Better Life With Steem || The Diary game || 22/12/2024
হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে এলাম ২২ তারিখের ডাইরি গেম নিয়ে। তাই আজকে বিকাল চারটা দশ মিনিটে আসরের নামাজ পড়ে পোস্ট লিখতে বসেছি। আশা করি আমার গত পরশু দিনের পোস্টটা পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে। চলুন আর দেরি না করে লেখা শুরু করে দিন।
গত ২২ তারিখ দিন সকালে সাড়ে পাঁচটার সময় উঠেছি, আমি ওঠার পর মেয়েকেও ও ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম। মেয়ে হাত মুখ ধুয়ে বোরকা পরে মাদ্রাসা যেতে রহনা দিল আমি ওকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি। ওকে মাদ্রাসার ঘেটে পৌঁছে দিয়ে তারপর আমি বাসায় পৌঁছে ফজরের নামাজ পড়ি।
ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ নামাজের পার্টিতে বসে থেকে তারপর রান্নাঘরে চলে যাই। রান্না ঘরে গিয়ে প্রথমে সবজি কেটে রান্না বসিয়ে দি, এরপর রুটি বানাতে শুরু করি। আমার রুটি বানানো এবং সবজি রান্না করা হয়ে গেলে তারপর সবকিছু রেখে দি, তারপরে আমি গরম গরম সবজি রান্না দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। রুটি খেতে আমার একদম ভালো লাগছিলো না তাই ভাত খেয়ে নিলাম। তখন বাজে সকাল নয়টা তখনো কেও ঘুম থেকে ওঠেনি।
যখন সকাল দশটা বেজে যায় তখন আস্তে আস্তে করে সবাই ঘুম থেকে উঠে গেল। উঠে হাত মুখ ধুয়ে সকলে রুটি খেলো আর আমি ততক্ষণে রান্নাঘরে গেলাম দুপুরের জন্য রান্নার আয়োজন করতে।
ভাত রান্না বসিয়ে দিয়ে এদিকে আমি শাকসবজি এবং সবকিছু কেটেকুটে সুন্দর করে ধুয়ে গুছিয়ে নিলাম। এরপর আস্তে আস্তে করে রান্না বসিয়ে দিলাম। তবে রান্না গুলো করতে আমার বেশিক্ষণ সময় লাগেনি , সকাল দশটার সময় রান্না শুরু করেছি এবং সাড়ে এগারোটার ভিতরে দুপুরে রান্না কমপ্লিট হয়ে গেল।
রান্নাবান্না শেষ করে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম এবং আমিও গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে এরপর ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম। খাওয়া দাওয়া করে বিকেলের দিকে সবাই একটু ঘুম দিলাম। আসরের আজান দেওয়া কিছুক্ষণ আগে উঠলাম তারপর আসরের নামাজ পড়ি।
আসরের নামাজ পড়ে উঠতে না উঠতেই কিছুক্ষণ বাদেই আবার মাগরিবের আজান হলো। মাগরিবের আজান দেওয়ার পর নামাজ পড়তে বসি। নামাজ পড়া হয়ে গেলে নামাজের পার্টিতে বসে কিছুক্ষণ দোয়া দরুদ পড়ি কিছুক্ষণ বাদে ভাবি আমার রুমে আসে। এসে বলে আপনার নামাজ পড়া হয়ে গেলে রেডি হয়েনিম মার্কেটে যাব আমি বললাম হঠাৎ করে কিসের জন্য, তারপর ভাবি বললো জানি না আপনার ভাই আমাদেরকে নিয়ে যাবে তাই রেডি হয়েনিন।
তার কথা মতন আমিও রেডি হলাম রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলাম প্রথমে গেলাম খাবারের দোকানে সেখানে গিয়ে একটা পিজ্জা খেয়ে তারপর মার্কেটে দিকে চলে গেলাম। এরপর গেলাম বোরকার দোকানে বোরকা নিলাম মেয়ের জন্য হিজাব এবং আমাদের জন্য হিজাব ওড়না নিলাম
তারপরে কিছু কসমেটিস নি, এদিকে ছেলেকে কসমেটিকসের দোকানে নিলাম সেখানে গাড়ি দেখে সে কান্না শুরু করে দিল তারপর একটা গাড়ি কিনে দিলাম। বাচ্চা পোলাপান সঙ্গে করে নিয়ে গেলে এত লোকজনের ভিড়ের ভিতর ঠিক মতন দেখা কেনা এবং নেওয়া হয় না। তাই অল্প কিছু কেনাকাটা করে চলে এলাম।
বাসায় আসতে আসতে রাত দশটার মত বেজে গেল। এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ভাত বসিয়ে দিলাম। ভাত রান্না হয়ে গেলে তারপর ছেলে মেয়েকে খেতে দিলাম। ওরা খেয়ে ঘুম গেল তখন 11 টা বেজে গেল তারপর আমি আর না খেয়ে ওদের সঙ্গে ঘুমিয়ে গেলাম। যাই হোক আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করতে চাই, আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের খুব ভালো লাগবে এবং সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করবেন। (আল্লাহ হাফেজ)
Congratulations, your post has been curated by @dsc-r2cornell. You can use the tag #R2cornell. Also, find us on Discord
Felicitaciones, su publicación ha sido votada por @ dsc-r2cornell. Puedes usar el tag #R2cornell. También, nos puedes encontrar en Discord
Thank you
Thank you
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি আপনার পোস্টটি পরে জানতে পারলাম আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, আমি বিষয়টা জানতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। মাঝে-মাঝে এই ভাবে ঘোরাঘুরি করবেন, ঘোরাঘুরি করলে মন ভালো থাকে। আপনার আজকের দিনটি খুব সুন্দর আনন্দের মাঝে কাটিয়েছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। বাচ্চাদের সঙ্গে শপিং করতে গেলে যেমন মজার অভিজ্ঞতা হয়, তেমনই একটু চ্যালেঞ্জিংও। তারপরও আপনি সব সামলে সুন্দরভাবে দিনটা কাটিয়েছেন। আল্লাহ আপনার পরিবারের জন্য সবসময় সহজ ও সুন্দর রাখুন। আপনার পোস্টে জীবনের ছোটখাটো মুহূর্তগুলোর সুন্দর বর্ণনা পেয়েছি। ভালো থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।