Better Life With Steem || The Diary game || 12/12/2024
হ্যালো গায়েজ,,,###
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আমার আজকের সারাদিনে কার্যক্রম নিয়ে।
আলহামদুলিল্লাহ, আবারো খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেলাম। খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম। মেয়ে সাড়ে পাঁচটার মাদ্রাসায় গেলো। চারিদিকে গুড গুডে অন্ধকার কুয়াশা এবং কিছু কিছু জায়গায় বাতি জানানো।। মেয়েকে মাদ্রাসার গেটে পৌঁছে দিয়ে আসতে পারছিনা এতো পরিমানে ঠান্ডা লাগছে।
ওকে দিয়ে এসে কাঁপতে কাঁপতে বাসায় ঢুকি। এরপর ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ দোয়া দরুদ পড়ে ছয়টা দশ মিনিটে উঠে যাই। এরপর আবার ঘুমিয়ে পড়ি সেই ঘুম থেকে ৯:০০ টার সময় উঠি।
উঠে সরাসরি রান্নাঘরের দিকে চলে যাই আগে রান্নাঘরটা ঝাড়ু দিয়ে তারপর খিচুড়ি রান্না বসিয়ে দি। খিচুড়ি রান্না হয়ে গেলে সাড়ে দশটার ভিতরে আবার মেয়ের মাদ্রাসায় টিফিন দিয়ে আসি। এদিকে ছেলে ঘুম থেকে উঠে আমাকে না পেয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকছে। আর ওর বাবা নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। এরপর ছেলেকে হাত মুখ ধুয়ে দিয়ে খিচুড়ি খাইয়ে দিলাম।
ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে এরপর আমরাও সকলে খেলাম। সকালে খাবার খেয়ে উঠতে না উঠতেই আবার দুপুরে খাবার জন্য রান্নার আয়োজনে চলে গেলাম। আজকে রান্না করতে নিয়েছি মুরগির মাংস, ডাল, আর তার সঙ্গে আছে আমার প্রিয় মরিচ ভর্তা, টমেটো ভর্তা।
আর হ্যাঁ, রান্না করার মাঝে আর একটা কাজ করি। পেঁয়াজ রসুন কাটার সময় দেখি রসুনের কয়টা গাছ হয়েছে তাই সেখান থেকে চারটা রসুন নিয়ে আমি একটা বোতল কেটে মাটিতে লাগিয়ে দিলাম। তবে এইসব লাগানোর পদ্ধতি আমি কোন সময় করিনি আজ প্রথম বার লাগালাম দেখি হয় কিনা।
রান্না মোটামুটি সবগুলো শেষ করে ঘরটা মুছে এরপরে ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই। তবে ছেলেকে আজকে গোসল করাই নি, মাথায় পানি দিয়ে দিলাম আর হাত ধুয়ে দিলাম। তবে এই দু তিন দিন থেকে বাইরের আবহাওয়াটা একদমই ঠান্ডা পরিবেশ । তাই আজকে নিজেও গোসল করিনি হাতমুখ ধুয়ে নিলাম আর ছেলেকেও গোসল করেনি।
ছেলেকে জামাপ্যান্ট পরিয়ে দিয়ে পরিপাটি রেখে আমি জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠেছি এর মধ্যে মেয়েও মাদ্রাসা থেকে উঠে গেলো তারপর দুই ভাই বোনকে দুপুরে খাবার খেতে দিলাম।
ওদের খাওয়া হলে তারপর আমি খেয়ে নিলাম। তবে আজকের দুপুরে খাবারটা আমার কাছে বেশি ভালো হয়েছে। আমি মনে, করি মাছ মাংসের চেয়ে সব ধরনের ভর্তা দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। আমি যেটা মনে, করি কার কি রকম রুচি সেটা তো জানি না। দুপুরে খাবারটা খেয়ে ছেলে মেয়েকে নিয়ে এবং সাহেবও আমরা শুয়ে পরি।
সুয়ে আধা ঘন্টার মতন বিশ্রাম নিলাম এবং ফোন ব্যবহার করি এর মধ্য আসরের আযান দিলো। তারপর আসরের নামাজ পড়ে নিলাম।আসরের আজান দেওয়ার পর বিকালের টাইম থাকে না টপকরে সন্ধ্যা নেমে আসে।
মাগরিবের আজান দিলো নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসলাম তারপর ছেলে বলে চিনি পরোটা খাবে।তাই রান্না ঘরে গিয়ে পরোটা বানালাম তবে ছেলের একার জন্য বানাইনি আমাদের সবার জন্য বানিয়েছি। সন্ধ্যা সবাই পরোটা খেয়ে এরপর ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসাই।
পড়ানো শেষ করে তারপর দুই ভাই বোনকে রাতের খাবার খেতে দি,ওদেরকে খাইয়ে শুয়ে রেখে আমি ওদের পাশে শুয়ে থাকি। এরপর যখন সাহেব এবং ভাইয়া তারা দোকান থেকে আসলো রাত সাড়ে বারোটায় তখন সবাই আমরা একসাথে মিলে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম।
যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)
এখন যেহেতু শীতকাল তাই সকালবেলা উঠে কাজকর্ম করতে একটু অসুবিধে হয়। আপনি সকাল বেলায় উঠে অনেক কাজকর্ম করেছেন। আসলে আমাদের সংসার জীবন করতে গেলে এই ভাবেই সংসারের কাজ করে যেতে হয় প্রতিনিয়ত। আপনার হাতে রসুনের কোয়া দেখে আমার ছোটবেলাকার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় যখনই রসুন ছাড়াতে যেতাম রসুনের কোয়া দিয়ে গাছ বেরোনো দেখলেই মাটিতে ছুটে পুততে চলে যেতাম। এজন্য দিদার কাছে অনেক বকা খেয়েছি। শুধু পুঁতে ছেড়ে দিতাম এমনটা নয় প্রত্যেকদিন দেখতাম কিভাবে রসুনের গাছ বেড়ে ওঠে। কিছু দূর বেড়ে ওঠার পরে আবার গাছগুলো মারা যেত ।তখন আবার প্রচন্ড মন খারাপ হয়ে যেত। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।