Better Life With Steem || The Diary game || 27/4/2024
ভোর সকাল ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে বাসায় ফেলে রাখা কাজগুলো করি। গত দুই দিনের তুলনায় আজকে ছেলের শরীরটা মোটামুটি খুব ভালো তাই খুব ভালো লাগছে,,এবং বাসার সব কাজগুলো ঠান্ডা মাথায় করতো পেরেছি। সকালে বাসি কাজগুলো মোটামুটি করা শেষ হয়েছে এ ভিতরে ছেলে উঠে গেলে এরপর ওকে মুখ হাত ধুয়ে আনি।
এরপর সাহেব ঘুম থেকে উঠে মুখ দিয়ে বাইরে গেল পাউরুটি আনতে ছেলে মেয়ে বলে ডিম দিয়ে পাউরুটি খাবে তাই সে পাউরুটি আনতে গেল। ওদের দুই ভাই বোনকে ডিম দিয়ে পাউরুটি খেতে দিয়েছি আর আমরা দুজনে রং চা দিয়ে পাউরুটি খেলাম।
যাইহোক সকালের নাস্তার পর্ব শেষ করে তারপর গেলাম দুপুরের রান্নাবান্নার কাজে। এদিকে তরি তরকারি সবকিছু কেটে কুটে ধুয়ে নিয়ে রেডি করে রান্নাটা বসিয়ে দিলাম। আজকে রান্না করবো লাউ শাক, মিষ্টি কুমড়া, আর থানকুনি পাতা শাক,সাড়ে বারোটার সময় আমার রান্না করা হয়ে গেল। রান্না শেষ হওয়ার পর এবং রান্নাঘরটা পরিষ্কার করে তারপর গোসল করে আসি।
আমি গোসল করে নামাজ পড়তে দাঁড়ালাম এর মাঝে সাহেব এসে গেলো দুপুরের খাবার খেতে, প্রথমে আমি জোহরের নামাজ পড়া শেষ করলাম এরপর ছেলেকে ভাত খাওলাম তারপর আমরা খেলাম। সাহেবের আজকে মনে হয় কাজে খুব তারা ছিল তাই দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নেইনি চলে গেল।
সে চলে যাওয়ার পর দরজাটা লক করে আমি ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পরি, ছেলে মেয়ে ঘুমিয়ে যায় কিন্তু আমি ঘুমাইনি আমি শুইয়ে মোবাইল ব্যবহার করছিলাম আর ইউটিউব দিয়ে অনেকদিন পর একটা বাংলা নাটক দেখলাম। এরপর আসরের আযান দিলো ফোনটা চার্জে লাগিয়ে ওযু করে নামাজ পড়ি।নামাজ পড়ে ছেলের পাশে বসে ছিলাম ওর শরীরে আমার হাত পড়া মাত্রই ও হেসে ঘুম থেকে উঠে গেল।
ছেলে ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষণ পরে মাগরিবের আজান দিল, তারপর মেয়েকে বলি তোমরা দুই ভাই বোন এখানে চুপটি করে বসে থাকবে কোন দুষ্টুমি করবে না আমি যাতে নামাজটা ঠিক মতোন ও ঠান্ডা মাথায় পড়তে পারি। ঠিকিই ওরা শুয়ে থাকে এবং খুব শান্তভাবে তারপর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে ওদেরকে সন্ধ্যায় নাস্তা খেতে দি, পাউরুটি আর জিলাপি ওরা খেতে লাগলো আর আমি এদিকে আমার মা ও ছোট বোনের সাথে ফোনে ভিডিও কলে কথা বলি। তাদের সাথে ফোনে কথা বলা শেষ করে এরপর আমার নিত্যদিনের ডেইলি ডাইরি গেম লেখা শুরু করি।
পোস্ট লেখা কমপ্লিট হলে এরপর আমি এশার নামাজ পড়ি, নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাওয়া দাওয়া খাইয়ে দিয়ে ঔষধ খাইয়ে দি এরপর আমরাও মা মেয়ে রাতের খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ি।।আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আর নয়, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
আশা করছি আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে সবাই পড়বেন আর পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
---|
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে খুব ভালো লাগলো। যাক আলহামদুলিল্লাহ আপনার ছেলে আগের থেকে অনেকটা সুস্থ হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
সারাদিন বেশ রান্না বান্নার কাজেই দিন পার করেছেন। আসলে মেয়ে মানুষদের সকাল থেকে রাতে ঘুমানোর অবধি কাজ করে যেতে হয়। তাদের কাজের কোন শেষ নেই।
সারাদিনের খানিক মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মেয়ে মানেই তো সংসার সামলানো আর রান্নাবান্নার কাজ। হ্যাঁ আমার ছেলে দুইদিন ধরে সুস্থ ছিল তাই সংসারের কাজগুলো করতে কোন অসুবিধা হয়নি এবং মন মেজাজও খুব ভালো ছিল।
থ্যাংক ইউ আমার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।
মনের মত সকাল বেলা উঠে ফজরের নামাজ পড়ে নিয়েছিলেন। এরপরে বাসার কাজগুলো দ্রুত শেষ করে ফেলেন।
ভাই আজকে বাইরে থেকে পাওরুটি কিনে এনেছিল। সেটা দুই ভাই বোনকে ডিম দিয়ে খেতে দিয়েছিলেন।
আজকে দুপুরের রান্নায় ছিলো থানকুনি পাতা, মিষ্টি কুমড়া আর লাউ শাক। লাউ শাক আমার খুব পছন্দের খাবার।
আজকে আপনার মা আর বোনের সাথে ভিডিও কলেও কথা বলেছিলেন।
আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময় শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
থানকুনি পাতা আমাদের জন্য অনেক উপকারি। শহরে আপনাদের থানকুনি পাতা কিনতে হয় তবে আমাদের গ্রামে যেখানে সেখানেই পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জল আর কয়েকটা থানকুনি পাতা খেলে না স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। সারাদিনই আপনি বেশ ব্যস্ত সময় পার করেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রমের কিছু অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।