অসুস্থতা নিত্যসঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে🥺
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো আমার অসুস্থতার গল্প। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি খুবই শান্তস্বভাবের একটি মেয়ে ছিলাম কারো সাথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলতাম না। প্রয়োজন ছারা ঘরের বাইরে বের হতাম না।নিরিবিলি পরিবেশে একা একা বসে থাকতে ভালোবাসতাম। কারো সাথে হিংসা করতাম না। ঝগড়া করতাম না।কেউ দুকথা শোনালে চুপচাপ থাকতাম নিরবে চোখের জল ফেলাতাম মানুষের আড়ালে।আমি মানুষ কে কান্না দেখাতে পছন্দ করি না।আমার মন থেকে কান্না না আসলে কখনোই লোক দেখানো কান্না করি না।
আমি হাটলে মানুষ ভাবতো এই বুঝি লেগে যাবে কারণ আমি মাথা নিচু করে রাস্তা দেখে হাঁটতাম আর তার জন্য অনেকেই অনেক কথা বলতো।
আমি সুস্থ স্বাভাবিক একটা মানুষ ছিলাম। বছরে শুধু জ্বর ছারা কোন অসুস্থতা আমাকে ছুঁতে ও পারেনি কারো বদ নজর আমাকে কখনো লাগেনি কারণ আমি যেমন পজিটিভ আমার কাছে তাই পজিটিভ শক্তি থাকতো।কারো কু বুদ্ধি কুনজর আমাকে ঘায়েল করতে পারতো না আমি এখনো বিশ্বাস করি সৃষ্টি কর্তা যা চায় তাই আমার জীবনে ঘটে মানুষের খারাপ নজর ভালো নজরে নয়।
আমি সুস্থ মানুষ টা অসুস্থ হয়ে গেলাম হঠাৎ করেই।গাইনি ছোট একটা সমস্যা নিয়ে গাইনি ডাক্তার কে দেখাতে গেলে আল্ট্রাস্নো করে ধরা পড়ে পিত্ত থলির পাথর আর সেজন্য সিএমএ এইস অপারেশনের জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে ধরা পড়ে কিডনিতে পাথর। অনেক চরাই উতরাই পেরিয়ে কিডনিও পিত্তথলীর অপারেশন হওয়ার পর বেশ ভালোই যাচ্ছিল দিনকাল। আমি আগে খাগড়াছড়িতে বরের সাথে কোয়াটারে ছিলাম। তবে গ্রামে থাকতাম আর ভাবতাম মেয়েকে শহরের ভালো স্কুলে ভর্তি করাবো। মেয়েকে গ্রামের একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে টু পর্যন্ত পাকড়ানো করার পর বুঝতে পারছিলাম মেয়েকে নিয়ে শহরে থাকা জরুরি তাই আমি শহরে এসে মেয়েকে একটি ভালো কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে ভর্তি করালাম এবং কোচিং এ ভর্তি করালাম।আশা ছিল শহরে গিয়ে সব গুছিয়ে করবো।মেয়ের পড়াশোনা ও বাংলা ব্লগের জন্য পুরা সময় টাই থাকবে আমার কিন্তুু ঐ যে বিধি বাম কথায় আছে।আমরা যা চাই তা পাই না। বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের রাস্তা স্কুল। হেঁটে ই নিয়ে যাওয়া আসা করি স্কুলে মেয়েকে। ভালোই চলছিল এভাবে। হঠাৎ একটা ছোট্ট দূর্ঘটনা আমাকে আবারও অসুস্থ বানিয়ে দিলো।
যে রাস্তা দিয়ে ময়েকে নিয়ে যাওয়া আসা করতাম সে রাস্তা টিতে কাজ শুরু হয় আর কাজ চলছিলো জন্য উঁচুনিচু রাস্তায় পরিনত হয়।যেহেতু আমি হেঁটে যাওয়া আসা করি তাই ওই রাস্তা দিয়ে যা-ওয়া আসা করছিলাম।
একদিন মেয়েকে কোচিং থেকে নিয়ে আসার পথে হঠাৎ কোন এক কারণে পিছনে ফিরে তাকাই আর আমার পায়ের রগে টান লেগে যায়। আমি অবাক হলাম কারণ আমি আর পায়ের পাতা এক সেকেন্ডের জন্য তুলতে পারছি না নড়াচড়া করতে পারছি না।আমি একটি দেয়াল ধরে দশ মিনিট দাড়িয়ে থাকলাম। আমার মেয়ে আমার পা ধরে টানাটানি করছে কিন্তু আমার আরো লাগছে পরে দশ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর আমি কোনমতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে বাসা অবদি চলে আসলাম।
রুমে ঢুকতে না ঢুকতেই আমার বাড়িওয়ালী বৌদি আমাকে বার পূজায় প্রসাদ খেতে ছাদে ডাকলেন আমি ছাদে গেলাম প্রসাদ খেতে এবং বাসায় এসে ঘন্টা খানেক শুয়ে থাকার পর দেখলাম পা একদমই স্বাভাবিক হয়ে গেলো।
বেশ ভালোই থাকলাম ভেবেছিলাম হয়তো পা চমকে গেছিলো ঠিক হয়ে গেছে।এরপর মাঝে মাঝেই রুমেই হাঁটাচলা করতে গেলে পায়ে ব্যাথা লাগতো।দূর্গা পূজায় সেম অবস্থা হলো শ্বশুর বাড়িতে পূজা কিন্তুু গেলাম না কারণ আমার পা কখন এমন হবে কারণ পূজায় হাঁটাচলা বেশি করতে হবে শ্বশুরবাড়ি বলে কথা পূজার কাজ না করলে কথা হবে সেই ভয়ে গেলাম না কিন্তুু কথা ঠিকেই হলো কেন গেলাম না সেজন্য।
যাইহোক পূজার দুমাস পর আবারও অসুস্থ হলাম আমি।
(চলবে)
আগামী পর্বে শেয়ার করবো বাকি অংশ
আজকের মতো এখানেই শেষ। আগামী পর্ব নিয়ে চলে আসবো আবারও আপনাদের মাঝে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
| পোস্ট | বিবরণ |
|---|---|
| পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
| শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
| ডিভাইস | OppoA95 |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।





