Better Life With Steem || The Diary game || 7/12/2024
হ্যালো গায়েজ
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আমার আজকের সারাদিনে কার্যক্রম নিয়ে।
আলহামদুলিল্লাহ, আবারো খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেলাম । সকাল সাড়ে পাঁচটায় চোখের ঘুম ভাঙ্গে উঠে, মুখ হাত ধুয়ে ওযু করে ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়ি।
এরপর আবার সেই সকাল সাড়ে আটটার সময় উঠে যাই। জানালা দিয়ে চোখে রোদ পরেছে, তাই তাড়াতাড়ি ঘুমটা ভেঙে যায়। আমার ঘুম ভাঙার পর ছেলেও আমার সঙ্গে উঠে গেল। ঘুম থেকে ওঠার পর ছেলেকে মুখ ধুয়ে দিলাম। এরপর ছেলে বলে নুডুলস খাবে তারপর নুডুলস রান্না করে দিলাম।
ছেলেকে সকালে নাস্তা খাইয়ে দিলাম মেয়ের মাদ্রাসার টিফিন দিয়ে আসলাম। এরপর চলে গেলাম রান্না ঘরে। রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করার সবকিছু গুছিয়ে নিলাম তারপর আস্তে আস্তে করে রান্না শুরু করে দি।
রান্না করছিলাম এরই মধ্যে ভাবি আসছে হাসতে হাসতে আমি বললাম কি,হয়েছে আজকে এত খুশি কেন। তারপর ভাবি বলে আর বলেনা আজকে আমি ঈদের মতো অনেক খুশি। আমি বললাম কেন কি হয়েছে ঈদের চেয়েও আজকে এত খুশি যে, বলে কয়েকদিন বাদে আমার বাবার বাড়িতে যাব এবং সেই আনন্দে এতটা খুশি লাগছে। আমি বললাম বাহ! ভালোই তো ঠিকই খুব খুশির খবর।
মেয়েদের বিয়ের পর শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যাওয়া এটা একটা খুব খুশির সংবাদ। এই খুশির সংবাদটা আমি কবে পাব তা নিয়ে বুঝতে পারছি না। কবে মায়ের সাথে বোনের সাথে এবং বাড়ির লোকজনের সাথে দেখা করব জানিনা বাড়ি থেকে এসেছি প্রায় এক বছরের মত হয়ে আসছে । সবাইকে দেখার জন্য মনটা খুব ছটফট করছে।
যাইহোক এই ব্যাপারে বেশি একটা ভাবনা চিন্তার না করে তারপর রান্নার কাজে মন দিলাম। রান্না গুলো তাড়াতাড়ি শেষ করে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে তারপর ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। ছেলেকে গোসল করে দিয়ে তারপর আমি গোসলে গেলাম।
আজকের গোসলটা করতে বড্ড সময় লেগেছে, কিছু কাপড়চোপড় ধুলাম এবং ঘর মোছার কিছু ন্যাকড়া ধুলাম। এরপর গোসলটা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে জোহরের নামাজ পড়তে চলে যাই। নামাজ শেষ করে ছেলেকে দুপুর খাবার খাইয়ে দিলাম এবং আমিও খেলাম। আজকের দুপুরে খাবারটা খেয়ে কিছুক্ষণ সময় রেস্ট নিলাম এবং ছেলে মেয়ে ওরা ঘুমিয়ে গেল।
আমি আর ঘুমাইনি কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি ওদিকে সাহেব ফোন ব্যবহার করছে। এরপর আসরের আযান দিলো নামাজ পড়ে উঠে, বাসার ভিতরে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করি এবং ভাবির ছেলেটার সাথে দুষ্টুমি করি।
এরই মাঝে আবার শুনতে পাই, দরজার বাইরে শুনতে পাই সেই দুই পক্ষের অনেক চেঁচামেছি। মেয়ের মা ছেলের মা-বাবাকে অনেক কথা শোনাচ্ছে। এক পর্যায়ে ছেলের বাবা মা সহ্য করতে না পেরে তারাও অনেক কিছু বলেছে।এরপর লেখা হয়নি দরজার সামনে গেলাম। তবে আজকের মত এখানে লেখা শেষ করতে চাই।
যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)