঘোরাঘুরি করে নিই।যদিও এখন আর আগের মত সময় পায়না। যতটুকু সময় পায় ততটুকুই ঘোরাঘুরি করে নিই।যত দিন যাচ্ছে ততই যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। সেদিন গিয়েছিলাম আমি আর আমার ভাই একটু খাওয়া দাওয়া করার জন্য। ঘোরাঘুরি পাশাপাশি সামান্য খাওয়া দাওয়া বেশ আনন্দ দেয়।

আমি আর ভাই দুজনে এখন কুষ্টিয়াতেই থাকি। ও থাকে হোস্টেলে আমি থাকি মেসে। যেহেতু দুজনেরঐ মায়ের হাতের খাবার খাওয়ার ভাগ্য মাঝে মাঝে হয়। সেজন্য মাঝে মাঝে বাইরে খাবার খেতে বেশ ভালো লাগে। সেজন্যই দুই ভাই বোন মিলে ঠিক করেছিলাম বের হব।

বেলা তিনটা নাগাদ আমরা দুজন মিলে ঘুরতে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমেই গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া জনপ্রিয় জায়গা হরিপুর ব্রিজে। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম। নদী এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। প্রথমে ভেবেছিলাম নৌকায় ঘুরতে যাব। কিন্তু যেহেতু শীতের সময় সে তো নৌকায় গেলে খুব একটা ভালো লাগেনা। ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাবে। সেজন্য আর গিয়েছিলাম না।

দুই ভাই বোন মিলে চলে গেলাম ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টটি খুব সুন্দর হাতের কাজ দিয়ে সাজানো। প্রত্যেকটা কোনায় কোনায় যেন বাঙালির ঐতিহ্যের ছোঁয়া। ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। এখানকার দরজাতেও বেশ সুন্দর আলপনা করা ছিল। সেগুলো আর আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না। অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম যেদিন।

এখানকার ডেকোরেশনের সাথে সাথে জায়গাটি ও ভীষণ সুন্দর ছিল। এখানে গিয়ে মনটা বেশ ভালো হয়ে গিয়েছিল। গল্প আড্ডায় বেশ কিছুটা সময় এখানে কাটানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে আমরা কয়েকটা ধরনের খাবার অর্ডার করে নিয়েছিলাম। খাতাগুলোর মধ্যে মিটবক্স আমার ভীষণ ভালো লেগেছিলো।আরো ছিল ফুচকা চটপটি এবং পাস্তা। সেগুলো ছিল অসাধারণ।

আমার কাছে তো ভাজাপোড়া খেতে বেশ ভালো লাগে। তাই আমি সব কটি খাবার বেশি মজা করে খেয়েছিলাম। সেখানে ছবি তোলার জন্য খুব সুন্দর সুন্দর লোকেশন রয়েছে। বাঙালিয়ানা ছোঁয়াতে পরিবেশটাও বেশ মাধুর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছেন ।অনেকগুলো ছবি ভিডিও শেষ করে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

সন্ধ্যার পর পর আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। অনেকদিন পর দুই ভাই বোন মিলে দারুন একটি সময় কাটিয়েছিলাম। জায়গা সুন্দর হলে সেখানে গিয়ে কিছুটা সময় বসে থাকতেও বেশ ভালো লাগে। আর হ্যাঁ এই জায়গাটি ছিল কুষ্টিয়া শহরের মধ্যে চমৎকার একটি রেস্টুরেন্ট নাইন্টিন হাউস।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১২ ই অক্টোবর,২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14








Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟