গজ কাপড় কিনা ও বানাতে দেওয়ার মূহুর্ত||১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো গজ কাপড় কিনা ও বানানোর মূহুর্ত।আমি অনেক দিন হলো কোন গজ কাপড় কিনিনি।আসলে বাচ্চাদের সব সময় কিনা কাপড় চোপড় পড়াই তাই আর গজ কাপড় কিনা হয় না । আর আমার নিজের জন্য সব সময় থ্রি পিস কিনা হয়। তবে স্কুলে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে তাদের বন্ধবীরা সবাই বানানো জামা পড়ে এসেছে। তাই তারা সেই জামা বানানোর জন্য অস্হির।সেই কারণে আরকি গজ কাপড় কিনতে যাওয়া। তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট:
প্রথমে আমরা চলে গেলাম রেডিমেড দোকানে, আসলে আমি আমাদের বাড়ির অতি নিকটে বাজারে গিয়েছিলাম।সেখানে দুই একটা দোকান আছে। আমি যে দর্জির কাছ থেকে বেশির ভাগ জামা কাপড় বানায়, তাদের একটা রেডিমেড দোকান রয়েছে। তাই আমি চলে গেলাম সেই দোকানে। যেহেতু তারা আমার অনেক পরিচিত লোক তাই আমাদের দেখা মাত্র ভিতরে গিয়ে বসতে বললো।আর আমার মেয়েরা তাদের দোকানে মাঝে মাঝে তার বাবার সাথে যায় তাই তারা গিয়ে বেশ ঘোরাঘুরি করতে লাগল। আমরা যদি ও গিয়েছিলাম সন্ধ্যার কিছু ক্ষণ আগে। এ সময় অনেক ভীর ছিল দোকানে, আসলে এখানে বেশি দোকান নেই তাই অনেক ভীর থাকে । আমি অনেক দিন পর গেলাম , তাই গিয়ে দেখলাম অনেক ভীর। তাই দোকানের এক পাশে বসে রইলাম।
তারপর লোকজন কমে গেলে আমরা বললাম আমাদের গজের কাপড় দেখান। তারপর দোকানদার আমাদের এক কালারের অনেক গজের কাপড় দেখাল। সেখান থেকে আমি আমার দুই মেয়ের জন্য, কাল, খয়েরী, গোলাপী ও মেজেন্টা কালারের কাপড় কিনলাম।আসলে গজ কাপড়ের দাম যে এতে বেড়ে গেছে আমার জানা নেই। প্রতি গজ কাপড়ের দাম নিয়েছে ৮০ টাকা করে। আমি প্লাজু বানানোর জন্য আট গজ কাপড় কিনলাম ।শুধু প্লাজু বানানোর জন্য। আসলে বাচ্চারা এই গরমের সময় প্লাজু পড়তে অনেক পছন্দ করে। তারপর বাচ্চাদের ফ্রক বানানোর জন্য আরো পাঁচ গজ কাপড় নিলাম।আসলে আমার বাচ্চারা এখনু শুধু বাড়ছে, তাই প্রতি নিয়ত কাপড় চোপড় কিনতে হয়। তবে আমার একটা সুবিধা আছে আমার বড় মেয়ের জামা কাপড় ছোট মেয়ে পড়তে পারে।ছোট মেয়ে পড়েও কিন্তু বড় টার জন্য বানালে ছোটটার ও বানাতে হবে। তাই আর লাভ হয় না।যাইহোক সামার্থ অনুযায়ী চেষ্টা করি বাচ্চাদের সব কিছু পূরণ করার জন্য। এখন কাপড় কিনা শেষ হলো।
তারপর কাপড় গুলো নিয়ে চলে গেলাম দর্জির দোকানে। সেখানে ও অনেক ভীর ছিল কারণ এখনো স্কুল ড্রেস গুলো বানানো শেষ হয়নি। যাইহোক তারপর বাচ্চাদের মাপ নিয়ে নিল।তবে একটা মজার বিষয় হলো আমার ছোট মেয়ে গিয়ে দোকানে পড়ে থাকা কিছু কাপড় টুকালো। তারপর আমি যখন বললাম এগুলো দিয়ে কি করবে তখন বললো আম্মু আমি পুতুলকে পড়াবো।যাইহোক বাচ্চা মানুষ তাই কিছুই বললাম না।তারপর দোকানদার বেশকিছু টুকরা কাপড় দিল।রশিদ নিয়ে আমরা দোকান থেকে চলে আসলাম
কেনাকাটা শেষ হলে চলে আসবো, তখন আমার ছোট মেয়ে বললো কোণ আইসক্রিম খাব। আসলে আমার মনে না থাকলে কি যাবার সময় বলেছিলাম যে শুধুএকটা করে কোন আইসক্রম খওয়াবো। তাই গেলাম কোন আইসক্রিম কেনার জন্য, যেয়ে দেখি দোকানদার দোকান তালা বন্ধ করে নামাজে গিয়েছে। কি আর করা বললাম অন্য দোকান থেকে কিনে দেব, তারপর অন্য দোকান থেকে দুটি কোন আইসক্রিম কিনে দিলাম।আর বাসার জন্য কিছু পুরি কিনে আনলাম। যাইহোক সব মিলে বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
| প্রয়োজনীয় | তথ্য |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @parul19 |
| ডিভাইস | LGK30 |
| লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
















আগেকার সময় সবাই গজ কাপড়ের জামা পড়তো। কিন্তু এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সবাই রেডিমেড জামা পড়তে অভ্যস্ত। তবে যাই বলুন না কেন আপু গরমের সময় গজ কাপড়ের জামা গুলো পড়তেই বেশি ভালো লাগে। আপনার মেয়েরা তাদের বান্ধবীদের কাছ থেকে জামা দেখে সেরকম ভাবে জামা তৈরি করতে চাচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। টেইলার্সের দোকানে তো সবসময় ভিড় লেগেই রয়েছে। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
জি আপু গরমের সময় গজ কাপড়ের জামা গুলো অনেক ভালো লাগে পড়তে।কিন্তু এখন তেমন আর বানানো হয় না।ধন্যবাদ আপু।
আমরা ছোটবেলায় অনেক গজ কাপড়ের জামা পরতাম।এখন সবাই রেডিমেড জামা কিনে আনে।তবে ২১ ফেব্রুয়ারিতে তার বান্ধবীর জামা দেখে তারও ভালো লেগেছে,তাই বানানোর জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছে। আসলে আমরাও ছোটবেলায় টুকরা কাপড় পেলে খুশি হতাম।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
সত্যি আপু আমার মেয়ের জামা থেকে টুকরা কাপড় গুলো বেশ আনন্দ সহকারে নিয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আমিও মাঝে মাঝে গজ কাপড় কিনে জামা বানাতে দেই। গজ কাপড়ের মধ্যে সুন্দর সুন্দর কাপড় পাওয়া যায়। ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে আপনার মেয়ের বান্ধবিরা গজ কাপড় কিনে জামা বানাবে এবং আপনার মেয়েরা সেই রকম কাপড় কিনে জামা বানাবে শুনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে গজ কাপড় কেনা সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু বান্ধবীদের দেখে না বানিয়ে সে আর থাকবে না, তাই আরকি বানাতে দেওয়া।ধন্যবাদ আপু।
গজ কাপড় কিনলে অনেক নতুন নতুন কাপড় দেখা যায়। আর বেশ ভালো ও লাগে।সুন্দর ডিজাইন দিয়ে বানিয়ে নিলে খুব ভাল ই লাগে দেখতে।আপনার মেয়ের বান্ধবীর মত কাপড় কিনে জামা বানাবে মেয়ে তাই আপনি গজ কাপড় কিনতে গেলেন।খুব ভাল লাগলো আপনার অনুভুতি পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু।
দারুন একটি আনন্দঘন মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। মাঝেমধ্যে বাইরে কোথাও এমন কাপড় অথবা সিট কিনতে যাওয়ার মুহূর্তে মনের মধ্যে ভালো লাগার সৃষ্টি হয় কারো নতুন কিছু পাওয়ার একটাও অন্যরকম অনুভূতি মনের মধ্যে কাজ করে থাকে। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট পড়ে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।