জেনারেল রাইটিং :- অন্যের জন্য বেঁচে থাকা জীবনই সার্থক জীবন।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শিক্ষনই একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। আর আমার পোস্ট হচ্ছে অন্যের জন্য বেঁচে থাকা জীবনই সার্থক জীবন। অন্যের জন্য যখন বেঁচে থাকা হয় সেই লোক হচ্ছে মহান। কারণ অন্যের জন্য সেই জীবন দিয়ে হলেও চেষ্টা করে সুখে রাখার জন্য। আর এরকম মানুষ গুলো কমবেশি দেখা যায়। বিশেষ করে মানুষগুলো নিজের সুখের কথা চিন্তা করে না। তারা ভালোবাসার মানুষ এবং অন্য মানুষের সুখের জন্য সব সময় চিন্তা করে। অনেক মানুষ আছেন নিজের সুখ না দেখে পরিবারের সুখ দেখে। আবার লক্ষ্য করলে দেখা যায় কিছু মানুষ আছে ভালোবাসার মানুষের জন্য নিজের জীবন দিয়ে হলো সুখ দেওয়ার চেষ্টা করে।

আর এই মানুষগুলো অন্যের উপকার করে অন্যকে সুখে রেখে নিজে মন থেকে তৃপ্তি পায়। আর এই লোকগুলোকে সবাই শ্রদ্ধা করে এবং সম্মানও করে। কারণ যে মানুষগুলো সব সময় অন্য মানুষের ভালো কামনা করে ওই মানুষগুলোর মধ্যে কোন হিংসা নেই। আর মহৎ মানুষগুলো সব সময় অন্যের ভালো মঙ্গল কামনা করে। কারণ তারা অন্যের উপকার করে অন্যের চোখে নিজে শান্তি খুঁজে পায়। আবার দেখা যায় অন্যের কষ্টে নিজে কষ্ট পায়। আর অন্যের কষ্ট দেখে যে কষ্ট পাই আসলে সেই হচ্ছে মহৎ ব্যক্তি। কারণ তাদের মনে থাকে মানুষের উপকার করা এবং মানুষকে শান্তিতে রাখা। তাদের কথা এবং মুখের জবান সব এক থাকে।

আর আমরা যদি সব সময় নিজের সুখের কথা চিন্তা করতাম তাহলে পৃথিবী হয়ে যেত শূন্য। কারণ নিজের কথা যে চিন্তা করবে সে সবসময় নিজের জন্য কাজ করবে। আর যে মানুষ অন্যের উপকার করার চেষ্টা করবে তাহলে পৃথিবী সুন্দর হবে। কারণ পৃথিবীর সুন্দর করতে হলে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে। বাস্তব অর্থে দেখা যায় অনেক মানুষ আছে আপদে বিপদে অন্যের পাশে দাঁড়াই। যদিও কিছু মানুষ আছে নিজের চিন্তা ছাড়া অন্যের জন্য ভাবে না। এখন এরকম লোক গুলো কমবেশি প্রত্যেক ফ্যামিলিতে দেখা যায়। অনেক মানুষ আছে নিজের শত কষ্ট লুকিয়ে রেখে অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে। আর ওই লোক যখন সুখে থাকে তখন সে মন থেকে শান্তি পায়।

আর প্রতিটি মানুষ জন্ম শুধু নিজের জন্য নয়। কারণ জন্মগ্রহণ করলে সে নিজের জন্য জন্ম নিয়েছে সেটা ভাবা যায় না। অন্যের মধ্যে এবং অন্যের উপকার করে মানুষ মন থেকে শান্তি পায়। ছোট বাচ্চাটি যখন বড় হয় ভালো কিছু পরে এবং পরিবারের মুখে হাসি ফোটায়। কখন ঐ লোকের চিন্তা থাকে সমাজ এবং দেশকে আলোকিত করার। যে মানুষ নিজের আলো দিয়ে অন্যকে আলোকিত করে সেই লোক হচ্ছে মহৎ ব্যক্তি। কারণ মহৎ ব্যক্তি গুলো সব সময় অন্যের কথা চিন্তা করে। আর এই কারণে বলা হয়েছে জন্মগ্রহণ করলে শুধু নিজের জন্য জন্মগ্রহণ হয় না। মানুষের উপকার করতে হবে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে।

আর জীবন মানে নিজের সফলতা নাই। জীবন মানে হচ্ছে অন্যের জীবনে আলো জ্বালিয়ে তাকে সুখী করা হয়। যে মানুষ নিজের জীবনে আলো জ্বালিয়ে এবং অন্যের জীবনে আলো জ্বালায় সেই ব্যক্তি হচ্ছে ভালো। আর ভালো লোক গুলো সব সময় পরিবারের কথা চিন্তা করে মানুষের কথা চিন্তা করে। যেমন দেখা যায় রাস্তায় একজন ক্ষুধার্ত এবং অসহায় লোককে সাহায্য করা হচ্ছে অন্যের জন্য বেঁচে থাকা। আবার দেখা যায় কোন বন্ধু-বান্ধব যদি কষ্টে থাকে তাকে সাহায্য করা এবং সাপোর্ট দেওয়া। এই সাপোর্ট এর কারণে বন্ধুর মনোবল শক্ত হয়েছে। তখন আপনি বুঝতে হবে এটি আপনার অন্যের প্রতি ভালোবাসা এবং বেঁচে থাকা। আর ভালো মানুষগুলো সব সময় অন্য মানুষের উপকার করার চেষ্টা করে। আশা করি আমার আজকের টপিক পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰