একটু মেলায় ঘুরাঘুরি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৬ ডিসেম্বর , শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতেও আমার বেশ ভালো লাগে। ঘোরাঘুরি করতে আমি অনেক পছন্দ করি। কুষ্টিয়ার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আমি টুকটাক ঘোরাঘুরি করি। সে গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমার বেশ ভালোই লাগে। আজ শেয়ার করব মেলাই ঘোরাঘুরি করার একটি মুহূর্ত। যদিও বেশি ফটোগ্রাফি আমার কাছে নেই যতটুকু আছে ততটুকু বর্ণনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এখন তো শীতকাল। বাইরে বেশ ভালো শীত পড়েছে। এসময় যেকোনো জায়গায় খেয়াল করলে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের মেলা উৎসবের আয়োজন। শহরে অথবা গ্রামের মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন ধরনের মেলা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মেলা মানে হলো মেলবন্ধন। যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ একাধিক মানুষের সমাগম ঘটে থাকে। মেলা পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুঁজলে খুব কমই মিলবে।

আমি যেহেতু ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। তাই কোথাও মেলা কিংবা কোন উৎসব অনুষ্ঠিত হলে আমি সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মেলার নাম ছিল কুনাক।মেলা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। মেলা মানেই আমাদের মনে পড়ে বাহারি রকম জিনিসপত্র।

মেলাতে গিয়ে আসলে ভিড় ঠেলে ফটোগ্রাফি করা কষ্টকর। তাই খুব একটা ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। কিছু ফটোগ্রাফি ডিলিট হয়ে গেছে। বেড়াতে গিয়ে প্রথমে দেখতে পেয়েছিলাম নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের করা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাহিক জিনিসপত্র। কেউ বিক্রি করছে জামা, কেউ আবার কসমেটিক কিংবা হাতের তৈরি বিভিন্ন জিনিস। আবার কেউ বিক্রি করছে নিজের হাতের তৈরি পিঠা এবং বিভিন্ন ধরনের কেক।আরো রয়েছে একাধিক ডেজার্ট আইটেম।

প্রত্যেকটা জিনিস বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। আমার তো বেশ ভালই লেগেছে। বিশেষ করে মানুষ নিজের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে অনেক ইউনিক কিছু জিনিস তৈরি করেছে যেগুলো আসলেই নজর কেড়ে নেওয়ার মতো। আমার যেহেতু জামাটা কিন্তু বেশি ভালো লাগে। তাই আমি গিয়েছিলাম প্রথমেই জামার দোকানে। সেখানে গিয়ে যেমনটা চেয়েছি না পাওয়াই চলে এসেছিলাম। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার দাবার দেখলাম।

অনেক ধরনের গাছ ছিল সেখানে। যারা গাছ পছন্দ করে তাদের জন্য এটা ভীষণ সুন্দর। আমি এবং আমার রুমমেট গিয়েছিলাম মেলায়। দুজন মিলে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম সবকিছু। এরই মধ্যে আমার দিদি এবং বোন সেখানে এসে উপস্থিত হয়। অনেকদিন পর দিদির সাথে দেখা হয় বেশ ভালো লাগা কাজ করছিল। তারপরে আর মেলায় সময় না কাটিয়ে আমরা সবাই মিলে একটু ঘুরতে বের হয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল মেলা থেকে কেনাকাটা করবো কিন্তু সেই সুযোগ হয়ে ওঠেনি।

তারপর সবাই মিলে আমরা গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া হরিপুর ব্রিজে।সেখানে বেশ অনেকটা সময় কাটিয়ে ছিলাম। তারপর আমরা সেখান থেকে ফিরে এসে দোকান থেকে ফুচকা খেলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে দিদি বাসায় চলে গেলে এবং আমি এবং আমার রুমমেট আমাদের মেসে চলে আসলাম। কিছু কেনা না হলেও মেলা একটু ঘোরাঘুরি করে বেশ ভালোই লাগছিল।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14







