Better Life With Steem || The Diary game || 21/12/2024

in Incredible India5 days ago
1000153138.jpg

হ্যালো গায়েজ,,,

সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,

বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে এলাম আজকের ডাইরি গেম নিয়ে। তবে আজকে ডাইরি গেম লেখতে বসেছি সন্ধ্যা সাতটার ৫ মিনিটের সময়। আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি ; এবং ভালো থাকার মধ্যেও আজকের দিনটা কুয়াশার ঘেরার ভিতরে কেটে গেল। চলুন এবার নিচে এগানো যাক আজকের পোস্টের লেখাগুলো


আজকে সকাল থেকে প্রচুর কুয়াশা জানালা ফাঁক দিয়ে বাহিরের কিছু দেখা যাচ্ছে না, শুধু টিপটিপ করে বাতিগুলো দেখা যাচ্ছে। মেয়ে সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেয়, এবং ও উঠে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য রেডি হয়। তারপর আমি আঙ্গুল দিয়ে চোখ ঢলতে ঢলতে উঠে যাই মেয়েকে মাদ্রাসায় উঠে পৌঁছে দিয়ে আসি।

1000153109.jpg

মেয়েকে মাদ্রাসায় গেটের সামনে দিয়ে এসে আমি বাসায় এসে পড়ি। তারপর ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে নামাজের বিছানায় কতক্ষণ বসে উঠে যায় তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর ঘুম থেকে সাড়ে আটটার সময় উঠেছি উঠে দেখি টেবিলের উপরে নাস্তা। তারপর ভাবিকে জিজ্ঞেস করি এতো সকালে কে নাস্তা এনেছে। ভাবি বলে আপনার ভাইয়া সাড়ে সাতটার সময় বের হয়েছে তার আগে আমাদের নাস্তা কিনে দিয়ে যায়।

তবে আজকে সকালে নাস্তাটা বেশ ভালই ছিল কষ্ট করতে হয়নি, তাছাড়া পরোটা হালুয়া আর ডাল ছিল। আমি পরোটা ডাল খেলাম ছেলে আর ওগুলো খাইনি সে নিজে হাতে করেই পরোটার সাথে হালুয়া খেলো।

1000153121.jpg

কতক্ষণ পর সাহেবও ঘুম থেকে উঠে যায় হাত মুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে বাজারে দিকে চলে গেল। আধা ঘন্টা পর বাজার থেকে ফিরে আসলো এবং কিছু সবজি কিনে আনলো। টাটকা টাটকা সবজিগুলো দেখে খুব ভালো লাগছে। তাই বেশি আর দেরি না করে রান্নার কাজে লেগে পড়ি।

রান্না করার সবজিগুলো সবকিছু কেটে কুটে গুছিয়ে নিলাম তারপর আস্তে আস্তে রান্না করতে শুরু করে দিলাম। তবে রান্না করার মধ্যে কতবার যে দরজা খুলতে হয়েছে না বলার বাহিরে । তবে বারবার দরজা খোলার কারণ হলো আমরা এই বাসাটা ছেড়ে দিয়েছি ফেব্রুয়ারি মাসে অন্য এক বাসায় যাবো। তাই বারবার বাসা দেখতে আসে আর বারবার দরজা খুলতে হয়।

1000153129.jpg

রান্নাবান্না শেষ করে ছেলেকে গরম পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে দিলাম আর আমি গোসল করে নিলাম। গোসল শেষ করে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম।আড়োইটার ভিতরে ছেলের ভাত খাওয়া হয়ে গেল তারপর আমি খেয়ে নিলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলেকে নিয়ে শুতে গেলাম এর মধ্যে আবার একবার দরজা খুলতে হয়েছে বাসা দেখতে এসেছে।

ছেলেকে ঘুম পাড়াতে পারিনি, আমি আর ঘুমোইনি আমি শুয়ে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি এদিকে সাহেব এসে গেল তারপর তাকে খেতে দিলাম। খেয়েদেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল তারপর আমি আসরের নামাজ পড়ে নিলাম

1000153133.jpg

এরপর কিছুক্ষণ বাদেই মাগরিবের আজান হলো আজান শেষ হওয়ার পর ওযু করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম; এদিকে ছেলে এসে বলে আম্মু আমি কি খাব ক্ষুধা লেগেছে তাই ওকে নুডুলস রান্না করে দিলাম এবং ওর সঙ্গে ওর বাবাকেও খেলে দিলাম। তাদের খাওয়া দাওয়া শেষ হলে এরপর আমি সন্ধ্যা সাতটার সময় পোস্ট লিখতে বসি। যাইহোক এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত হয়ে গেল আজকের মত লেখা এখানেই শেষ (আল্লাহ হাফেজ)

Sort:  
Loading...