জেনারেল রাইটিং :- অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব শিক্ষনীয় একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট। আমার আজকের টপিক হচ্ছে অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো। আমরা মানুষ আমাদের ভালো-মন্দ দুইটি দিক আছে। কারণ প্রত্যেক মানুষের মধ্যে ভালো-মন্দ থাকে এবং জীবনের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। সেরকম মানুষের জীবনে আনন্দ এবং বেদনা থাকে। কারণ আনন্দ মানুষকে অনেক খুশি করে এবং জীবন সুন্দর করে। আর বেদনা মানুষকে কিন্তু অনেক কষ্ট দেয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু মানুষ মিথ্যে আনন্দে জড়িয়ে পড়ে। হয়তোবা কিছু মানুষ আছে মিথ্যে কথা বলে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করে। আর এই লোকগুলো সত্যকে মিথ্যা বানাই মিথ্যাকে সত্য বানাই।

তবে মিথ্যা আনন্দ সাময়িক থাকে এর পরে কিন্তু কষ্ট পায় মানুষ। তার থেকে পবিত্র বেদনা অনেক ভালো। কারণ পবিত্র বেদনা আপনি একটি দিক খুঁজে পাবেন। এতে আপনার মান সম্মান সবকিছু থাকবে হয়তো বা আপনি মন থেকে কষ্ট পাবেন। আর এইখানে কিন্তু মিথ্যা আনন্দ নেই বেদনা আছে জীবনে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ দেখা যায় আনন্দকে বেছে নেই। আর কিছু আনন্দ আছে মিথ্যের যেগুলোর কারণে মানুষ অন্যর কাছে ছোট হয়। ওই সময় নিজের মান ইজ্জত পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। কারণ মিথ্যা আনন্দ মানুষকে ছোট করে এবং কলঙ্কিত করে। আর যারা মিথ্যের উপর বসবাস করে তারা কখনো কোন কাজের সফল হতে পারেনা। হয়তোবা সাময়িক আনন্দ পায়।

অসৎ আনন্দ বলতে অন্যায় ভাবে কোন কিছু করা বা অন্যের ক্ষতি করা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় মানুষ অসৎ আনন্দ করে এবং এই নিয়ে অনেক বাড়াবাড়িও করে। যেমন দেখা যায় অসৎ আনন্দ করে একসময় মানুষের কাছে অপমানিত হয়। মানুষকে অন্যের কাছে ছোট করা অসৎ আনন্দ পাওয়া। আবার দেখা যায় অন্যায় ভাবে একজনকে অপমান করা সেটা অসৎ আনন্দ। আবার দেখা যায় কিছু মানুষের হক দখল করা এবং মিথ্যাকে সত্য বানানো। আর অসৎ আনন্দ কারণে অনেক সময় দেখা যায় মানুষ এমনভাবে পতন হয় যার নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। দেখা যায় একজন মানুষকে অপমান করতে গিয়ে লাস্ট পর্যন্ত নিজে অপমান হয়ে ফিরে আসে।

আর পবিত্র বেদনা হচ্ছে সেই বেদনা যাহা সঠিক পথে চলার সময় আসে। আর পবিত্র বেদনা যদি মানুষ চলার পথে পেয়ে থাকে তা আবার মন থেকে বোঝ পাওয়া যায়। পবিত্র বেদনা মানুষকে কষ্ট দিলো সৎ পথে চলার সুযোগ দেই। কারণ পবিত্র বেদনা মানুষ কষ্ট পেলেও পথ খুঁজে পায় এবং নিজের পথ সঠিক মনে করতে পারে। যেমন দেখা যায় একজন মানুষ যখন সঠিক কথা বলে অন্য লোক হয়তো কিছুক্ষণ সময় কষ্ট পায়। আবার অন্যায় দেখলে যদি বলে এই অন্যায় হয়েছে সঠিক কথা বলেছে তাহলে সাময়িক কষ্ট পেলেও মন থেকে শান্তি পাওয়া যায়। আর মন থেকে যদি মানুষ শান্তি পাই ওটাই বড় সত্য। আর পবিত্র বেদনা মানুষকে কারো কাছে ছোট করে না। আর কষ্টের পরে আশা করা যায় সুখ আসবে জীবনে।

আর অসৎ আনন্দ যতই শক্তিশালী হয় কিন্তু তা মন থেকে শান্তি দেয় না। অসৎ আনন্দ করে কেউ কখনো মন থেকে তৃপ্তি পায় না। কারণ পবিত্র বেদনা যেরকম মন থেকে কষ্ট পেলেও শান্তি পাওয়া যায়। অসৎ আনন্দ সেরকম শান্তি দেয় না। হয়তোবা সাময়িকভাবে নিজেকে আনন্দ দিতে পারে। কিন্তু একসময় অসৎ আনন্দ যখন ভেঙে পড়ে তখন মান ইজ্জত সব নষ্ট হয়ে যায়। আর প্রতিটি মানুষ চাই সুখে থাকার জন্য। আর সুখে থাকতে হলে মাঝেমধ্যে বেদনা আসে জীবনে। আর বেদনা আসলে মানুষ যেন পথ না হারায়। অসৎ আনন্দ বা অসৎ লোকের থেকে দূরে থাকা ভালো। কারণ অসৎ আনন্দ মানুষকে অহংকারী করে এবং এমন ভাবে পতন করে যা মন থেকে ভুলা যায় না। আশা করি আমার আজকের টপিক পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰