জেনারেশনাল ট্যালেন্ট!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
প্রতিটা জেনারেশনেই ফুটবলে দারুণ কিছু ট্যালেন্ট উঠে আসে। সাধারণত ইউরোপের টপ লীগ গুলোতে যারা খেলে তারা সবাই ভালো ট্যালেন্টেড। কিন্তু জেনারেশনাল ট্যালেন্টের ব্যাপার টা আলাদা। প্রতিটা জেনারেশনে ঐ একটা দুইটাই থাকে। এবং তারা তাদের কৈশোর থেকেই আলো ছড়াতে শুরু করে। যেমন নব্বইয়ের দশকের রোনালদো নাজারিও অথবা পরবর্তীতে মেসি রোনালদো, কয়েক বছর আগে এমবাপ্পে এবং বতর্মানে লামিন ইয়ামাল। তবে আরেকজনের এন্ট্রি হয়ে গিয়েছে এই জায়গাই। যাকে বলা হচ্ছে জেনারেশনাল ট্যালেন্ট। ব্রাজিলিয়ান ১৮ বছরের এস্তেভাও উইলিয়ান। আজ কথা বলব তাকে নিয়েই। ব্রাজিল সবসময়ই ফুটবলের ট্যালেন্টের জন্য বিখ্যাত।
প্রতিটা জেনারেশনে তারা অসংখ্য ট্যালন্টেড ফুটবলার দিয়ে থাকে বিশ্বকে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে এস্তেভাও উইলিয়ান এর নাম। বতর্মানে ইয়াং ট্যালেন্টের কথা উঠলে লামিন ইয়ামাল সবার থেকে এগিয়ে থাকবে। তবে ইদানিং লামিনের নারী আসক্তির ব্যাপার টা চলে গিয়েছে অতিরিক্ত। এই বয়সেও যেটা তার ফ্যানরা মোটেও প্রত্যাশা করেনি। এই লামিনের সাথে একসময় তুলনা চলেছে আর্দা গুলার এন্ড্রিকদের। এখন তুলনা চলছে এস্তেভাও উইলিয়ানের। তবে এই ছেলেটার ব্যাপার টা আলাদা। লামিনের মতো ১৬ বছর বয়স থেকে ইউরোপে সে খেলেনি। কারণ সেটা সম্ভব ছিল না। ঐসময় সে খেলেছে ব্রাজিলিয়ান সিরিআ তে। পালমেইরাস এর হয়ে দারুণ খেলতে থাকে। এবং আশ্চর্যের বিষয় একে একে নেইমারের অনেক গুলো রেকর্ড ভেঙে দেয় এস্তেভাও।
যেই নেইমারকে নিয়ে একসময় ইউরোপীয় জায়ান্টদের কাড়াকাড়ি লেগে গিয়েছিল এস্তেভাও এর ক্ষেএেও তার ব্যতিক্রম মোটেই হয়নি। ইউরোপীয় জায়ান্টরা চেষ্টা করে তাকে সাইন করানোর। কিন্তু সর্বশেষ সেই রেসে জিতে যায় ইংলিশ ক্লাব চেলসি। কিন্তু বয়স ১৮ হওয়ার পরে সে চেলসির হয়ে খেলতে পারবে। এই সিজেনের শুরু থেকে চেলসিতে যোগ দিয়েছে এস্তেভাও উইলিয়ান। যোগ দেওয়ার পরে থেকেই দারুণ পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন। বিশেষ গতকালে রাতের কথা বলতে হয়। বার্সেলোনা চেলসি ম্যাচ ছিল। প্রথমবারের মতো এস্তেভাও এবং লামিন মুখোমুখি। চেলসি বার্সেলোনাকে হারালো ৩-০ তে। লামিন যখন মাঠে একেবারে নিস্তেজ এস্তেভাও তখন বার্সা ডিফেন্স কে পুরো নাচিয়ে ছেড়েছে। শুধু সেটাই না অসাধারণ এক গোল করেছে। যেটা এখন অনেক প্রশংসীত হচ্ছে।
এই নিয়ে এস্তেভাও চ্যাম্পিয়ন লীগে নিজের প্রথম তিন ম্যাচে প্রতিটাতেই গোল করল। এর পূর্বে ১৮ বছর বয়সী হয়ে যেটা করতে পেরেছে শুধুমাত্র কিলিয়ান এমবাপ্পে। চেলসি কোচ এঞ্জো মারেস্কা এস্তেভাও কে দারুণ ভাবে ব্যবহার করছে। কখনোই তাকে খুব বেশি প্রেশার দেয় না। পাশাপাশি নিয়মিত না খেলিয়ে বিশ্রামে রাখে সাবস্টিটিউট হিসেবে নামায়। সবদিকেই খেয়াল রাখে। এবং এস্তেভাও তার কাজটা সঠিকভাবেই করে যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে এস্তেভাও এভাবে এগিয়ে গেলে সে হবে জেনারশনের অন্যতম সেরা ট্যালেন্ট। এস্তেভাও এর পাস স্কিল শর্ট পাশাপাশি মাঠে ওর চিন্তা করার ক্ষমতা টা এককথায় অসাধারণ। এস্তেভাও এভাবেই এগিয়ে যাক। আশাকরি ব্রাজিল এবং চেলসি ফ্যানদের জন্য দারুণ কিছু অপেক্ষা করছে। এস্তেভাও দ্যা পিওর সাম্বা বয়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)



Daily task
https://x.com/Emon423/status/1993592768195969414?t=jnzGee7A3NPz40BOTW-ezA&s=19