Better Life With Steem || The Diary game || 3/12/2024

হ্যালো গায়েজ

সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আমার আজকের সারাদিনে কার্যক্রম নিয়ে।

---

প্রতিদিনের মতো আজও একই সময়ে সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠি,উঠে হাত মুখ ধুয়ে বসে এক মগ ভর্তি ভুসির পানি খেলাম। খেয়ে বসে থাকিনি সঙ্গে সঙ্গে রান্না করে গেলাম সকালে নাস্তা বানাতে। আজকে সকালে নাস্তা টা খুব তাড়াহুড়া করে বানাতে হয়েছে। ছেলে বলছে চিনি পরোটা খাবে তাই আগে ছেলেকে পরোটা বানিয়ে দিলাম।

এদিকে আজকে সকালে সাহেবেরও খুব তারা ছিলো আগে ছেলের চিনি পরোটা বানিয়ে দিয়ে তারপর সাহেবের জন্য রুটি বানালাম, সাহেব তাড়াহুড়া করে খেয়ে গেল এরপর আমি একটু নিস্তার হলাম। তারপর আস্তে আস্তে করে আমাদের জন্য রুটি বানানো হয়ে গেল মেয়ের মাদ্রাস দিয়ে আসি।

আজকে সকালে নাস্তা বানাতে এতটা তারা ছিল যে আমার ক্ষুদা পালিয়ে গেল। তারপরও একটি রুটি খেলাম। খেয়ে ছেলের পাশে কিছুক্ষণ বসে রইলাম এবং ওকে খাইয়েও দিলাম। ছেলের খাওয়া হয়ে গেলে ওকে ওর মতন বসিয়ে রেখে তারপর আমি রান্নার কাজে হাত লাগাই।

আজকে দুপুরে রান্না করেছি কাঁচকলা ভর্তা, আলু ভর্তা, ডাল, ও সবজি। রান্না বসিয়ে দিয়ে ধোয়ার জন্য কিছু কাপড়চোপড় বাথরুমে ভিজিয়ে রাখি। তারপর আবার রান্না ঘরে এসে বাকি রান্না গুলো আস্তে আস্তে করে নিলাম। বারোটার ভিতরে রান্না গুলো শেষ করে আগে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম।

এরপর আমি গোসল করতে গেলাম, বাথরুমে ঢুকে আগে কাপড়চোপড় গুলো ধুয়ে নিলাম এতটা কাপড়চোপড় ধুতে নিয়েছে যে, অনেকটা সময় লেগেছে, বাথরুম থেকে দেড়টার সময় বের হয়েছি। এরপর গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে বসি। ছেলেকে ভাত খাওয়ানো শুরু করছি, এর মধ্যে আমার ছোট বোন ফোন দিল তারপর ওর সঙ্গে কথা বলি।

আধা ঘন্টার মতন আমার সাথে কথা বলে তারপর ছেলেকে ভাত খাওয়ানো শুরু করি। তিনটার সময় ছেলের খাওয়া শেষ হয় তারপর আমি খেয়ে নিলাম। আজকে দুপুরে খাবার খেয়ে প্রায় এক ঘণ্টার মতো ঘুমাতে পেরেছি। সাড়ে তিনটের সময় শুয়েছি আর সাড়ে চারটার সময় উঠেছি। ওঠে আসরের নামাজ পড়ি, নামাজ পড়ে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দি মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য ; মেয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার আগে ওকে একটা ডালিম কেটে দি কিছুটা খেয়ে যায় আর বাকিটুকু ছেলের জন্য রেখে যায়।

এরপর মাগরিবের আযান দিলো, নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি। আর ভাবি আজকে সন্ধ্যায় কিছু নিমকি বানাবো আমি রান্নাঘরে গেলাম তারপর নিমকি বানানোর জন্য সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। এরপর ভাবি বলে আজকের নিমকি বানাতে হবে না তার চেয়ে বরং সিঙ্গারা বানাই, আমিও বললাম আচ্ছা ঠিক আছে।

সিঙ্গারা বানাচ্ছি ইতিমধ্যে ভাইয়া ও চলে আসে আর হাতে ইয়া বড় একটা পিজ্জা নিয়ে আসে। সিঙ্গারা বানানো রেখে আগে সবাই মিলে মজা করে খেলাম তারপর আবার সিঙ্গারা বানানোর কাজে লেগে পরি। ভাবছি যখন সিঙ্গারার কাজে হাত লাগিয়েছি তখন বানিয়ে ছাড়বো। এইতো এরকম করে আজকের সন্ধ্যার। মুহূর্তগুলো পার করি। ভাবছি আজকে লেখা সামনে আর এগাবো না এখানেই শেষ করতে চাই।

যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)