জেনারেল রাইটিং :- ঝগড়া চরমে পৌঁছার আগেই ক্ষান্ত হও।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শিক্ষনীয় একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। আমার টপিক হচ্ছে ঝগড়া চরমে পৌঁছার আগেই ক্ষান্ত হও। আমরা মানুষ আমাদের মধ্যে হাসিখুশি এবং ঝগড়া এগুলো কমবেশি হয়। তবে কিছু কিছু ঝগড়া আছে চরম আঘাতে পৌঁছার আগে শেষ করতে হয়। আর কিন্তু ঝগড়া প্রথম থেকে চরম আকার নেয় না। এটি আস্তে আস্তে চরম আকারে পৌঁছে। কারণ দেখা যায় কোন কিছু নিয়ে সামান্য কথার কারণে ঝগড়া হয়। আর এই ঝগড়া আস্তে আস্তে মনের মধ্যে শত্রুতামি তৈরি করে ঝগড়া বড় আকারে সৃষ্টি করে। তবে ঝগড়া সমাধা করা কোন দুর্বলতা না। এটি হচ্ছে নিজের গুণ এবং মেধার শক্তি।

অনেকে মনে করে ঝগড়া যদি থামানো হয় তাহলে দুর্বলতা মনে করবে। তবে ঝগড়া থামানো হচ্ছে উত্তম কাজ। কারণ ঝগড়ার কারণে মানুষ অনেক সময় অনেক বড় বড় বিপদে পড়ে। আর যে কোন ঝগড়া হঠাৎ করে হয় না। এটি আস্তে আস্তে মন থেকে শত্রুতামি তৈরি করা বড় আকারের ঝগড়া হয়। আর কিছু কিছু মানুষ আছে সামান্য কিছু নিয়ে কথা বলে। এ কথা কে কেন্দ্র করে আস্তে আস্তে কিন্তু ঝগড়া সৃষ্টি করে। আর ওই লোকগুলো মনে করে ঝগড়া করতে পারলে সবাই তাদেরকে ভালো বলবে। কারণ ঝগড়া হচ্ছে একটি পরিবার এবং সমাজের ক্ষতি করে দিক। কারণ একজন দুইজন যখন ঝগড়া করে আস্তে আস্তে তার সাথে আরো অন্যজন সাপোর্ট করে ঝগড়া করে।

তবে ঝগড়ার সময় রাগের মাথায় নীরবতা থাকতে হবে। কারণ ঝগড়া যখন হয় তখন যদি নীরবতা থাকা যায় তাহলে ঝগড়া আর হবে না। যদিও এই কাজ অনেকে করতে পারে না। ঝগড়া এমনভাবে মনের মধ্যে হিংসা তৈরি করে ঐখান থেকে ঝগড়া হয়। আবার কিছু মানুষ আছে পাস থেকে কথা বলে ঝগড়া করানোর চেষ্টা করে। তাদের কথা থাকে কিন্তু ভিন্ন রকম। আর এরা কিন্তু ঝগড়া যখন শুরু হয় তখন একপক্ষকে সাপোর্ট করে ঝগড়া আরো বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে। আর একটি ঝগড়া কিভাবে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে তা ঝগড়া লাগলেও বলা যায়। দেখা যাক পরিবারের লোক গুলো হালকা কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করল। একদিন দুইদিন করে এভাবে ঝগড়া করতেই থাকলো তাঁরা ।

পরবর্তীতে এই ঝগড়ার কারণে পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। আবার দেখা যায় এরকম ঝগড়া গুলো কারণে বছরের পর বছর পরিবারের লোক গুলো একজনের সাথে একজন কথা বলে না। আবার দেখা যায় আশেপাশে অনেক মানুষ আছে ঝগড়ার কারণে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কথা বলে না। তবে ঝগড়া যখন শুরু হয় তখন যদি একপক্ষ বা একজন চুপ থাকে তখন ঝগড়া কিন্তু চরম আকারে যায় না। যে ঝগড়ার সময় সুখ থাকে সেই হচ্ছে বুদ্ধিমান। কারণ ঝগড়া কখনো সফলতা আনে না। ঝগড়ার কারণে পরিবার থেকে শুরু করে আপন মানুষ গুলোর জন্য সমস্যা হয়। কারণ অনেক সময় দেখা যায় স্বামী স্ত্রী ঝগড়া হলে সম্পর্ক পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়।

আবার দেখা যায় ছোট একটা ঝগড়া পরিবারের দূরত্ব বাড়ায়। সময় মত ঝগড়া যদি না থামায় সম্পর্ক পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় বন্ধুত্বর মাঝে ঝগড়া হয়। তবে বন্ধু হারানো অনেক সহজ। আর বন্ধু ফিরিয়ে আনা বা সম্পর্ক আবার জোড়া লাগানো কিন্তু অনেক কঠিন। কারণ ঝগড়ার মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করা যায়। জোড়া লাগানো যায় না কখনো। আর মন মানসিকতা থাকতে হয় ঝগড়া না করে ভালো সম্পর্ক গড়ার। আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু লোক আছে রাগী ব্যবহার করে। আর রাগী বাক্যের কারণে সম্পর্ক কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। তবে ওই সময় বোঝা দরকার সম্পর্ক হচ্ছে বড় কিছু। মাথা গরম ভাত ব্যবহার খারাপ করে সম্পর্ক নষ্ট করা সহজ। এবং সম্পর্ক আগের রূপে আনা কিন্তু অনেক কঠিন। আশা করি আমার টপিক পরে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰