জেনারেল রাইটিং: রমজান মাসে মূল্যবৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দারিদ্র পরিবার।
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো বন্ধুরা............
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।প্রতিদিন এর মত নিত্যনতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছে আপনাদের সামনে।আজ আমি আপনাদের মাঝে একটা জেনারেল পোস্ট শেয়ার করব। আশাকরি আমার লেখা জেনারেল রাইটিং আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। সারা মাসব্যাপী রোজা রাখার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য, সহানুভূতি এবং ধর্মীয় অনুভূতির বৃদ্ধি ঘটে।এই মাসে রোজা রাখা, প্রার্থনা করা, এবং দান করা অপরিহার্য।তবে এই মাসের অন্যতম বিশেষ দিক হলো ইফতার ও সেহরি। বিভিন্ন প্রকার ফল, সবজি, মিষ্টি এবং অন্যান্য খাবারের মাধ্যমে রোজা ভাঙা হয় এবং নতুন দিনের উপহার গ্রহণ করা হয়। কিন্তু প্রতি বছরই রমজান মাসে আমাদের দেশে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি দেখা দেয়, তা হলো বাজারের অধিকাংশ জিনিসের দাম বেড়ে যায়, বিশেষত লেবু, তেল, খেজুর, চিনি, মিষ্টি এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দাম।যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়ায়।লেবু সাধারণত সারা বছর ধরে পাওয়া যায়, কিন্তু রমজান মাসে এর দাম হঠাৎ করে আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। লেবু একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল, যা সারা বছরই সেলফে থাকে তবে রমজান মাসে এর ব্যবহার বেড়ে যায়। ইফতার বা সেহরি সময় পানি, শরবত, কিংবা নানা খাবারে লেবুর ব্যবহার করে থাকি আমরা। লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং নানা পুষ্টি উপাদান যা শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখার পর লেবুর শরবত খেলে শরীরের মধ্যে অনেক ভালো লাগে। এই কারণে রমজান মাসে লেবুর চাহিদা বেড়ে যায় এবং তার ফলে বাজারে দামও বাড়ে।ইফতার কিংবা সেহরি তৈরিতে লেবু এক অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু চাহিদার বৃদ্ধি এবং সরবরাহের অভাবের কারণে দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তেমনি, অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী যেমন তেল, চিনি, মশলা, মিষ্টি, পণ্যসামগ্রীর দামও বৃদ্ধি পায়।
এই দাম বাড়ানোর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পরিবহন ব্যবস্থা কিংবা উৎপাদনে কোনও বাধার কারণে পণ্যের সরবরাহ কমে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, রমজান মাসে অতিরিক্ত চাহিদা এবং ব্যবসায়ীদের সুযোগের জন্য দাম বেড়ে যায়। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে বাজারে কালোবাজারি বা অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে কিছু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দেয়।যদিও বাজারদরের এই বাড়তি চাপ সাধারণ মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে, তবে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি সঠিক সময়মতো নজরদারি চালায় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়, তবে এমন পরিস্থিতি থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের উচিত বাজার মনিটরিং করা, অপর্যাপ্ত সরবরাহের জায়গাগুলো চিহ্নিত করা এবং প্রযোজ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা।তবে এই দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষ, বিশেষত নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে, যাদের জন্য রমজান মাসের খাদ্য সামগ্রী অনেক সময় সীমিত বাজেটে আসে।এই দাম বৃদ্ধির কারণে এমন অনেক পরিবার আছে যারা না খেয়েও রোজা করে। স্বাদ থাকলে সাধ্য থাকে না। সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের জন্য রমজান মাস সহজ করে দেওয়া। যাতে জনগণ রমজান মাসে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করতে পারে।একই সাথে খুচরা বিক্রেতাদেরও উচিত, সমাজের কল্যাণে এবং সঠিক ব্যবসায়ী মনোভাব নিয়ে কাজ করা, যাতে গরিব মানুষজন রমজান মাসে তাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালন করতে কোনো ধরনের আর্থিক বাধার মুখে না পড়েন।রোজার মাসে দরিদ্র মানুষের জন্য মিথ্যা মুনাফা অথবা মজুদদারি একেবারেই অনুচিত। তাই সকলের উচিত এই পবিত্র মাসে মূল্য বৃদ্ধি কমিয়ে আনতে এবং সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী সঠিক মূল্যে নিশ্চিত করা। তবেই আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, সহানুভূতিশীল এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারব।রমজান মাস একটি ত্যাগ, সহানুভূতি এবং আত্মশুদ্ধির মাস, এবং এর জন্য একে সুখী এবং শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা প্রয়োজন।
পোস্টের বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
রমজান সংযম ও সহমর্মিতার মাস, অথচ বাজারে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা যেন এই শিক্ষার বিপরীত চিত্র তুলে ধরে। নৈতিকতার জায়গা থেকে ব্যবসায়ীদেরও উচিত সততা বজায় রাখা, যাতে রমজানের প্রকৃত উদ্দেশ্য সবার জন্য স্বস্তিদায়ক হয়। সুন্দর ভাবে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীর চাঁদ দেখলেই জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়। আর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা রমজান মাসের চাঁদ দেখলে জিনিসপত্রের দাম অর্ধেক বাড়িয়ে দেয়। রমজান মাসে শয়তান অবসরে গেলেও ব্যবসায়ীদের কাছে শয়তান তার দায়িত্ব হস্তান্তর করে যায়।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই।
সত্যি আপু রমজান মাসে সব জিনিসের এত দাম বৃদ্ধি করে গরিব মানুষের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে গেছে। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের জন্য ইফতারি জোগাড় করতে সত্যি অনেক কষ্ট হয়ে যায়। দ্রব্যমূলের দাম তো বৃদ্ধি পেয়েছেই কিন্তু এর সাথে কিছু ব্যবসায়ী আছে যারা আরো বেশি লাভ করার জন্য জিনিসপত্রের দাম আরো বেশি করে বলছে। সব ছাড়া ভালো হয় এই রমজান মাস রহমতের মাসে এসব কিছুর দাম একটা সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করার জন্য। যাতে সবাই ঠিকভাবে কিনে খেতে পারে। ধন্যবাদ আপু।
তোমার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ রমজান আসলে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। তবে তারপরও মানুষ কষ্ট করে জিনিসপত্র কিনে খেতে হয়। আমাদের এইখানে একটি লেবু ২৫ টাকা তাও আকার ছোট। আর সবকিছুর দাম তো এমনিতেই আরো বৃদ্ধি। বাজার নিয়ন্ত্রণ যদি করতে পারতো তাহলে সবার জন্য ভালো হতো। আর রমজান মাসে নিজ থেকে জিনিসপত্র কম রাখা ভালো। ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে।
জি ভাই ঠিকই বলেছেন আমাদের এখানেও লেবুর দাম অত্যন্ত বেশি।
প্রতি বছর রমজান মাসে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পায়। এই বছরও একই অবস্থা। এতে করে অনেকেই ভালোভাবে খাবার খেতে পারে না। রমজান মাস শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে ৬০ টাকা হালি লেবু কিনেছিলাম। তারপর আর লেবু কেনা হয়নি আমার। আসলে এই বছর লেবুর দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাই রমজান মাসে সব জিনিসের দামি বৃদ্ধি পায়। আমি অবশ্য রমজানের আগে ৮০ টাকা হালে লেবু কিনে খেয়েছিলাম। এখন ১০০ টাকা হালি হয়ে গেছে।