Better Life With Steem || The Diary game || 5/12/2024
হ্যালো গায়েজ
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আমার আজকের সারাদিনে কার্যক্রম নিয়ে।
আজকে সকালে ঘুম ভাঙ্গে বাহিরের চিৎকার শুনে। বাহির বলতে আমাদের ফ্লাটের দুই পক্ষের মানুষ। দুই পক্ষে বলতে বুঝিয়েছি আপনাদের জানিয়েছিলাম। যে, একই ফ্লাটের ছেলে মেয়ে দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে তাদের বাবা-মা মেনে নেয় নি, তাই তারা পালিয়ে গেছে। দীর্ঘ এক সপ্তাহ পর এসেছে মেয়ে ছেলের বাসায় উঠে গেছে নিজের বাসায় যায়নি। তাই ওদিকে মেয়ের মা-বাবা অনেক চেঁচামেচি করছে। এবং অনেক কিছু হয়েছে যা এতো কিছু লেখা সম্ভব না। বুঝিনিতো মেয়ে-ছেলে পালিয়ে গেলে বাবা-মায়ের অবস্থা কি হতে পারে এবং তারা কি করতে পারে।
যাইহোক শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে আমি দরজার সামনে গেলাম এবং লুকিং গ্লাসের দিকে তাকিয়ে দেখি আমাদের দরজার সামনে অনেক ভিড় অনেক মানুষ। তাই বেশি ওদিকে আর কান না দিয়ে সংসারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আজকে সকালে কোন নাস্তা বানাইনি সাহেব বাহির থেকে নাস্তা নিয়ে আসলে সেটি দিয়ে আজকে সকালে নাস্তা করি।
সকালের নাস্তা খাওয়াটা তাড়াতাড়ি শেষ করি বানাতে হয়নি, তাই তাড়াতাড়ি খেতে পেয়েছি। সকালের খাওয়ার পর্ব শেষ করে তারপর বিছানা বাটি এবং সম্পূর্ণ রুম গুলো ঝাড়ু দিলাম। সবকিছু গুছিয়ে রেখে এরপর গেলাম রান্নার কাজে হাত লাগাতে।
আজকে তাড়াতাড়ি রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি তাই তাড়াতাড়ি রান্নাটাও শেষ হয়ে গেল। রান্নাবান্না শেষ করে ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে গেলাম। আজকের ছেলেকে গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিলাম। তবে আমি কখনো ছেলেকে গরম পানি দিয়ে গোসল করে না এবং আমিও করি না।
আমি ভাবি গরম পানির চেয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে একটা শান্তি পাওয়া যায়। আর গরম পানি শরীরে যতক্ষণ ডালবে ততক্ষণ ভালো লাগে তারপরে শীত লাগে। ছেলেকে আজকে গোসল করতে চাইনি আর মাথায় সেম্পু করতে হবে তার জন্য গরম পানিতে গোসলটা করিয়ে দিলাম। যাই হোক ছেলেকে গোসল করিয়ে আমার গোসলটাও করে নিলাম এরপর জোহরের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে দুপুরে খাওয়া দাওয়া লেগে পড়ি। আগে ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে তারপর আমরা খেলাম খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মা ছেলে-মেয়ে ঘুমাতে যাই। আজকে দুপুরে খাবার খেয়ে ২ টার ভিতরে শুয়ে পড়েছি তাই কিছুক্ষণ ঘুমাতে পারলাম আজকে।
দুপুর দুইটায় ঘুমিয়ে বিকাল চারটার সময় উঠেছি, উঠে দেখি সাহেব এসেছে। সাহেব এসে গোসল করলো তাকে খাবার খেতে দিলাম এরপর আমি নামাজ পড়তে চলে যাই। নামাজ পড়ে বসে তারপর দেখি আমার আন্টি ফোন দিলো তার সাথে অনেকক্ষণ কথা বলি অনেকদিন বাদে আন্টির সাথে কথা বললাম।
আন্টি ফোন কাটার পর তারপর মাগরিবের আজান দিলো অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠেছি তার কিছুক্ষণ পর দেখি সাহেব কিছু বাজার এনেছে। সবজিগুলো ফ্রিজে রেখে দিলাম তারপর মাছগুলো কেটে ধুইয়ে রেখে দিলাম। বাজারের সাথে সন্ধ্যার জন্য হালকা নাস্তা এনেছিল যেগুলো সকালে খেয়েছিলাম সেই একই নাস্তা আনলো প্যাটিস।
এরপরে সন্ধ্যা নাস্তাটা করে পোস্ট লিখতে বসি। পোস্ট লিখতে বসার আগে ভাত রান্না বসিয়ে দিলাম। পোস্ট লেখা শেষ করতে করতে আমার এদিকে ভাতটাও হয়ে গেল। এরপর ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমি এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। এইতো আজকের দিনের মুহূর্তগুলো এভাবেই কাটালাম।
যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)